দুর্গাপুর: ভুবন বাদ্যকরের (Bhuban Badyakar) কাঁচা বাদাম গানে লক্ষ্মীলাভ যোগীরাজ্যের বাদাম বিক্রেতাদের। যেখানে সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর মাসে একটি ৪০ কেজির বাদামের বস্তা বিক্রি হতে ৪-৫ দিন সময় লাগত সেখানে ডিসেম্বর মাসে ওই ৪০ কেজির বাদামের (Peanut Seller) বস্তা বিক্রি হয়েছে একদিনেই। হঠাৎ কেন এত চাহিদা বেড়ে গেল তা প্রথমে বুঝতে পারেননি ভিন রাজ্য থেকে আসা তসলিম খান ও আলম খান নামে দুই বাদাম বিক্রেতা। এক গ্রাহকের কাছ থেকে কাঁচা বাদাম গানটি শোনার পর কাঁচা বাদামের চাহিদা বাড়ার আসল কারণ জানতে পারেন তাঁরা।
উত্তরপ্রদেশ থেকে বেশ কয়েকজন চিনাবাদাম বিক্রেতা দু্র্গাপুর সহ বিভিন্ন শহরে এসে জাতীয় ও রাজ্য সড়কের ধারে বাদাম বিক্রি করেন। যদিও উত্তরপ্রদেশে বাদাম চাষ হয় না। তবুও তাঁরা রাজস্থানের জয়পুর থেকে চিনাবাদাম সংগ্রহ করে সেপ্টেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি, এই ৬ মাস পশ্চিমবাংলার বিভিন্ন জেলায় ঘুরে ঘুরে বাদাম বিক্রি করে থাকেন। তাঁদের নিয়ে আসা বাদাম বেশ উন্নত মানের ও বিশেষ পদ্ধতিতে ভাজার কারণে চাহিদাও ব্যাপক। তবে গত দু-মাসে যেভাবে বিক্রি বেড়েছে তা বিগত কয়েক বছরে ছিল না বলে জানালেন উত্তরপ্রদেশের বদায়ুঁ জেলা থেকে দুর্গাপুরে বাদাম বিক্রি করতে আসা তসলিম ও আলম।
আরও পড়ুন: Basirhat News: ডাকঘরে গ্রাহকদের গচ্ছিত রাখা ৫০ লক্ষ টাকা উধাও, বিক্ষোভ বসিরহাটে
তাঁরা বলেন, ‘সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর মাসে একটি ৪০ কেজির বাদামের বস্তা বিক্রি হতে ৪-৫ দিন সময় লাগত। বাদাম ভেজে ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। তেমন চাহিদা ছিল না। হতাশায় ভুগছিলাম। ডিসেম্বর মাসে হঠাৎই কাঁচা বাদাম আছে এই কথা জিজ্ঞাসা করে গ্রাহকদের ভিড় বাড়ে। এক দিনেই ৪০ কেজির বস্তা শেষ।’ হঠাৎ কেন এত চাহিদা বেড়ে গেল তা প্রথমে বুঝতে পারেননি ভিন রাজ্যের এই বাদাম বিক্রেতারা। তসলিমের কথায়, ‘এক গ্রাহক কাঁচা বাদাম গান শুনিয়ে জানালেন, এই গানটি ভাইরাল হয়েছে। তখনই বুঝতে পারি, কাঁচা বাদামের চাহিদা বাড়ার কারণ।’ এর জন্য ভুবন বাদ্যকরকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন তাঁরা। এখন গ্রাহক টানতে তাঁরাও ‘কাঁচা বাদাম’ গানটি বাজাচ্ছেন।