কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: কড়া বিধিনিষেধ জারি করেছিল রাজ্য সরকার। কলকাতা হাইকোর্টের কড়া নির্দেশ ও শর্তও ছিল। বিধি যাতে মেনে চলা হয় তার জন্য তৎপর ছিল প্রশাসন। তবুও অক্ষরে অক্ষরে বিধি পালন সম্ভব হয়নি গঙ্গাসাগর মেলায়। ভিড় কম থাকলেও পৌষ সংক্রান্তিতে গঙ্গাসাগরে ভেসে গেছে বিধিনিষেধ। শুক্রবার ভোর থেকেই বৃষ্টি শুরু হওয়ায় তুলনামূলক ভিড় কম ছিল গঙ্গাসাগরে। বেলা বাড়তেই বৃ্ষ্টি আরও বেড়েছে। যার জেরে অন্যান্যবারের তুলনায় ভিড় কম ছিল তীর্থযাত্রী-সহ সাধু-সন্তদের আখড়াতেও। প্রশাসন জানিয়েছে, গত বছরের তুলনায় ২৫ শতাংশ লোক এবছর মেলায় এসেছেন। কোভিড আবহে ভিড় কম থাকায় খানিকটা স্বস্তিতে ছিল প্রশাসন।
শুক্রবার গঙ্গাসাগর মেলায় এসে কপিল মুনির মন্দিরে পুজো দেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং বিজেপি নেত্রী উমা ভারতী। এই মেলায় রাজ্য সরকারের ব্যবস্থাপনায় খুশি বিজেপি নেত্রী। কোভিড মোকাবিলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার যে ব্যবস্থা নিয়েছে তা প্রশংসার যোগ্য, বলেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উমা ভারতী। এদিন সাগরের মেলা অফিসে সাংবাদিক সম্মেলন করে অরূপ বিশ্বাস জানান, ‘এবছর ই-স্নান করেছেন ২,৭৮,৭৮০ জন মানুষ, ই-দর্শন করেছেন ২ কোটি ৭৮ হাজার মানুষ, ই-পূজার জন্য ১ লক্ষ ৬৩৬২ আবেদন করেছেন। দুবাই, লন্ডন, আমেরিকা থেকেও বহু মানুষ আবেদন করেছেন ই-স্নানের জন্য।’
শুক্রবার মেলায় প্রবেশের সময় যে কড়াকড়ি লক্ষ করা যাচ্ছিল, স্নানের সময় তা দেখা যায়নি। মাস্ক ছাড়া দূরত্ববিধি না মেনেই অনেকেই পুণ্যস্নান করেছেন। বিধি মানতে সচেতনতা প্রচার চালিয়েছে প্রশাসন। নজরদারি চালিয়েছেন হাইকোর্টের নির্দেশে তৈরি হওয়া কমিটির সদস্যরা। তবুও ৫০ জনের নিয়মও পালন হয়নি। গাদাগাদি করে পুজো চলেছে কপিল মুনির মন্দিরেও। টিকার সার্টিফিকেট ছাড়া যাতে কেউ ঢুকতে না পারে তার জন্য মোতায়েন ছিল বহু পুলিসকর্মী। তবুও অনেক ক্ষেত্রেই পুলিসের নজর এড়িয়ে অনেকেই ঢুকে পড়েন।
আরও পড়ুন: Virat Kohli: টেস্টে বিরাট যুগের অবসান, অধিনায়কত্ব ছাড়লেন কোহলি
শনিবার দুপুরে শেষ হয়ে যায় গঙ্গাসাগর মেলা। দুপুর ১টা নাগাদ মেলা শেষের কথা ঘোষণা করেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তারপরই গঙ্গাসাগরের তিন নম্বর রাস্তা থেকে সমুদ্রতট পর্যন্ত ঝাড়ু হাতে পরিছন্নতা অভিযানে নামেন মন্ত্রী। ছিলেন জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তরের মন্ত্রী পুলক রায়, সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা, সাগর বকখালি উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান শ্রীমন্ত মালি, জেলাশাসক পি উলগানাথন, সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার ভাস্কর মুখার্জি প্রমূখ।