কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তে (Ukraine crisis) রীতিমতো যুদ্ধ-মহড়া শুরু হয়ে গিয়েছে। চাপ সৃষ্টি করতে ইউক্রেনকে তিন দিক থেকে ঘিরে ফেলেছে ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) সেনা। রাশিয়ার সামরিক শক্তি বাড়ানো হয়েছে। ইউক্রেনের মিত্র দেশ আমেরিকাও কিন্তু হাত-পা গুটিয়ে বসে নেই। কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি সামরিক দিক থেকেও নিজেদের তৈরি রাখছে মার্কিন সেনা (America)। ইউক্রেন সীমান্তে মার্কিন সেনা মোতায়েন শুধু নয়, একটানা যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার রসদও মজুদ করছে আমেরিকা।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের (Joe Biden) নির্দেশে ইউক্রেনের রাজধানী কিভে মার্কিন সেনা জড়ো করা হচ্ছে। আসছে যুদ্ধ সরঞ্জাম থেকে খাদ্যশস্য। একলপ্তে ২০ কোটি সামগ্রী পাঠানো হয়েছে কিভে। গোলাবারুদের সঙ্গেই এসেছে জ্যাভলিন, গ্রেনেডও।
একসপ্তাহ ধরে কয়েক ধাপে ইউক্রেন সীমান্তে লক্ষাধিক সেনা পাঠিয়েছে রাশিয়া। ক্রিমিয়া উপদ্বীপের কাছে সমুদ্রে বড় ধরনের রুশ নৌ-মহড়া চলছে। যে কোনও মুহূর্তে ইউক্রেনে আক্রমণ করতে পারে পুতিনের দেশ।
ইউক্রেনের তিন দিকে রাশিয়া সৈন্য মজুদ করায়, কোন পথে রুশ সৈন্য আক্রমণ চালাবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধন্দ। উত্তেজনার পারদ চড়ায় ইতিমধ্যে ইউক্রেন থেকে কূটনীতিকদের সরিয়ে নিয়েছে রাশিয়া। যে কারণে আমেরিকা মনে করছে, যু্দ্ধের দিকে এগোচ্ছে রাশিয়া। সেই আশঙ্কা থেকে মার্কিন নাগরিকদের ইউক্রেন থেকে দ্রুত দেশে ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হোয়াইট হাউসের তরফে ৪৮ ঘণ্টার ডেডলাইন বেঁধে দেওয়া হয়। ব্রিটেনও নিজের দেশের নাগরিকদের ইউক্রেন ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে। অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলিও একই নির্দেশ দিয়েছে। যদিও রাশিয়া মুখে যুদ্ধের কথা বলছে না। উলটে আমেরিকাকে কাঠগড়ায় তুলে দাবি করা হয়, বাইডেনের প্রশাসনই যুদ্ধের জিগির তুলছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন ইস্যুতে শনিবার রাতে প্রায় ঘন্টাখানেক ফোনে কথা বলেন (Biden Putin phone call) আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যদিও ইউক্রেন নিয়ে নিজের অবস্থানেই অনড় রাশিয়া। ফোনে কথা বলার পরও সমাধান সূত্র না বেরোনোয়, রাশিয়াকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে আমেরিকা। রাশিয়া আর এক ইঞ্চি এগোলে চুপ করে বসে থাকবে না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। চরম মূল্য চোকাতে হবে রাশিয়াকে।