বেঙ্গালুরু: হিজাব (Hizab Row in Karnataka) পরে আসায় মুসলিম মেয়েদের কলেজে ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে৷ কর্ণাটকের ইডুপি জেলার একটি সরকারি কলেজে হিজাব নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই বেড়ে গিয়েছে এধরনের ঘটনা৷ গত বুধবার সেই ইডুপির কুন্দাপুরের একটি কলেজের গেটে গেরুয়া চাদর গায়ে জড়ানো কয়েকজন যুবক মুসলিম মেয়েদের কলেজে ঢুকতে বাধা দেয়৷ তারা বলে, হিজাব খুলে কলেজে পা রাখতে হবে৷ এই ঘটনার পরই পড়ুয়ারা অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের হিজাব পরে কলেজে ঢোকার অনুমতি চান৷
অধ্যক্ষের কাছে পড়ুয়ারা জানতে চান, হিজাব পরে আসা নিয়ে কলেজের আপত্তি কীসের? তাছাড়া নিয়মে বলা হয়েছে, কলেজে হিজাব পরে আসা যাবে৷ কিন্তু ক্লাসরুমে ঢোকার সময় খুলে ফেলতে হবে৷ ওই মুসলিম পড়ুয়ারা অধ্যক্ষকে জানান, ক্লাসরুমে ঢোকার পর তাঁরা হিজাব খুলেই দিতেন৷ জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে কুন্দাপুরের বিধায়কের সঙ্গে বৈঠক করে কলেজ কর্তৃপক্ষ৷ সেই বৈঠকে স্থির হয়, পড়ুয়াদের পোশাকবিধি মেনে চলতে হবে৷ কোনও ছাত্রী নিয়ম না মানলে তাকে কলেজে ঢুকতে দেওয়া হবে না৷ তারপরই বুধবারের ঘটনার কথা সামনে আসে৷ ওই দিন গেরুয়া বসন পরা অন্তত ১০০ জন ছেলে ২৭ জন মুসলিম পড়ুয়াকে কলেজে ঢুকতে বাধা দেয়৷ ওই পড়ুয়ারা সকলেই হিজাব পরে ছিলেন৷
প্রশ্ন উঠছে, মেয়েরা যদি হিজাব পরে কলেজে ঢুকতে না পারে তাহলে গেরুয়া চাদর জড়িয়ে ছেলেদেরও কলেজে ঢুকতে দেওয়া উচিৎ নয়৷ কর্ণাটকের পুলিসমন্ত্রী আরাগা জনেনন্দ্র এতে সহমত জানিয়েছেন৷ তিনি বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি ধর্ম প্রদর্শনের জায়গা নয়৷ ধর্ম প্রদর্শনের জন্য চার্চ, মন্দির ও মসজিদ রয়েছে৷ স্কুলে ঢোকার পর ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে এই সংস্কার গড়ে ওঠা উচিৎ যে আমরা সবাই ভারত মাতার সন্তান৷’ তাঁর নিদান, রাজ্যের কোনও স্কুলেই হিজাব বা গেরুয়া চাদর পরে ঢোকা যাবে না৷
আরও পড়ুন: UP Election 2022: উত্তরপ্রদেশে বিজেপি প্রার্থীদের বিরুদ্ধে প্রচার চালাবে সংযুক্ত কিসান মোর্চা
একই বক্তব্য রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী বি সি নাগেশের৷ তিনি বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি দুই ধর্মীয় সম্প্রদায়ের যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হোক আমরা তা চাই না৷ এটা একটা পবিত্র জায়গা এবং প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রী এখানে সমান৷ সরকারের অবস্থান স্পষ্ট৷ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনও ধর্মীয় চিহ্নবহনকারী কিছু পরা চলবে না৷’