কলকাতা: রাজভবনে অন্তত এক ডজন ফাইল পড়ে আছে বলে শুক্রবারই রাজ্যসভায় অভিযোগ করেছেন তৃণমূলের সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বারবার ফাইল পড়ে থাকার কথা বলেছেন। শনিবার আরও একবার তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নস্যাত্ করে দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়(West Bengal Governor Jagdeep Dhankhar)।
এ দিন নিজের টুইটার হ্যান্ডল থেকে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন রাজ্যপাল। নির্দিষ্ট একটি বিষয়ে আলোকপাত করে রাজ্যের অভিযোগ আর একবার খণ্ডন করে দেন রাজ্যপাল। রাজ্যের অভিযোগ অনুযায়ী, প্রাক্তন আমলা ও পুলিসকর্তার নিয়োগ সংক্রান্ত ফাইলও রাজভবনে পড়ে রয়েছে।
টুইট বার্তায় রাজ্যপাল জানান, সরকার রাজ্যের প্রাক্তন ডিজিপি, ১৯৮৫ ব্যাচের আইপিএস বীরেন্দ্র ও প্রাক্তন এসিএস, ১৯৮৭ ব্যাচের আইএএস নবীন প্রকাশকে এখন তথ্য কমিশনার হিসাবে নিয়োগ করতে চাইছে। এই মর্মে তাঁর কাছে সুপারিশ করে পাঠানো হয়েছে। তিনি ফাইল খতিয়ে দেখেছেন।
আরও পড়ুন: Darjeeling Snowfall: ফের বরফে ঢাকল দার্জিলিং, চলতি মরশুমে রেকর্ড তুষারপাত
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষেতি রাজ্যপালের মনে হয়েছে, এই সুপারিশ ত্রুটিপূর্ণ। রাজ্যপালের বক্তব্য, ৬ ডিসেম্বর এই ত্রুটির কথা তিনি জানিয়েছেন। কিন্তু ২ মাস পরেও রাজ্যের তরফে এ বিষয়ে কোনও উত্তর পাননি। তাই তাঁর কাছে ফাইল পড়ে নেই।
https://twitter.com/jdhankhar1/status/1489878479399419904?t=aM62mC8I1sYKkX6-GuOI7Q&s=08
জগদীপ ধনখড় বাংলার রাজ্যপাল হয়ে আসার পর থেকেই রাজ্যের সঙ্গে সংঘাত ক্রমশ তীব্রতর হয়েছে। রাজ্যপালকে রাজ্য শাসনের জন্য পাঠানো ‘ঘোড়ার পাল’ বলেও তির্যক মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে সরানোর কথা বলে প্রধানমন্ত্রীকে চার বার চিঠিও দিয়েছেন মমতা। বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত রাজ্যপালের বিরুদ্ধে নালিশ করেছেন।
রাজ্য-রাজ্যপালের সংঘাতের অন্যতম কারণ রাজভবনে গুরুত্বপূর্ণ ফাইল পড়ে থাকা। রাজ্যের তরফে বারবার এই অভিযোগ করা হয়েছে। রাজ্যপালও ততবার অভিযোগ খারিজ করে, পালটা সরকারের দিকেই আঙুল তুলেছেন।