বনগাঁ: রবিবার দিল্লি যাচ্ছেন বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর৷ তার আগে শনিবার রাতে ঠাকুরবাড়িতে হাজির জয়প্রকাশ মজুমদার এবং রীতেশ তিওয়ারি৷ কিছুদিন আগে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে জয়প্রকাশ এবং রীতেশকে প্রথমে শো-কজ ও পরে সাময়িক বরখাস্ত করে বিজেপি৷ সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পরে সাংবাদিক সম্মেলনে গর্জে ওঠেন দুই নেতা৷ তারপর আজ শীতের রাতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দিল্লি যাত্রার আগে দুই বিক্ষুব্ধ নেতার সঙ্গে শান্তনু ঠাকুরের বৈঠক ঘিরে জল্পনা শুরু হয়েছে৷ যদিও গাড়ি থেকে নামার পর রসিকতা করে জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘শীত পড়েছে৷ এই নিয়ে আলোচনা হবে৷’
রীতেশ এবং জয়প্রকাশের আগে এদিন শান্তনুর সঙ্গে দেখা করতে ঠাকুরবাড়িতে যান নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক আশীস কুমার বিশ্বাস৷ যদিও ওই সময় সাংসদ বাড়িতে ছিলেন না৷ তাই শান্তনুর সঙ্গে তাঁর দেখা হয়নি৷ ফিরে যাওয়ার আগে বিধায়ক বলেন, ‘ব্যক্তিগত চিঠি দিতে এসেছিলাম৷’ এর ঘণ্টা দুয়েক বাদে গাইঘাটা ব্লকের ঠাকুরনগরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাসভবনে পৌঁছন জয়প্রকাশ মজুমদার এবং রীতেশ তিওয়ারি৷ একই গাড়ি থেকে নামেন তাঁরা৷ কোন প্রয়োজনে এত রাতে শান্তনু ঠাকুরের বাড়িতে দুই বিক্ষুব্ধ নেতা তা জানাতে চায়নি কেউই৷
যদিও বৈঠক শেষে জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘শান্তনু ঠাকুর আগামিকাল দিল্লি চলে যাবেন৷ তাই সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসেছিলাম৷’ যদিও এত সরল ব্যাখ্যা মানতে নারাজ রাজনৈতিক মহল৷ জয়প্রকাশও মেনে নেন তাঁদের মধ্যে রাজনৈতিক আলোচনা হয়েছে৷ তিনি বলেন, ‘দুই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এক জায়গায় বসলে অবশ্যই রাজনৈতিক আলোচনা হবে৷’ সূত্রের খবর, দিল্লি যাওয়ার আগে শান্তনুর সঙ্গে দেখা করে জয়প্রকাশ এবং রীতেশ তাঁদের বার্তা কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে পৌঁছে দিতে চেয়েছেন৷
আরও পড়ুন: India-Israel Rrelations: পেগাসাস বিতর্কের মধ্যে ভারত-ইজরায়েল সম্পর্ক মজবুতের বার্তা প্রধানমন্ত্রীর