২০২৫ সালের জুনে শুরু হয়েছিল ১৩ দিনের ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধ। কয়েক দশক ধরে চলে আসা ‘প্রক্সি’ যুদ্ধের ধারা থেকে সরাসরি সামরিক সংঘাতের এক গুরুত্বপূর্ণ মোড়। ইজরায়েলি বাহিনীর ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক পরিকাঠামোতে হঠাৎ হামলা শুরু হয়। সেই হামলা শুরুর দিনে কী জানিয়েছিল ইরান? (১) ইরান মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় টেরর স্টেট। (২) ইরানের রেজিম বদলাতেই হবে। (৩) ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র প্রকল্পকে শেষ করে দিতে হবে। এই তিন দাবী নিয়ে যুদ্ধ তো শুরু হল, তারপর? ১৩ জুন, ২০২৫- ইজরায়েলের প্রাথমিক আক্রমণ শুরু, ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক পরিকাঠামোতে আকস্মিক হামলা। এতে বেশ কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও পারমাণবিক বিজ্ঞানী নিহত হলেন। ১৩ থেকে ২১ জুন, ২০২৫- ইজরায়েল-ইরান সরাসরি সংঘাত। ইজরায়েলের হামলার জবাবে ইরান শতশত ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপ করে। ২১ থেকে ২২ জুন, ২০২৫- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হস্তক্ষেপ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ফোরডো, ইসফাহান ও নাতানজ পারমাণবিক প্রকল্প কেন্দ্রগুলোতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতে ‘ব্যাপক নির্ভুল হামলা’ চালায়। আর ২৩ জুন, ২০২৫- মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদন বের হল, ডিআইএ (Defense Intelligence Agency) রিপোর্ট দিচ্ছে যে, মার্কিন হামলা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে ‘মাত্র কয়েক মাস’ পিছিয়ে দিয়েছে। ২৪ জুন, ২০২৫- যুদ্ধবিরতি ঘোষণা।
ইজরায়েল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে এই বলে বিরাট বিজয়ের কথা বলেছে, আর মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো একটি আলাদা ছবি তুলে ধরেছে, যা ইঙ্গিত করে যে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি কেবল সাময়িকভাবে কয়েক মাসের জন্য পিছিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, প্রাথমিকভাবে বলেছিল খামেনি রেজিমের অবসান চাই, তারপর ইউ টার্ন, ট্রাম্প সাহেব দ্রুতই ইরানের শাসন পরিবর্তনের ধারণা থেকে সরে এসেছেন এবং আঞ্চলিক শান্তির কথা বলছেন। কেবল নোবেল পুরস্কারের জন্য? মনে হয় না। যা করেছেন তাঁকে বাংলায় ‘ঠেলার নাম বাবাজি’ বললে ঠিকঠাক বোঝানো যাবে। ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে মধ্যপ্রাচ্য ছিল এক ধারাবাহিক উত্তেজনার অঞ্চল, যেখানে ইজরায়েল ও ইরানের মধ্যে ধারাবাহিক লড়াই জারি ছিল, ছিল ঐতিহাসিকভাবে ‘প্রক্সি’ সংঘাত, যেখানে লেবাননের হিজবুল্লা এবং গাজার হামাসের মতো ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলো জড়িত ছিল, যাদের সঙ্গে ইজরায়েলের এই সময়ে তীব্র সংঘর্ষ দেখা গিয়েছে। কিন্তু ২০২৫ সালের জুনের যুদ্ধ এক নাটকীয় এবং নজিরবিহীন উত্তেজনা তৈরি করেছিল, যা সামনে-পেছনে না দেখেই শুরু করেছিল ইজরায়েল আর পিছন থেকে ধুঁয়ো দিয়েছিল আমেরিকা। লক্ষ্যণীয় বিষয় হল, মনে করা হয় ইরানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্সি হল হিজবুল্লা, তারা কিন্তু সরাসরি সংঘাতে পুরোপুরি জড়িত হয়নি। হামাসের ক্ষেত্রে বা হুথিদের ক্ষেত্রেও সেই একই কথা বলা চলে। আর এটা দুটো সম্ভাবনার কথা বলে, ইরানের কিছু প্রশ্রয় পেলেও এই সংগঠনগুলো তাদের মন-মর্জি হিসেবেই চলে বা ইরান জেনে শুনেই তার প্রক্সি সংগঠনগুলোকে প্রাথমিক পর্যায়ে যুদ্ধে নেমে পড়তে বারণ করেছিল। যদি ধরেই নিই যে দ্বিতীয়টা সত্যি, তাহলে কিন্তু এটাও বোঝা যাবে যে ইরানের কাছে দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ পর্যায়ে যুদ্ধ চালিয়ে যাবার এক বড় পরিকল্পনা ছিল।
কাজেই ট্রাম্প সাহেব যখন বললেম যে, প্রথম ১২ ঘন্টা ইরান যুদ্ধবিরতি পালন করবে, তার পরের ১২ ঘন্টা ইজরায়েল তার পর থেকে দু’পক্ষের স্থায়ী যুদ্ধ বিরতি, তখন ইরান তা মেনে নেয়নি। সাফ জানিয়েছিল, ইজরায়েল হামলা বন্ধ করলে আমরাও হানাদারি বন্ধ করব। কাজেই ৬৭-র ছ’দিনের যুদ্ধে ইজরায়েল যে জয়ের দাবী করেছিল, এবারে তার একটাও, এক শতাংশও করার জায়গাতেই নেই, সে অফিসিয়াল বিবৃতি যাই হোক না কেন। সেবারে ৬ দিনের যুদ্ধের পরে রাস্তায় নেমেছিলেন উচ্ছসিত ইজরায়েলের মানুষজন, এবারে তাঁরা কোথায়? তাঁরা বারবার জানতে চাইছে, সিজফায়ার ঠিকঠাক হয়েছে কী না। এই যে ‘ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির অস্ত্রায়নের হুমকিকে হ্রাস, ধ্বংস এবং অপসারণ করা’। এটা ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দীর্ঘস্থায়ী কৌশলগত মতবাদ। আজ নয় বছর পনেরো আগেও তিনি এই কথাই বলেছেন। ইরানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে ইজরায়েল রাষ্ট্রের জন্য একটি ‘অস্তিত্বের হুমকি’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। জানিয়ে রাখি ইজরায়েলের এই আক্রমণ শুরু করার সিদ্ধান্ত এক গোপন গোয়েন্দা রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে নেওয়া হয়েছিল, যা ১২ জুন, ২০২৫ তারিখে হামলার মাত্র একদিন আগে বার করা হয়েছিল। এই রিপোর্টে দাবি করা হয় যে, ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি-র ৩১ মে-র রিপোর্ট অনুযায়ী ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচিকে অস্ত্রায়নের সক্ষমতার ক্ষেত্রে ‘পয়েন্ট অফ নো রিটার্ন’-এর কাছাকাছি পৌঁছে যাচ্ছে। কিন্তু পরে জানা যাচ্ছে সেরকম কোনও কথা আইএইএ-র রিপোর্টে ছিলই না। আসলে এই পারমাণবিক অস্ত্র ইত্যাদির ওপরেও ইজরায়েলের লক্ষ্য আসলে সম্প্রসারণ, তাদের ‘গড প্রমিসড হোমল্যান্ড’-এর দখলদারি। সেটা কী? ইহুদি ধর্মগ্রন্থ ‘তালমন্দে’-তে বলা আছে এক ভুখন্ডের কথা, মিশর সিরিয়া হয়ে প্রায় পুরো মধ্যপ্রাচ্য হল ইহুদিদের হোমল্যান্ড, কাজেই সেই জমির দখল তারা চায়। তিন হাজার বছর আগে এক পুঁথির তথ্য নিয়ে এক আধুনিক সমাজে তথাকথিত সভ্য শিক্ষিত মেধাবী এক সমাজে এরকম অসভ্য ভাবনা চিন্তা কী ভাবে রয়ে গেছে সেটা সত্যিই অবাক করার মত কথা।
আরও পড়ুন: Fourth Pillar | আমেরিকার কথায় যুদ্ধ হবে, থামবে, আমেরিকা কি নতুন ভগবান?
আসলে এটা এক ধরনের জবরদস্তিমূলক কূটনীতি, যেখানে তাৎক্ষণিক যুদ্ধক্ষেত্রের উদ্দেশ্য ছাড়িয়ে রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য সামরিক শক্তি ব্যবহার করা হয়। ইজরায়েল ‘ইরানি শাসনব্যবস্থার প্রতি একটি বিশ্বাসযোগ্য অস্তিত্বের হুমকির, শেষ করে দেব গোছের ধারণা তৈরি করতে’ চেয়েছিল। ইজরায়েল ভেবেছিল শাসন ব্যবস্থায় টিকে থাকার প্রতি ইরানের প্রবল আগ্রহ তাকে ইজরায়েলের অনুকূল শর্তে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হতে বাধ্য করতে পারে বা তার বদলে এক রাজনৈতিক পালাবদল ঘটিয়ে একটা পুতুল সরকার বানানো যাবে। কিন্তু ইরানের মিসাইল, রকেট, ড্রোন ইত্যাদির কথা মাথাতেই ছিল না ইজরায়েলের, বা তারা নিজেদের আয়রন ডোমের উপর একটু বেশিই নির্ভরশীল ছিল। কিন্তু ধারাবাহিক মিসাইল হামলা, ইজরায়েলের বড় বড় শহরগুলোতে ধ্বংসলীলা দেখার পরে তাদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যুদ্ধ বিরতির কথা মাথায় ঢুকেছে। কিন্তু যুদ্ধবিরতির পর, ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এক জোরালো সাফল্যের দাবি করেছেন, বলেছেন যে ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ ইজরায়েল ‘সব যুদ্ধের লক্ষ্য অর্জন করেছে’ এবং কার্যকরভাবে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে ‘ধ্বংস করে দিয়েছে’। তিনি বিশেষ করে শীর্ষ ইরানি জেনারেল এবং পারমাণবিক বিজ্ঞানীদের সফলভাবে লক্ষ্যবস্তু করা এবং নাতানজ, ইসফাহান এবং আরাক হেভি ওয়াটার রিয়াক্টরের মতো মূল পারমাণবিক স্ট্রাকচারগুলো ধ্বংস করার কথা তুলে ধরেন। কিন্তু ট্রাম্পেরও প্রাথমিক, ব্যাপক দাবি সত্ত্বেও যে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ‘সম্পূর্ণরূপে ও পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন’ হয়ে গিয়েছে, তার বদলে এক ভিন্ন মূল্যায়ন মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদন থেকেই উঠে আসে। ২৩ জুন, ২০২৫ তারিখে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা-র রিপোর্টে সাফ বলা হয় সপ্তাহান্তে মার্কিন হামলার পর ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি বাস্তবে ‘মাত্র কয়েক মাসের জন্য পিছিয়ে গিয়েছে’। মজার কথা হল নিজেদের গোয়ান্দা সংস্থার রিপোর্ট নিজেরাই তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে, এটিকে ‘সম্পূর্ণ ভুল’ বলে অভিহিত করে, সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে হোয়াইট হাউস। ইনস্টিটিউট ফর সায়েন্স অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটির মতো কিছু প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, ইরানের সমৃদ্ধকরণ ক্ষমতা ‘কার্যকরভাবে ধ্বংস’ হয়েছে, তবে এটি সরাসরি DIA-এর মূল্যায়নের সাথে মিলছে না। এদিকে এমনকি যুদ্ধ বিরতির পরেও ইরান পারমাণবিক শক্তি সংস্থা, তাদের পক্ষ থেকে, দৃঢ়ভাবে জানিয়েছে যে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ হবে না।
শুরুর দিকে ঘরোয়াভাবে, ইজরায়েলি জনগণের একটি বড় অংশ (৭৩%) ইরানের উপর হামলার সমর্থন করেছিল। বেশিরভাগই বিশ্বাস করেছিল যে, এই সিদ্ধান্ত বৈধ নিরাপত্তা বিবেচনার উপর ভিত্তি করে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন অবস্থা পাল্টেছে, এক বিরাট সংখ্যক মানুষ এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছে এবং যাঁরা সমর্থন করেওছিল তাদের এক বড় অংশ অভিযানের চূড়ান্ত কার্যকারিতা নিয়ে যথেষ্ট সংশয়ে ছিল, মাত্র একটি ছোট অংশ (৯%) বিশ্বাস করত যে ইরানের পারমাণবিক হুমকি ‘পুরোপুরি দূর’ হবে, যেখানে প্রায় অর্ধেক (৪৯.৫%) মনে করত এটি ‘বেশিরভাগই দূর’ হবে, এবং একটি উল্লেখযোগ্য অংশ (২৭.৫%) বিশ্বাস করত এটি কেবল ‘সামান্য হ্রাস’ পাবে। এমনকি যুদ্ধ শুরুর আগেই প্রায় অর্ধেক জনগণ (৪৭%) মনে করত যে, ইজরায়েলি সরকারের অভিযানের জন্য একটি স্পষ্ট প্রস্থান কৌশল মানে এসকেপ রুট নেই। এখন সেটা পরিস্কার। নেতানিয়াহুর বলেছিলেন, “কয়েক প্রজন্ম ধরে টিকে থাকবে এমন বিজয় আমরা পাব”। কিন্তু আদতেই ইজরায়েলের আক্রমণের ফলে কিছুই অর্জন হয়নি এবং প্রায় বাধ্য হয়েই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ এবং যুদ্ধবিরতির পথ খুলে দেওয়ার চেষ্টা শুরু হয়। আর সেই কারণেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি সংঘাতে ঢুকে পড়ল। ২১ এবং ২২ জুন, ২০২৫ তারিখে ইরানের মূল পারমাণবিক প্রকল্পগুলোতে, বিশেষ করে ফোরডো, ইসফাহান এবং নাতানজে তাদের মতে ‘ব্যাপক নির্ভুল হামলা’ চালায়। এই ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’ বি-২ বোমারু বিমান, সাবমেরিন-লঞ্চড টমাহক এবং বিশেষভাবে ‘বাঙ্কার-বাস্টার বোমা’ নিয়ে এক বড়সড় হামলা। উল্লেখযোগ্যভাবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই একমাত্র দেশ যার কাছে এই হামলায় ব্যবহার হয়েছে এমন ৩০,০০০ পাউন্ডের যুদ্ধাস্ত্র রয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রকাশ্যে এই হামলাগুলোকে ‘একটি দর্শনীয় স্পেকটাকুলার সামরিক সাফল্য’ বলে প্রশংসা করেন। কিন্তু তারপরেও তেমন কিছু কী অর্জন করা গিয়েছে? বহু তথ্যই বলছে না। হয় এটা গট-আপ, একটা ব্যপার ছিল, ইরানকে সেসব জায়গা সাফ করার সময় দেওয়া হয়েছিল, নাহলেও তেমন কোনও ক্ষতি হয়নি। উলটে হামলা নিয়ে রাশিয়া, চীন সমেত বহু দেশের কাছে তীব্র প্রতিক্রিয়া এসে হাজির হয়েছে। লোক দেখানো হলেও এমনকি পাকিস্তানও এই হামলার নিন্দা করেছে।
তাহলে নেট-নেট হলটা কী? (১) ইরান টেরর স্টেট, এই কথাটা মাঠে মারা গেল। ইরান দুনিয়ার বহু দেশের কাছ থেকে সমর্থন আদায় করে নিল। (২) ইরানের শাসক বদলানোর কথাই আর উঠছে না। উল্টে সেদেশে খামেনির জনপ্রিয়তা বাড়ল, বিশ্ব রাজনৈতিক মঞ্চেও তাঁর গুরুত্ব বাড়ল। (৩) ইরানের পারমাণবিক বোমা তৈরির কাজ আমেরিকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার মতে মাস দুই তিন পিছিয়ে গেল। আর ইজরায়েল? তেল আভিভে গেলেই বুঝতে পারবেন, বা একটা ছোট্ট কাজ করুন, জিপিএস খুলে তেল আভিবে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা যাবার রাস্তা খুঁজুন, রাস্তা পাবেন না। হ্যাঁ ইজরায়েলের বেশ কিছু বড় শহরে আবার জনজীবন আগের অবস্থাতে ফিরে আসতে মাস সাত আট তো লেগেই যাবে।