Placeholder canvas
কলকাতা সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫ |
K:T:V Clock
Fourth Pillar | বিচারপতি তোমার বিচার হবে কবে? 
কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক Published By:  • | Edited By:
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫, ০৭:০৬:৫৬ পিএম
  • / ১১৬ বার খবরটি পড়া হয়েছে
  • • | Edited By:
ঘটনা ১) জাস্টিস যশবন্ত বর্মার বাড়িতে আগুন লাগার পর অনেক পোড়া টাকার নোট পাওয়া গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এরপর তদন্ত শুরু হয়েছে।
ঘটনা ২) ভারতের প্রধান বিচারপতি (CJI) সঞ্জীব খান্না তাড়াতাড়ি একটি জরুরি কলেজিয়াম মিটিং ডেকেছেন এবং এই বিষয়ে একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করেছেন।
ঘটনা ৩) কলেজিয়াম জাস্টিস বর্মাকে তাঁর মূল হাইকোর্ট এলাহাবাদে বদলি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং তাঁকে ব্যাখ্যা দেওয়ার সুযোগ দিয়েছে।
ঘটনা ৪) এলাহাবাদ হাইকোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশন এই বদলির তীব্র বিরোধিতা করেছে। তারা বলেছে, তারা ‘আবর্জনার ঝুড়ি’ নয় এবং দিল্লিতে জাস্টিস বর্মার মানহানি করা হয়েছে। তারা দাবি করেছে যে দুর্নীতি মেনে নেওয়া যায় না।
ঘটনা ৫) জাস্টিস বর্মা এক সপ্তাহের মধ্যে কলেজিয়ামের কাছে সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে পারেননি বলে প্রশ্ন উঠেছে।
ঘটনা ৬) এই ঘটনা বিচারব্যবস্থায় দুর্নীতি এবং বিচারিক জবাবদিহিতার প্রয়োজনীয়তার বিষয়টিকে সামনে এনেছে। বিচারপতির বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্টের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, যদিও এটি একটি কঠিন প্রক্রিয়া বলে স্বীকার করা হয়েছে।
ঘটনা ৭) CJI সঞ্জীব খান্নাকে বিচারব্যবস্থায় স্বচ্ছতা বাড়াতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে অভিযোগ ও পদক্ষেপের তথ্য প্রকাশ করা এবং কলেজিয়াম মিটিংয়ের বিষয়গুলো জনসমক্ষে আনার কথা রয়েছে।
ঘটনা ৮) সূত্র বলছে, সুপ্রিম কোর্ট কলেজিয়াম বদলির সুপারিশ করতে পারে, কিন্তু আসলে সরকারই শেষ পর্যন্ত এটি কার্যকর করে। কখনও কখনও সরকার এই সুপারিশ মানেই না।
ঘটনা ৯) সংসদে বলা হয়েছে যে বিচারব্যবস্থার কাজে অনেক অমীমাংসিত অভিযোগ রয়েছে, যার মধ্যে দুর্নীতির মামলাও আছে। এটি বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তো তুলবেই।
ঘটনা ১০) জাস্টিস বর্মার মামলা ছাড়াও, জাস্টিস শেখর কুমার যাদবের বিরুদ্ধে ঘৃণামূলক বক্তৃতার হেট স্পিচের অভিযোগে আর একটি তদন্ত চলছে। এটি বিচারপতিদের আচরণের যাচ্ছেতাই উদাহরণ। CJI খান্না জাস্টিস যাদবের অবসরের পরও তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছেন।
এবার ঘটনায় আসা যাক, বিচারপতি বর্মার বাড়িতে আধপোড়া টাকার বস্তা? এটা কি কোনও বলিউড থ্রিলারের শুটিং হচ্ছিল, নাকি বর্মা সাহেব রাতে বসে টাকা পোড়ানোর প্র্যাকটিস করছিলেন? CJI সঞ্জীব খান্না আর দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিকে উপাধ্যায় এত সিরিয়াস যে পুলিশকে বলেছেন, “যাও, খুঁজে বের করো, কী চলছে!” আর পুলিশও গোয়েন্দাগিরি শুরু করে দিয়েছে। ভিডিওতে সাফ দেখা যাচ্ছে একজন গার্ড দেখেছে আধপোড়া জিনিস সরানো হচ্ছে। সে তখনই রিপোর্ট করল না কেন? গার্ডটা কি ভাবছিল, “এটা বর্মা সাহেবের নতুন বারবিকিউ পার্টির পরের ছবি?” ওদিকে বিচারপতি বর্মা বলছেন, “আমি কিছুই জানি না, ঘরটা তো সবাই ব্যবহার করে!” উনি দেবশিশু, তা, ভাই, তুমি বিচারপতি, তোমার স্টোররুমে টাকার বস্তা এল কোত্থেকে? কেউ কি ডাকাতি করে এসে লুকিয়ে রেখেছিল?” আর পুলিশের রিপোর্টে বিস্তর গ্যাপ আছে— কে সরালো, কে ছবি তুলল, টাকা গেল কোথায়, এটা তো রহস্যের উপর রহস্য! নহেলে পে দহলা। আমার মনে হয়, এটা নিয়ে একটা ওয়েব সিরিজ বানানো উচিত, নাম হবে ‘Justice on Fire’। কে বানাবেন? কার এত বুকের পাটা? মজার ব্যাপার হল, সুপ্রিম কোর্ট এত স্বচ্ছতা আনার চেষ্টা করছে, কিন্তু তবুও প্রশ্ন জমে জমে পাহাড় হয়ে গেছে। তো হোক না সবার ক্ষেত্রে যেটা হয়, বা বিরোধী দলের কেউ হলেই যেটা হয়, বর্মা সাহেবকে একটা লাই ডিটেক্টরে বসাও, আর স্টোররুমে একটা CCTV লাগাও। না হলে এই টাকা পোড়ানোর বিচার বিচার খেলা চলতেই থাকবে! এবং যেটা গুরুত্বপূর্ণ, তা হল এটা কি শুধু আগুনের ঘটনা, নাকি বড় কোনও কেলেঙ্কারির ইঙ্গিত?
ভারতের প্রধান বিচারপতি (CJI) সঞ্জীব খান্না বিচারপতি যশবন্ত বর্মার বাড়িতে গত ছয় মাসে মোতায়েন করা নিরাপত্তারক্ষী আর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা অফিসারদের বিস্তারিত তথ্য চেয়েছেন, মানে বুঝতে চাওয়া যে তাঁরা কোনমুখো হয়ে শুয়েছিলেন? দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিকে উপাধ্যায় এই প্রশ্ন পুলিশের কাছে পাঠিয়েছেন। CJI বিচারপতি বর্মার ফোনের কলের বিবরণ আর ইন্টারনেট প্রোটোকল রেকর্ডও চেয়েছেন, কারণ তাঁর বাড়ির স্টোররুমে আধপোড়া টাকার নোটের ‘বস্তা’ পাওয়া গেছে বলে অভিযোগ। বিচারপতি বর্মাকে বলা হয়েছে তদন্ত চলাকালীন তিনি যেন ফোন বাতিল না করেন বা কোনও কথোপকথন, মেসেজ বা ডেটা মুছে না ফেলেন বা বদল না করেন। কিন্তু খেয়াল করুন তাঁকে সোজা জেলে পোরা হল না, যা আপনি আমি হলেই হত। দিল্লি পুলিশ কমিশনারের রিপোর্টে প্রধান বিচারপতি উপাধ্যায়কে জানানো হয়েছে যে বিচারপতি বর্মার বাড়ির একজন নিরাপত্তারক্ষী আগুনের পর সকালে ‘আধপোড়া জিনিস’ আর ধ্বংসাবশেষ সরানো হতে দেখেছেন। একটা আলাদা হিন্দি চিঠিতে বলা হয়েছে, ঘরটায় চার-পাঁচটা বস্তায় আধপোড়া টাকার নোট পাওয়া গেছে। তবে কে এই জিনিসগুলো সরিয়েছে, কে ভিডিও বা ছবি তুলেছে, পুলিশ ঘরটা তখনই সিল করে দিয়েছিল কি না, এসব প্রকাশিত তথ্যে বলা নেই। আধপোড়া টাকার নোটগুলো এখন কোথায় আছে বা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে কি না, সেটাও উল্লেখ নেই। আগুন কীভাবে লাগলো বা CCTV ফুটেজ পাওয়া গেছে কি না, সেটাও বলা হয়নি। মানে এখানে তথ্য গোপন করার চেষ্টা খুব পরিষ্কার।
বিচারপতি বর্মা বলেছেন, তিনি জানেন না ঘরে টাকা ছিল। তিনি দাবি করেছেন, “আমরা টাকা সরিয়েছি এমন কোনো ইঙ্গিত আমি মানি না। আমার কোনও কর্মী কিছু সরায়নি।” পুলিশ কমিশনারের রিপোর্টে বলা হয়েছে স্টোররুমটা তালা দেওয়া থাকত, কিন্তু বর্মা বলছেন, “এটা সবাই ব্যবহার করত, অব্যবহৃত জিনিস আর CPWD-র মাল রাখার জন্য। এটা আমার বাড়ির ঘর নয়।” দিল্লি হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার বলেছেন, ঘরটা তালা দেওয়া থাকত না। প্রধান বিচারপতি উপাধ্যায় বলেছেন, প্রাথমিক তদন্তে বাইরের কারও ঢোকার সম্ভাবনা পাওয়া যায়নি। তিনি গভীর তদন্তের সুপারিশ করেছেন। সুপ্রিম কোর্ট তিনজনের একটা তদন্ত কমিটি বানিয়েছে এই বিষয়ে আরও খতিয়ে দেখতে। এইসব সূত্রগুলো বিচারপতিদের দায় দায়িত্ব নিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটা উদ্বেগের কথা তুলে ধরেছে। জাস্টিস যশবন্ত বর্মার বাড়িতে পোড়া টাকার নোট পাওয়ার অভিযোগের ঘটনা এই উদ্বেগগুলোকে সামনে এনেছে এমনও নয়, এরকম দুর্নীতির অভিযোগ নতুন কিছু নয়।
আমরা জানি, মিডিয়াতে বহু তথ্য বিভিন্ন সময়ে বের হয়েছে যা বলে ভারতের বিচারব্যবস্থায়, এমনকী সবচেয়ে উঁচু স্তরেও, দুর্নীতি আছে। কিন্তু সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের কোনও বিচারপতির দুর্নীতির জন্য শাস্তি হয়নি।
বিচারপতিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রায়ই ওঠে, কিন্তু আইনি সুরক্ষা আর জটিল ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়ার কারণে তা প্রমাণ করা কঠিন।
অভিযোগ দেখার জন্য একটি অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থা আছে, কিন্তু এটি কতটা স্বচ্ছ বা কার্যকর, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। এতে জনগণের ভরসা কমে।
অবাক করা তথ্য হল এমনকী কিছু প্রাক্তন বিচারপতি আর আইনজ্ঞরা বলেছেন যে দুর্নীতি অনেক বেশি, কিন্তু কোনও আনুষ্ঠানিক শাস্তি হয়নি। যে কোনও প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে তো বটেই বিশেষ করে বিচার ব্যবস্থার দিকে ছুড়ে দেওয়া এই অভিযোগ বিচার ব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তোলে।
এককথায় বলাই যায় যে ভারতের সবচেয়ে উঁচু বিচারব্যবস্থা, যেমন সুপ্রিম কোর্ট আর হাইকোর্টে দুর্নীতি নিয়ে অনেক কথা হয়। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের কোনও বিচারপতি দুর্নীতির জন্য ধরা পড়েননি, কিন্তু অভিযোগ উঠছে, আগেও উঠেছে। প্রাক্তন বিচারপতি আর আইনজ্ঞরাও এ নিয়ে কথা বলেছেন। অভিযোগ দেখার জন্য যে গোপন ব্যবস্থা আছে, তাও কতটা ভালো কাজ করে আর সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখার পরে তা কতটা বাইরে আসে, আদৌ কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। আর এই জন্যই বিচারব্যবস্থার উপরে মানুষের ভরসা কমে যাচ্ছে।
এই বিষয় নিয়ে বহু গবেষণা হয়েছে। লেখা হয়েছে। যা বলে, বিচারব্যবস্থায় ঘুষ, পক্ষপাত আর ক্ষমতার অপব্যবহার হয়। ৪৫ শতাংশের বেশি ভারতীয় মনে করেন বিচারব্যবস্থায় দুর্নীতি আছে। কিন্তু এগুলো প্রমাণ করা কঠিন কারণ বিচারপতিদের বিরুদ্ধে মামলা করতে মুখ্য বিচারপতির অনুমতি লাগে। ১৯৯১ সালের একটি রায়ে এটা বলা আছে। তাই সুপ্রিম কোর্টে কাউকে শাস্তিও দেওয়া যায়নি। কিন্তু হাইকোর্টে কিছু বড় ঘটনা ঘটেছে। যেমন, ২০১১ সালে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমিত্র সেন টাকা আত্মসাতের জন্য ইমপিচড হন, কিন্তু তিনি পদত্যাগ করেন। আর একজন, বিচারপতি পিডি দিনাকরণ, কর্নাটক হাইকোর্টের মুখ্য বিচারপতি থাকাকালীন দুর্নীতির অভিযোগে ২০১১ সালে পদত্যাগ করেন। এগুলো দেখায় যে দুর্নীতির শাস্তি হয় না এবং ইমপিচমেন্ট ব্যাপারটা খুব কঠিন এবং সুপ্রিম কোর্টে এখনও কেউ শাস্তি পায়নি। ২০১০ সালে প্রাক্তন আইনমন্ত্রী শান্তি ভূষণ বলেছিলেন, গত ১৬ জন মুখ্য বিচারপতির মধ্যে ৮ জন দুর্নীতিগ্রস্ত ছিলেন। কিন্তু তদন্ত হয়নি। ২০২২ সালের একটি রিপোর্টে বলা হয়, গত পাঁচজন মুখ্য বিচারপতির মধ্যে চারজনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ ছিল, কিন্তু কিছু করা হয়নি। সংসদে বলা হয়েছে, বিচারব্যবস্থার বিরুদ্ধে ১,৬৩১টি অভিযোগ অমীমাংসিত আছে। এসব আমরা শুনেই যাচ্ছি, কিন্তু একজনেরও কি শাস্তি হয়েছে? হয়নি। এক বড় সমস্যা আর উদ্বেগের বিষয় হল অভিযোগ ও তদন্ত নিয়ে স্বচ্ছতা ও তথ্যের অভাব। এই ক্ষেত্রেও দেখবেন সুপ্রিম কোর্ট কিছু নথি প্রকাশ করেছে, যাকে স্বচ্ছতার দিকে নাকি একটা বিশাল পদক্ষেপ বলা হচ্ছে। কিন্তু সেসব নথির এক বিরাট অংশের তথ্য লুকানো আছে এবং অনেক কিছুই বিস্তারিত জানা যায়নি, যেমন কারা ঘর থেকে জিনিস সরিয়েছে বা ঘরটা তৎক্ষণাৎ বন্ধ করা হয়েছিল, সিল করা হয়েছিল কি না, তা জানা যাচ্ছে না। পাওয়া টাকার পরিমাণও প্রকাশ করা হয়নি, মানে আমরা জানিই না কত টাকা ছিল, কত টাকা পুড়েছে, কার টাকা সে তো অনেক পরের কথা। এই অস্পষ্টতা কেন?
এবং এরপরেও জনগণের বিচার ব্যবস্থার উপরে ভরসা রাখবেন? রাখতে পারবেন? অভ্যন্তরীণ তদন্ত এবং বদলির মাধ্যমে এক ধরনের দায়িত্ব নিশ্চিত করার ব্যবস্থা আছে, মানে তদন্ত হবে বদলি হবে, তবে তো বিচার সম্ভব, সেটা নিয়েও নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এলাহাবাদ হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন জাস্টিস বর্মার বদলির তীব্র বিরোধিতা করেছে। তারা নিজেরাই মনে করে, শুধু বদলি গুরুতর অভিযোগের জন্য যথেষ্ট বা উপযুক্ত উত্তর নয়। তারা বলেছে, এলাহাবাদ হাইকোর্ট অভিযুক্ত বিচারপতিদের জন্য ‘আবর্জনার ঝুড়ি’ নয়। সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বিকাশ সিং বলেছেন, জাস্টিস বর্মা যদি সন্তোষজনক ব্যাখ্যা না দেন, তাহলে বদলি কোনও সমাধান নয়, কিন্তু এই বলাই সার, আর কিছুই তো হচ্ছে না। এক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতারও সীমা আছে। কলেজিয়াম জাস্টিস বর্মার বদলির সুপারিশ করেছে এবং আগে গুজরাট হাইকোর্টের বিচারপতিদের বদলির চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সরকার এই বদলি কার্যকর করেনি, বা বাধা দিয়েছে, নীরব থেকেছে। সরকারের উপর এই নির্ভরতা বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতা ও নিজের সদস্যদের জবাবদিহি করার ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। কাজেই সরকার কোন ভূমিকা নিচ্ছে সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। দেখুন না সব ব্যাপারে বড়বোলা, প্রচুর কথা বলা যাঁর অভ্যেস সেই মোদিজি এখন সময় বুঝে চুপ করে বসে আছেন, এখন তাঁর মুখে আলিগড়ের তালা। সংসদে আজ নয় সেই কবেই বলা হয়েছে, বিচারব্যবস্থার বিরুদ্ধে ১,৬৩১টি অমীমাংসিত অভিযোগ আছে, যার মধ্যে দুর্নীতির মামলাও রয়েছে। আরও মজার তথ্য হল এই অভিযোগের অবস্থা জানতে একটি RTI আবেদন করা হয়েছিল, কিন্তু সেটাও প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। তার মানে সরষের মধ্যেই ভূত রয়েছে, আর যদি সরকারের পৃষ্ঠপোষকতাতেই এই দুর্নীতি চলে, তাহলে তা দূর করবে কে? মনে পড়ছে না খাউঙ্গা না খানে দুঙ্গা। এমনিতেই বিচারপতিদের ইমপিচমেন্ট খুব জটিল একটা প্রক্রিয়া। জাস্টিস শেখর কুমার যাদবের বিরুদ্ধে ঘৃণামূলক বক্তৃতার অভিযোগে তদন্ত চলছে। কিন্তু দোষী সাব্যস্ত হলেও, সম্ভবত বদলির মতো ছোটখাট পদক্ষেপেই বিষয়টা শেষ হবে। আলোচনাকে গুটিয়ে এনে বলাই যায় যে এই সময়ে জুডিসিয়াল অ্যাকাউন্টেবিলিটি, বিচারব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা বজায় রাখার আপাতত উপায়গুলো একেবারেই যথেষ্ট নয়, তাতে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে এবং সেগুলো কার্যকর করার ক্ষেত্রেও অনেক ধরনের সীমাবদ্ধতা আছে। আর বিচার ব্যবস্থার উপর থেকেই যদি মানুষের ভরসা চলে যায়, তাহলে তা দেশকে এক নৈরাজ্যের দিকে নিয়ে যাবে এ কথা বলাই বাহুল্য। সমস্ত ভরসা হারিয়েই মানুষ বলে চল তোকে আদালতে দেখে নেব, সেই আদালতের বিচারপতির ঘরে নোটের বস্তা থাকলে মানুষের মধ্যে এক অসম্ভব হতাশা জন্ম নিতে বাধ্য, সেই হতাশা এক নৈরাজ্যের জন্ম দেবে এটাও নিশ্চিত।

পুরনো খবরের আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০ ১১ ১২ ১৩ ১৪ ১৫
১৬ ১৭ ১৮ ১৯ ২০ ২১ ২২
২৩ ২৪ ২৫ ২৬ ২৭ ২৮ ২৯
৩০৩১  
আর্কাইভ

এই মুহূর্তে

খাবারে বিষক্রিয়া! যোগীরাজ্যে বেঘোরে প্রাণ হারাল ৪ শিশু
শুক্রবার, ২৮ মার্চ, ২০২৫
আমেরিকার সঙ্গে পুরানো বন্ধুত্ব শেষ করল কানাডা, কিন্তু কেন?
শুক্রবার, ২৮ মার্চ, ২০২৫
দিল্লিতে অ্যামাজন ও ফ্লিপকার্টের গুদামে হানা বিআইএসের
শুক্রবার, ২৮ মার্চ, ২০২৫
বদলির সুপারিশ! দিল্লির বিচারপতি আসছেন কলকাতা হাইকোর্টে
শুক্রবার, ২৮ মার্চ, ২০২৫
ভ্যাপসা গরমে নাজেহাল অবস্থা বঙ্গবাসীর
শুক্রবার, ২৮ মার্চ, ২০২৫
বাধ্যতামূলক গর্ভাবস্থা নিবন্ধন নষ্ট করছে গোপনীয়তা!
শুক্রবার, ২৮ মার্চ, ২০২৫
৩০ এপ্রিল শুরু কেদারনাথ যাত্রা, ইউ টিউবার ও সোশ্যাল মিডিয়ার কন্টেন্ট ক্রিয়েটারদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
শুক্রবার, ২৮ মার্চ, ২০২৫
অনুপ্রবেশ রোধে মোক্ষম দাওয়াই, লোকসভায় পাশ হল অভিবাসন ও বিদেশি বিল ২০২৫
শুক্রবার, ২৮ মার্চ, ২০২৫
অক্সফোর্ডের ক্যাম্পাস হোক কলকাতায়, আবেদন মুখ্যমন্ত্রীর  
শুক্রবার, ২৮ মার্চ, ২০২৫
ছয় কেজি গাঁজা সহ গ্রেফতার ৩
শুক্রবার, ২৮ মার্চ, ২০২৫
২,০০০ ভারতীয়র ভিসা-র আবেদন বাতিল করল আমেরিকা, কিন্তু কেন?
শুক্রবার, ২৮ মার্চ, ২০২৫
দিন-দুপুরে থরথর করে কাঁপল মাটি! ভূমিকম্পের আতঙ্কে হুলুস্থুল কাণ্ড
শুক্রবার, ২৮ মার্চ, ২০২৫
Fourth Pillar | চায়ওলা, চৌকিদারের লজ্জাজনক জবানবন্দি
শুক্রবার, ২৮ মার্চ, ২০২৫
Fourth Pillar | বিচারপতি তোমার বিচার হবে কবে? 
বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫
উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে অনড় পড়ুয়ারা, বুধেও চলছে বিক্ষোভ
বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫
© R.P. Techvision India Pvt Ltd, All rights reserved.
Developed By KolkataTV Team