বর্ধমান: বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে পৌঁছল স্বাস্থ্য ভবন গঠিত তিন সদস্যের ফরেন্সিক দল৷ শনিবার ভোর রাতে হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এক রোগীর মৃত্যু হয়৷ সেই ঘটনার তদন্তে এদিনই পাঁচ সদস্যের একটি বোর্ড গঠন করা হয়েছে৷ অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে বোর্ডকে রিপোর্ট দেবে ওই ফরেন্সিক দল৷
এই তিন সদস্যের দলে আছেন সোমনাথ দাস, যিনি আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের বিভাগীয় প্রধান৷ বাকি দু’জন হলেন স্বাস্থ্য ভবনের স্পেশ্যাল সেক্রেটারি অনিরুদ্ধ নিয়োগী এবং নার্স মণিকা গায়েন৷ শনিবার সন্ধ্যায় তিন সদস্যের এই তদন্তকারী দল পৌঁছয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে৷ পরিদর্শন করেন কোভিড ওয়ার্ডের ৬ নম্বর ব্লক৷ এখানেই ভর্তি ছিলেন মৃত সন্ধ্যা মণ্ডল৷ হাসপাতাল পরিদর্শনের পর বেরিয়ে যায় প্রতিনিধি দল৷ চিকিৎসক সোমনাথ দাস বলেন, ‘কলকাতায় গিয়ে রিপোর্ট জমা দেব৷’
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের কোভিড ওয়ার্ড নিয়ে এর আগেও একাধিক বার গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল। তবে শনিবারের ঘটনায় প্রাণ হারান এক করোনা রোগী৷ এদিন ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ কোভিড বিভাগ রাধারানি ওয়ার্ডে আগুন লাগে। অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় সন্ধ্যা মণ্ডল নামে ৬০ বছর বয়সি এক বৃদ্ধার। সন্ধ্যা মণ্ডলের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের গলসির বড়মুড়িয়া গ্রামে। রাজ্যের কোনও হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডে করোনা রোগীর মৃত্যুর ঘটনা আগে ঘটেনি। স্বভাবতই এই ঘটনাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন: WB Corona Updates: রাজ্যে করোনা সংক্রমণের হার ৬ শতাংশের কম, চিন্তা দৈনিক মৃত্যু সংখ্যায়
মৃতার মেয়ে রানু মণ্ডলের অভিযোগ, ‘ঘটনার পর আমাদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ফলে, কী ভাবে মা পুড়ে মারা গেল, বুঝতে পারছি না।’ কীভাবে অগ্নিকাণ্ড হল, তা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তও দাবি করে মৃতের পরিবার। রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ, অগ্নিকাণ্ডের সময় হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষী ও অন্য কর্মীরা ঘুমিয়ে ছিলেন। তার জেরেই অগ্নিদগ্ধ হয়ে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। যদিও দমকলের ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর আগে হাসপাতালের কর্মীরাই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন৷ পরে দমকল জানায়, মশার ধূপ বা লাইটার থেকে বেডে আগুন লাগতে পারে। তদন্তের পরেই নিশ্চিত করে বলা যাবে। তিনি জানান, একটা বেডেই আগুন লেগেছিল।