চুলের ক্ষেত্রে একটা কথা বলতেই হবে যে রাতারাতি চুল সুন্দর, উজ্জ্বল ও মসৃণ করে তোলা সম্ভব নয়। এর জন্য সময় নিয়ে সঠিক যত্নের প্রয়োজন। তবে অনেকের ক্ষেত্রেই প্রত্যেকদিন চুলের পিছনে এতটা সময় দেওয়া সম্ভব নয়। এদিকে নিয়মিত যত্ন না নিলে চুলের অবস্থা ভাল থাকবে না। তাই আধুনিক জীবনযাপনে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা ও পরিবেশ দূষণের প্রভাব থেকে চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে এই সহজ কিছু উপায় কাজে লাগাতে পারেন।
চুলের চাহিদা বুঝে পরিচর্যা করতে হবে
মার্কেটিং ও অ্যাডভার্টাইজিংয়ের যুগে বিউটি প্রোডাক্টসের অভাব নেই। কিন্তু তাই বলে সব কটা তো আর বাজার থেকে কিনে আনা সম্ভব না আরও কাজেরও না। চুল কিংবা ত্বক দুটোই ভাল রাখতে প্রয়োজন হাতেগোনা তবে সঠিক প্রসাধনী। তাই কারও কথায় কান না দিয়ে বরং আপনার চুলের চাহিদা অনুযায়ী প্রোডাক্ট বাছুন। চুলের স্বাস্থ্য কেমন হবে তা অনেটাই নির্ভরশীল আমাদের জিন ও হরমোনের ওপর। তাই স্ক্যাল্প ও চুলের স্বাস্থ্য আপনার কপালে ভাঁজ ফেলে তা হলে অবিলম্বে ডার্মেটোলজিস্টের পরামর্শ দরকার। শুধুমাত্র নামী দামী বিউটি প্রোডাক্ট ব্যবহার করলেই সমস্যার সমাধান হবে না। নতুন বিউটি প্রোডাক্ট কিনে টাকা খরচ করার আগে চুলের খারাপ স্বাস্থ্যের পিছনে কারন জেনে রাখা দরকার।
চুলের যত্নে কড়া রাসায়নিক ব্যবহার করবেন না
পরিবেশ দূষণ, সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি, নানা রকমের স্টাইলিং সরঞ্জামের ব্যবহারের পর চুলের অবস্থা এমনিই খারাপ হয়ে যায়। প্রত্যেকদিনই নানা রকমের ধকল সহ্য করার পর চুলের প্রয়োজন যত্ন ও সুরক্ষা। তাই হিট স্টাইলিং সরঞ্জামের ব্যবহারের আগে প্রোটেকটেন্ট ক্রিম ও নারিশিং সেরাম ব্যবহার করুন যাতে চুল ভাল থাকে। চুল ধোওয়ার জন্য মাইল্ড শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। আর শ্যাম্পুর পর হেয়ার ড্রায়ার যত ব্যবহার না করা যায় তত ভাল। মাঝেমধ্যে ময়শ্চারাইজার যুক্ত হেয়ার মাস্ক কিংবা গরম তেল মালিশ করতে পারেন। তবে কোনও প্রোডাক্টই মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার করবেন না। অনেক সময় এই সব মাস্ক বা তেলের কোনও উপাদান মাথার ত্বকের সঙ্গে রিঅ্যাক্ট করতে পারে। এই সবের পাশাপাশি চুল বাঁধার সময় হেয়ার টাইয়ের বদলে স্ক্রান্চিজ ব্যবহার করুন।
স্যাটিনের বালিশের খোল ব্যবহার করুন
চুলপড়া নিয়ে অনিদ্রায় দিন কাটছে, তারা মাথার বালিশে স্যাটিনের তৈরি খোল ব্যবহার করতে পারেন। স্যাটিন যেহেতু ভীষণ নরম তাই রাতে স্যাটিনের তৈরি বালিশের খোলে ঘুমোলে চুল ভাল থাকবে। সুতি, রেয়ন, কিংবা মিক্স পলি ফেব্রিকের তৈরি বালিশের খোলের সঙ্গে ঘর্ষণে চুল নিজস্ব তেল নষ্ট হয়ে গেলে চুলের আর্দ্রতা নষ্ট হয়ে যায়। এর ফলে চুলে ঝরে পড়া বেড়ে যায়। তাই স্যাটিনের তৈরি পিলোকভার ব্যবহার করে দেখুন ভাল ফল পাবেন।