নয়াদিল্লি: জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখের “অবৈধ দখলের” সমস্ত এলাকা খালি করার আহ্বান জানাল ভারত৷ জাতিসংঘে ভারতের স্থায়ী মিশন কাউন্সিলর আর মধুসূদন বলেন, “পাকিস্তানের প্রতিনিধিরা বিশ্বাস না করলেও পুরো জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে। তাই আমরা পাকিস্তানকে দ্রুত অবৈধ দখলদারি এলাকা খালি করার আহ্বান জানাচ্ছি৷”
পাকিস্তানের প্রতিনিধি মুনির আকরাম তাঁর বক্তব্যে বলেন, পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদের মদদদাতা ভারত৷ তারপরই ভারতের প্রতিনিধি মধুসূদন ইসলামাবাদের সমালোচনা করে বলেন, ইসলামাবাদের “প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস” রয়েছে৷ তা হল সন্ত্রাসীদের আশ্রয়, সহায়তা৷ সন্ত্রাসবাদীদের সক্রিয়ভাবে সমর্থন করারও ইতিহাস রয়েছে পাকিস্তানের।
📺 Watch: Mr. @Msudan, Counsellor makes further statement at the #UNSC Open debate on 'Protection of Civilians in Armed Conflict: #WarInCities – Protection of Civilians in Urban Settings' ⤵️@MeaIndia pic.twitter.com/QBn36jFhzW
— India at UN, NY (@IndiaUNNewYork) January 25, 2022
সন্ত্রাসবাদ থেকে সাধারণ নাগরিকদের হুমকির কথা তুলে ধরে মধুসূদন আরও বলেন, ২০০৮ সালে মুম্বই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা পাকিস্তান আজও উপভোগ করে চলেছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ‘সশস্ত্র সংঘাতে সাধারণ নাগরিকের সুরক্ষা’ নিয়ে বিতর্ক চলাকালীন ভারত আরও বলেন, জাতি সংঘের সদস্য প্রতিটি দেশই জানে, পাকিস্তান কীভাবে সন্ত্রাসীদের ‘আশ্রয়’ দেয়।
এখানেই থেমে থাকেননি ভারতের প্রতিনিধি আর মধুসূদন৷ তিনি আরও বলেন, “এই প্রথমবার নয় যে, পাকিস্তানের প্রতিনিধি জাতিসংঘের দেওয়া প্ল্যাটফর্মকে আমার দেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বিদ্বেষপূর্ণ প্রচারণা চালানোর জন্য অপব্যবহার করেছে৷ তাঁর দেশের দুঃখজনক অবস্থা থেকে বিশ্বের মনোযোগ সরাতে নিরর্থক চেষ্টা করেছেন৷ যেখানে সন্ত্রাসীরা বিনামূল্যে পরিষেবা উপভোগ করে। সাধারণ মানুষের পছন্দ এবং বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের পছন্দ উল্টে দেওয়া হয়।”
আরও পড়ুন-ইউক্রেন নিয়ে শুক্রবার পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপ করবেন ম্যাক্রোঁ
নমধুসূদনের কথায়, “পাকিস্তান এমন একটি দেশ যা বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক হিসাবে স্বীকৃত এবং নিরাপত্তা পরিষদ কর্তৃক নিষিদ্ধ সন্ত্রাসীদের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক হোস্ট করার বিশ্ব রেকর্ড রয়েছে। তাই, আজ সারা বিশ্বে সন্ত্রাসী হামলার উৎপত্তি, কোনো না কোনো আকারে পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে৷