নয়াদিল্লি: জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India ) শনিবার এক্সিট পোলের (exit poll ) উপর কঠোর নির্দেশিকা জারি করেছে৷ স্পষ্ট বলেছে, ‘‘কোনও ব্যক্তি কোনও এক্সিট পোল (exit poll ) পরিচালনা করবেন না এবং প্রিন্ট বা অন্য কোনও উপায়ে কোনও এক্সিট পোলের ফলাফল প্রকাশ বা প্রচার করবেন না। অন্যথা আইনআনুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে৷’’
উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যে আসন্ন নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে এক্সিট পোলের ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ মার্চের মধ্যে ওই সব রাজ্যে ভোট গ্রহণ হবে৷ নির্বাচনের ফলাফল ১০ মার্চ ঘোষণা করা হবে৷ তার আগে শনিবার জানানো হয়েছে, এক্সিট পোল প্রকাশ করা যাবে না৷ নির্বাচন কমিশনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধি আইনের ১২৬এ ধারা অনুযায়ী এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। সমস্তরকম সংবাদমাধ্যমকে এই নিষেধাজ্ঞা মেনে চলতে বলা হচ্ছে। ফলে তারা কোনওরকম এক্সিট পোল করতে পারবেন না। নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও বিষয় দেখানো, ছাপা এবং প্রচার করা যাবে না।
In a notification, the Election Commission of India said, "No person shall conduct any exit poll and publish or publicize by means of print or any other manner, the result of any exit poll." pic.twitter.com/omMfYb7kWV
— ANI (@ANI) January 29, 2022
ভোট গ্রহণের পর পর একজিট পোল করা হয়। কোন দল সরকার গঠন করতে পারে সেই সম্ভাবনা এক্সিট পোলের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। ওপিনয়ন পোলের সময়ে যেমন ভোটারকে জিজ্ঞাসা করা হয় তিনি কাকে ভোট দেওয়ার কথা ভাবছেন, একজিট পোল তার থেকে আলাদা। এ ক্ষেত্রে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়, তিনি কাকে ভোট দিলেন। বেশ কিছু সংস্থা একজিট পোল পরিচালনা করে থাকে।
নির্বাচন কমিশন একজিট পোলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন?
আরও পড়ুন-কেন হেলমেট ছাড়া বাইকে ‘প্রাক্তনী’ মদন, প্রশ্ন তুললেন বর্তমান পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ
নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে ওপিনিয়ন পোল এবং একজিট পোলের উপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ২০০৪ সালে জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের সংশোধনীর প্রস্তাব আনে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তারা আইন মন্ত্রকের দ্বারস্থ হয়। সে সময় নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে একমত ছিল ছয়টি জাতীয় রাজনৈতিক দল এবং আঠারোটি রাজ্যভিত্তিক রাজনৈতিক দল। ফলে, ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সেই প্রস্তাব আংশিকভাবে গৃহীত হয়। জনপ্রতিনিধিত্ব আইনে ১২৬ (এ) ধারা সংযোজনের মাধ্যমে কেবলমাত্র এক্সিট পোলের উপর বিধিনিষেধ জারি করা হয়।