বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে বেড়িয়েছেন কিংবা বাড়িতে সপ্তাহন্তের সুখ উপভোগ করছেন, সময়টা ভালই কাটছিল। মনটাও বেশ খুশি খুশি কিন্তু হঠাত্ ছন্দপতন। একরাশ মন খারাপ এসে ভিড় জমালো মনে। হই হট্টগোলের মধ্যে আপনি চুপ। কেমন একটা মানসিক টানাপোড়েন। আধুনিক জীবনযাপনের স্ট্রেস তার ওপর আবার অতিমারির আতঙ্ক। নিত্য জীবযাপনের কোনও একটা মুহূর্তে অ্যাংজাইটি বা উদ্বেগের শিকার হয়েছেন অনেকেই। মুড সুইঙ্গ থেকে শুরু করে প্যানিক অ্যাটাক, এই অ্যাংজাইটি আপনাকে ফেলতে পারে যে কোনও অপ্রিতিকর পরিস্থিতিতে।
সত্যি বলতে কি অল্প বিস্তর অ্যাংজাইটি খারাপ নয় এটা আমাদের শরীরের ডিফেন্স মেকানিজামের একটি অংশ। কিন্তু এটা যদি ঘনঘন হতে থাকে তখন নিঃসন্দেহে এর প্রতিকারের প্রয়োজন রয়েছে।অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে এই পাঁচ কারনে উদ্বেগে ভোগেন অধিকাংশ মানুষ। তবে এই অ্যাংজাইটি তো আর আচমকা হয় না এর পিছনেও থাকে অনেকগুলো কারন। সেগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখলে অনেক ক্ষেত্রেই দূরে রাখা সম্ভব অ্যাংজাইটি।যেমন-
অ্যাংজাইটির প্রধান কারন হল এমন কোনও অপ্রিতিকর পরিস্থিতি যা আমাদের মনের ওপর অহেতুক চাপ সৃষ্টি করছে। এই চাপ সৃষ্টির ফলে ব্যাহত হচ্ছে নিত্যদিনের কাজকর্ম।তাই বেশ কয়েকদিন ধরে কোনও বিষয় আপনাকে চিন্তায় রাখলে আপনার অ্যাংজাইটি অ্যাটাকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
কফিপ্রেমিদের জন্য এটা খারাপ খবর। মাত্রাতিরিক্ত কফি খেলে অ্যাংজাইটি বাড়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে বলে জাানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।তাই প্রিয় পানীয় খান পরিমান মেপে। ঘনঘন কফি না খেয়ে মাঝে মধ্যে তেষ্টা মেটাতে টাটকা ফলের রস কিংবা লেমোনেড খেতে পারেন।
আপনি কি কাজ পাগল? কোন কারনে আপনার কাজে ব্যাঘাত ঘটলে কিংবা কাজে মন মতো ফল না পেলে সহজেই যদি হতাশ হয়ে পড়েন। তাহলে এই হতাশায় আপনার মধ্যে উদ্বেগের সঞ্চার করতে পারে।এই লো প্রোডাক্টিভিটি আর অ্যাংজাইটি একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে। একদিকে যেমন লো প্রোডাক্টিভিটি অ্যাংজাইটি ডেকে আনে তেমন আবার অ্যাংজাইটির কারনে আপনার কর্ম ক্ষমতা বা দক্ষতা প্রভাবিত হয়। মনের মতো কাজ বা ফল পাওয়া যায়না।
কোনও কারনে একটানা মেজাজ খারাপ থাকলে বা খুব রেগে গেলে অনেকের অ্যাংজাইটি বা প্যানিক অ্যাটাক হয়। তাই আপনি যদি ভীষণ ভাবে অ্যাংজাইটিতে ভোগেন তা হলে আপনার রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখা দরকার।
রাত জেগে ফোনে কিংবা ওটিটি প্ল্যাটফর্মে সময় কাটানোর ফলে ঘুমের যে ঘাটতি কমছে তা পরের দিন পূরণ করে নেওয়ার চেষ্টা করুন। না হলে অন্যান্য শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি বাড়বে অ্যাংজাইটি। তাই নাইট আউল না হয়ে প্রত্যেকদিন একই সময়ে ঘুমোনোর চেষ্টা করুন।
(ছবি সৌ:Unsplash)