কলকাতা: স্কুল খোলার দাবিতে রাস্তায় বসে পড়লেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিকাশ ভবনে যাওয়ার আগে পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়৷ তাঁকে যেতে বাধা দেওয়ায় রাস্তায় বসে পড়েন তিনি৷ স্কুল খোলার দাবিতে স্লোগান দেন তিনি৷ শুভেন্দুর প্রশ্ন, ২০০ জন নিয়ে বিয়ে বাড়ি হতে পারে, ৩০-৪০ জন পড়ুয়া নিয়ে স্কুল খুলতে পারে না? পাল্টা তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের বক্তব্য, শুভেন্দু অধিকারী খবরে থাকতে চান৷ একারণে অনুমতি ছাড়াই বিকাশ ভবনে যাওয়ার নাটক করছেন৷ তাঁর মতো রাজ্যর মুখ্যমন্ত্রী কাণ্ডজ্ঞানহীন নন৷ সব দেখেই স্কুল খোলা হবে৷ হঠাৎ করে স্কুল খুলে আবার বন্ধ করে দেওয়ার মানে হয় না৷
শুভেন্দুর দাবি, স্কুল খোলার বিষয়ে তিনি বিকাশ ভবনে যাচ্ছিলেন শিক্ষা সচিবের সঙ্গে দেখা করতে৷ কিন্তু, বিকাশ ভবন পৌঁছনোর আগেই সল্টলেকের রাস্তায় পুলিস তাঁর গাড়ি আটকায়৷ যাওয়া হবে না বলে পুলিস স্পষ্ট জানায়, দাবি শুভেন্দুর৷ এরপরই গাড়ি থেকে নেমে পড়েন শুভেন্দু৷ পুলিসের সঙ্গে তাঁর বচসা শুরু হয়৷ কেন তাঁকে যেতে দেওয়া হবে না? এ বিষয়েই বচসা৷ শেষ পর্যন্ত রাস্তায় বসে পড়েন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, অগ্নিমিত্রা পল-সহ বাকি বিজেপি বিধায়করা৷
শুভেন্দুর অভিযোগ, কেন পুলিস কেন আমার পথ আটকাবে? আমার নামে কি লুক আউট নোটিস আছে? শুধু তাই তিনি বিকাশ ভবনে বিজেপির ঝান্ডা নিয়ে আসেননি৷ তারপরও কেন পুলিস তাঁর পথ আটকাবে?
আরও পড়ুন- সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় কোভিড আক্রান্ত, হার্টেও সমস্যা, নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অ্যাপেলোতে
শুভেন্দুর অভিযোগ, বিকাশ ভবনে যাওয়ার অধিকারটুকু নেই৷ শিক্ষা সচিব সময় দিয়েছেন বলে যাচ্ছি৷ মদের দোকান খোলা, ডান্স বার খোলা৷ শুধু স্কুল বন্ধ৷ রাজ্য সরকার পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার করে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন৷ শুভেন্দুর আরও দাবি, যতদিন না পর্যন্ত স্কুল খোলা হচ্ছে ততদিন রাজ্য বিজপির কোনও না কোনও নেতা বিকাশ ভবনে আসবেন৷