নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) চলতি সপ্তাহে উত্তরপ্রদেশ (UP) এবং উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) মাস্ক (Mask) ছাড়ায় ভিড় রাস্তা, বাজার থেকে সাধারণের দরজায় দরজায় ভোট প্রচার করেন। সেই ছবি-ভিডিয়ো ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। সামাজিক মাধ্যমে ছবি-ভিডিয়ো ভাইরাল (Viral Video) হয়েছে৷ তাতে দেখা যাচ্ছে, থুথুতে বুড়ো আঙুল ভিজিয়ে লিফলেট বিতরণ করছেন তিনি৷
যদিও জাতীয় নির্বাচন কমিশন করোনা পরিস্থিতিতে ভোট প্রচারে নানা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে৷ সাধারণের দরজায় দরজায় ভোট প্রচারে প্রচারকের সংখ্যা বেধে দিয়েছে৷ মাস্ক-স্যানিটাইজার সহ সমস্ত প্রকার করোনাবিধি মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ অন্যথা, নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোভিড প্রোটোকল লঙ্ঘনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে৷
https://twitter.com/TheRebeliousBoy/status/1486993650462564353?s=20&t=FrU_I_lsJDPP_3lANhh18A
কোভিডের সময় সাধারণ নির্বাচন/উপ-নির্বাচন পরিচালনায় সংবিধানের ১৮ এবং ১৯ ধারা — সংশোধিত বিস্তৃত নির্দেশিকা, ২০২২, প্রচারের সময় মাস্ক এবং সামাজিক দূরত্বের বাধ্যবাধকতার কথা উল্লেখ করে। তা লঙ্ঘন করলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০০৫ এর ৫১ থেকে ৬০ ধারা, ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮ ধারা এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক দ্বারা নির্দিষ্ট করা অন্যান্য আইনি বিধানের অধীনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এ দিকে অমিত শাহের এই ভোট প্রচারের ভিডিয়ো সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হতেই নেটিজেনরা সরব হয়েছেন৷ অমিত শাহের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে৷ অনেকেই এই ঘটনায় জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে ‘দৃষ্টিহীন’ বলে কটাক্ষ করেছেন৷ ছত্তীসগড় কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করেন।
আরও পড়ুন-এক্সিট পোল প্রকাশে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি নির্বাচন কমিশনের
माननीय गृह मंत्री अमित शाह जी "5 लोग" के साथ डोर-टू-डोर अभियान कर रहे हैं।
चुनाव आयोग को उन्हें "डोर-टू-डोर" अभियान का ब्रांड एम्बेसडर घोषित कर उनके वीडियो को DEMO बना देना चाहिए।
वरना @ECISVEEP की निष्पक्षता पर सवाल जारी रहेंगे।
FIR सिर्फ कांग्रेस के ही मुख्यमंत्री पर क्यों? https://t.co/DQhQ0qCeEB— Bhupesh Baghel (@bhupeshbaghel) January 22, 2022
তিনি টুইট করে লেখেন, ‘‘মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জি ‘৫ জনের’ সঙ্গে ডোর-টু-ডোর প্রচার চালাচ্ছেন৷” একই সঙ্গে তিনি লেখেন, নির্বাচন কমিশনের উচিত এই ভিডিয়োটিকে একটি ডেমো করা এবং তাঁকে ‘ডোর-টু-ডোর’ ভোট প্রচারের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে ঘোষণা করা। অন্যথায় নির্বাচন বিধির ন্যায্যতা নিয়ে প্রশ্ন চলতে থাকবে। কেন শুধু কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর?
যদিও দিন কয়েক আগে নির্বাচন কমিশন ডোর-টু-ডোর ভোট প্রচারে ৫ জনের পরিবর্তে ১০ জন করে দিয়েছে। একই সঙ্গে প্রার্থী বা হেভিওয়েটের সঙ্গে কতজন নিরাপত্তারক্ষী থাকতে পারবেন সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি৷