আজও সবার মনে আছে শোলের সেই কালজয়ী দৃশ্য। যেখানে বাসন্তির (হেমামালিনী) প্রেমে মত্ত বীরু(ধর্মেন্দ্র) উঠে পড়ে এক পরিত্যক্ত জলের ট্যাঙ্কের উপর। সেখানে সুরার বোতল হাতে নিয়ে ধর্মেন্দ্রর অভিনয় আজও হাসির উদ্রেক করে। ৭০-এর দশকের হিন্দি ছবি শোলের সেই দৃশ্যই ফুটে উঠল পূর্ব বর্ধমানের নাদনঘাটে। তবে এখানে প্রেমিকার মাসিকে রাজী করাতে নয়, খোদ প্রেমিকার মান ভাঙাতেই মোবাইল টাওয়ারের উপর উঠে পড়লেন মত্ত যুবক। জানা গেছে, প্রেমিকার সঙ্গে মনোমালিন্যে জেরে, নেশাগ্রস্থ ওই যুবক মোবাইল টাওয়ারের উপর চড়ে বসেন। প্রায় তিন ঘন্টা পর, নাদন ঘাট থানার তৎপরতায় নীচে নামানো হল যুবককে।
নাদনঘাটের খোকন দাস, পেশায় গাড়িচালক। আজ এমনই ঘটনা ঘটান তিনি। দেখে সবার মনে পড়ে গেল শোলের বীরুর কথা। ঠিক যেন সেই চিত্রনাট্যই আবার দেখা গেল নাদনঘাটে। তবে সামান্য কিছু তফাত ছিল। বীরু উঠেছিল জলের ট্যাঙ্কের উপর আর খোকন উঠলেন মোবাইল টাওয়ারের উপর।
তা ছাড়া প্রেমিকার মাসি নয়, খোদ প্রেমিকার মান ভাঙাতেই নাদন ঘাটের বীরু, খোকন দাস উঠে পড়েছিলেন টাওয়ারে।
প্রথমে এলাকার বাসিন্দারা তাঁকে নামানোর চেষ্টা করলেও নামতে রাজি হননি প্রেমিক খোকন। বাসিন্দাদের অনুরোধে কাজ না হওয়ায় আসরে নামে পুলিশ। মাইকিং করে তাঁকে নামানোর চেষ্টা করেন তাঁরা। তবে কাজ হল না তাতেও। প্রেমিকার মান না ভাঙলে কিছুতেই তিনি নামবেন না। অবশেষে ঘটনাস্থলে এলেন তাঁর মা। এবার কিছুটা কাজ হল। হাজার হলেও মা বলে কথা। তাঁর অনুরোধ খোকন ফেলেন কী করে। এরপর অনেক অনুনয়-বিনয়ের পর খোকনের এক বন্ধুর সাহায্যে তাঁকে টাওয়ার থেকে নামানো হল। এরপর খোকনকে নিয়ে যাওয়া হয় নাদন ঘাট থানায়।