২৬/১১/ ২০০৮। মুম্বইয়ে ঠান্ডা তেমন পড়েনি, কফি হাউস থেকে রেল স্টেশন, পাঁচতারা হোটেল থেকে বাস টার্মিনাসে মানুষের আনাগোনা। আর ঠিক সেই সন্ধে গড়িয়ে রাত আসার আগেই ৯.২০তে খবর পাওয়া গ্যালো কিছু দুষ্কৃতী ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাস, মুম্বইর সবথেকে বড় রেলস্টেশনে গুলি চালিয়েছে। সে খবর বুঝে ওঠার আগেই বিভিন্ন জায়গা থেকে সেই আক্রমণের খবর আসা শুরু হল। রাত ৯:৩০: লিওপোল্ড ক্যাফে, তাজমহল প্যালেস এবং টাওয়ার হোটেল এবং ওবেরয় ট্রাইডেন্ট হোটেলে আক্রমণ শুরু হয়। রাত ১০:০০: নরিম্যান হাউস (সাবাথ হাউস) আক্রমণ হয়, ওখানে পণবন্দি করে রাখা হয় কিছু ইহুদি মানুষজনকে, কিছু মানুষকে মারা হয়।
রাত ১০:৩০: মাজাগাও ডকসে বোমা বিস্ফোরণ হয়, কিন্তু সেখানে খুব বেশি কিছু করে উঠতে পারেনি এই উগ্রপন্থীরা।
রাত ১১:৩০: কামা হাসপাতালের কাছে আক্রমণ, এর কিছুটা দুরেই উগ্রপন্থীদের গুলিতে মারা যান হিমন্ত কারকারে, অশোক কামতে, বিজয় সালাস্কর, এঁরা প্রত্যেকেই অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াডের। আক্রমণের মূল লক্ষ্য ছিল দক্ষিণ মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ টার্মিনাস, ওবেরয় ট্রাইডেন্ট, তাজমহল প্যালেস এবং টাওয়ার হোটেল, লিওপোল্ড ক্যাফে, কামা হাসপাতাল, নরিম্যান হাউস, মেট্রো সিনেমা, এবং টাইমস অফ ইন্ডিয়া ভবনের পিছনে একটি গলি। এরপরে তাজমহল, ওবেরয় ট্রাইডেন্ট, এবং নরিম্যান হাউসে পণবন্দি হয়ে থাকা মানুষজনকে উদ্ধার আর উগ্রপন্থীদের মোকাবিলার কাজ চলতে থাকে। বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনী, যার মধ্যে জাতীয় নিরাপত্তা গার্ড রয়েছে, বন্দিদের উদ্ধার এবং আক্রমণকারীদের নিয়ন্ত্রণে আনতে লাগাতার কাজ শুরু করে। নভেম্বর ২৮, নরিম্যান হাউস এবং ওবেরয় ট্রাইডেন্টে এনএসজি কমান্ডোরা আক্রমণকারীদের নিয়ন্ত্রণে আনে। আক্রমণ শেষ নভেম্বর ২৯, ২০০৮। তাজমহল প্যালেস হোটেলে তখনও ধোঁয়া উঠছে, বাইরের এনএসজি গার্ডেরা সরে যেতে থাকলেন, এর আগেই দফায় দফায় বেরিয়ে এসেছেন হোটেলে আটকে থাকা মানুষজন। জানানো হল, সব উগ্রপন্থী মারা গেছে। শুধুমাত্র আজমল কাসভ মেরিন ড্রাইভের কাছে একটা স্কোডা গাড়ি থেকে আহত অবস্থায় গ্রেফতার হয়। মারা যান মোট ১৬৬ জন, যার মধ্যে ৯ জন আক্রমণকারী, এবং ৩০০-র বেশি আহত। কিন্তু এটা তো ছিল ঘটনা। ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর রাতে তো আক্রমণ শুরু হয়, তার বেশ কিছুদিন আগে ১০ জন লস্কর-ই-তইবার উগ্রপন্থী পাকিস্তান থেকে সমুদ্রপথে মুম্বইতে আসার জন্য রওনা দেয়।
কিন্তু এই পরিকল্পনা তো বহুদিনের, বিরাট পরিকল্পনার ফসল এই এতবড় আক্রমণ। আর এই আক্রমণের পেছনের অন্যতম মাথা হলেন এই তাহাউর হুসেন রানা। ২০০৫-এ তাহাউর হুসেন রানা লস্কর-ই-তইবা এবং হারকত-উল-জিহাদ আল-ইসলামি (হুজি) এর সদস্য হিসেবেই ২৬/১১ আক্রমণের ষড়যন্ত্রে জড়িত হন, মানে সেই ২০০৫ থেকে এই পরিকল্পনা শুরু হয়। ২০০৬-এ দাউদ সৈয়দ গিলানি ওরফে ডেভিড কোলম্যান হেডলি, যিনি লস্কর-ই-তইবার হয়ে ভারতের কোনখানে, কোন শহরে আক্রমণ করা যায়, তা খুঁজে বের করার নির্দেশ নিয়েই ভারতে আসেন। আর তিনি এলেন মুম্বইয়ে একটি অভিবাসন অফিস মানে ভিসা অফিস খোলার পরিকল্পনা নিয়ে, মানে সেটাই ছিল তাঁর ঢাল। তিনি তাহাউর রানার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রেখেই কাজগুলো করছিলেন, এবং এই রানা তাঁর পাকিস্তানের স্কুলবন্ধু ছিলেন, এবং রানা তার ভিসা এজেন্সি, ফার্স্ট ওয়ার্ল্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস-এর একটা ব্রাঞ্চ মুম্বইতেই খুলে বসার জন্য সবরকমের সাহায্য করেন। জায়গা দেখা হয়, বিভিন্ন সংবেদনশীল জায়গার তালিকা বানানো হয়, এবারে মুখোমুখি বসে প্ল্যানটা পাকা করে ফেলাটা জরুরি ছিল।
জুন ২০০৬: হেডলি শিকাগো যান এবং রানার সঙ্গে পুরো আক্রমণের ডিটেইল নিয়ে আলোচনা করেন। আর এই সমস্ত কাজ চলছিল ওই ভিসা এজেন্সিকে সামনে রেখে। এইদিকে এই প্রস্তুতি চলছিল, ওদিকে লস্কর-ই-তইবা কাসভ সমেত প্রায় ২৭ জনের একটা টিমকে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেছিল। কিন্তু ওই লস্করের সূত্রেই কিছু খবর এফবিআই, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার কাছে যায়। ২০০৮ অক্টোবরে তারা তাজমহল প্যালেস হোটেলে আক্রমণ হতে পারে এরকম একটা সতর্কবার্তা দেয়, কিন্তু কিছুদিন পরেই ওটা ভুল বার্তা ছিল, তেমন কিছুই হচ্ছে না বলে খবর আসে। কেন আসে তা কিন্তু এখনও জানা নেই। এফবিআই/সিআইএ-র মধ্যেও কি লস্করের লোকজন আছে, এই প্রশ্নও পরে উঠেছে। এরপরে নভেম্বর ১৮, ২০০৮: ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা একটা ফোন কল ইন্টারসেপ্ট করে, যাতে বলা হয় সমুদ্রপথে আক্রমণের পরিকল্পনা করছে একটা উগ্রপন্থী গ্রুপ। মজার কথা হল, এত স্পেসিফিক খবর থাকার পরেও সমুদ্রপথে সামান্য প্রহরা বাড়ানো হয়নি। ওদিকে ট্রেনিং শেষ হওয়ার পরে লস্কর কর্তারা ১০ জনকে বেছে নিলেন। সমস্ত পরিকল্পনা, ম্যাপ বোঝানো হল। এটা যে একটা সুইসাইডাল মিশন, তা কিন্তু তাদের বলা হয়নি, তাদের বলা হয়েছিল, ব্যাক আপ টিম থাকবে, অপারেশনের পরে তাদের রেসকিউ করেই পাঠিয়ে দেওয়া হবে এই একই পথে পাকিস্তানেই।
আরও পড়ুন: Fourth Pillar | মদ খেয়ে উল্লাস, রাস্তায় ডেড বডি, প্রতিবাদীরা মৌন কেন?
নভেম্বর ২১, ২০০৮: ১০ জন জঙ্গি পাকিস্তান থেকে নৌকায় যাত্রা শুরু করে, মুম্বাইয়ের দিকে যাচ্ছে আর আক্রমণ শুরু নভেম্বর ২৬, ২০০৮। এই গোটা মামলার এগজিকিউশনাল অ্যান্ড প্ল্যানিংয়ের মাস্টারমাইন্ড ছিল এই তাহাউর হুসেন রানা, তাকে বৃহস্পতিবার আমেরিকা থেকে প্রত্যর্পণের পর, ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়, তাকে নিয়ে এনআইএ টিম দিল্লিতে পৌঁছেছে। এই রানা কিন্তু ঘটনার আগেই ভারত ছেড়েছিল, কিন্তু ২০০৯ সালে শিকাগোতে গ্রেফতার হয়, উঠে আসে বহু তথ্য, ২৬/১১-র যে হামলায় ১৬৬ জন নিহত হয়েছিল, তা ছাড়াও বিভিন্ন রকমের অন্তর্ঘাত চালানোর, পরিকল্পনার মামলা চলতে থাকে। এফবিআই-এর প্রমাণে রেকর্ড করা কথোপকথনের প্রতিলিপিগুলো ইন্টারেস্টিং, সেই কথোপকথনে রানা হেডলিকে বলে, মুম্বই হামলাকারী সন্ত্রাসীদের মরণোত্তর পাকিস্তানের সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান দেওয়া উচিত। সেসব দলিল দস্তাবেজও এখন ভারতের হাতে। এবং মাত্র ক’দিন আগে সেই দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ার সমাপ্তি। মার্কিন দেশের যা জানার ছিল জানা হয়ে গেছে, এবারে সে আমাদের জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) তোলা সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি হবে। এই তাহাউর হুসেন রানাকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হলেও ওই দাউদ সৈয়দ গিলানিকে কিন্তু আমেরিকার জেলেই রেখে দেওয়া হয়েছে, সে কি অনেক কিছু জানে? সে কি সিআইএ-র হয়েও কাজ করত? সবই অস্বীকার করেছে কিন্তু এসব খবরের কিছু প্রমাণ তো মিলেছে। সেদিন তাজমহল প্যালেস হোটেলের কথা জানানোর পরে কেন তা হঠাৎই ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছিল? আজও তার উত্তর মেলেনি, মেলার সম্ভাবনাও নেই কারণ এই গিলানি তার জীবনের শেষ দিনগুলো ওই আমেরিকার জেলেই কাটাবে।
২৬/১১ হামলার অন্যান্য মূল ব্যক্তি যেমন লস্কর-ই-তইবার প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সইদ, উগ্রপন্থীদের গোপন আইএসআই হ্যান্ডলার মেজর ইকবাল, এবং জঙ্গিদের প্রশিক্ষক সাজিদ মজিদ ওরফে সাজিদ মীর পাকিস্তানে বহাল তবিয়তেই রয়েছে। তাহাউর রানাকে তো ভারতে নিয়ে আসা হল, এতদিনের পুরনো মামলায় আর কী কী পাওয়া যাবে? তার কাছে আর কোন তথ্য থাকতে পারে? তাকে সম্ভবত একটা বিশেষ এনআইএ আদালতে পেশ করার পর বিচারবিভাগীয় হেফাজতে আনা হবে আর এনআইএ এবং গোয়েন্দা ব্যুরোর কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন যার মূল বিষয় হল ১) ওদের এই পরিকল্পনাতে আর কোন কোন ভারতীয় বা ভারতে থাকা পাকিস্তানি এজেন্ট সাহায্য করেছিল? ২) একটা ব্যাক আপ টিম নাকি সত্যিই ছিল, সেই টিম কোথায় ছিল? তারা কোন রুটে পালাল?। ৩) যে পয়সা এসেছিল ভারতে তার বেশিরভাগটা নেপাল হয়ে যা এখন জানা, কিন্তু গোয়েন্দারা মনে করছেন আরও কিছু টাকা অন্য জায়গা থেকেও এসেছে, অন্য রুট দিয়েও এসেছে, সেগুলো কী কী? মূলত এই তিন ধরনের তথ্য জানার চেষ্টা করা হবে এবং জানা যাচ্ছে তার ভারতে জেলের ভিতরে ব্যবস্থার কিছু সুযোগ সুবিধে সে চাইছে যা নিয়ে একটা ডিল হতেই পারে। ২০১১ সালে, এনআইএ রানা, তার অ্যাসিসট্যান্ট এবং হামলার মূল গুপ্তচর ডেভিড কোলম্যান হেডলি ওরফে দাউদ গিলানি এবং আরও সাতজনের বিরুদ্ধে তাদের অনুপস্থিতিতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছিল। এনআইএ-র অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ২০০৬ সালের জুন মাসে, হেডলি ভারতে প্রথম সফরের আগে শিকাগো গিয়ে রানার সঙ্গে পুরো ষড়যন্ত্র নিয়ে আলোচনা করে এবং লস্কর-ই-তইবার দেওয়া কাজ করার জন্য তার অভিবাসন সংস্থাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেন। রানা হেডলিকে মাল্টি-এন্ট্রি ভারতীয় ভিসা পেতে এবং মুম্বইতে তার সংস্থার অফিসের কাজ শুরু করতে সাহায্য করে। তবে, তার এই অফিস কখনও একটাও ভিসা অ্যাপ্লিকেশন প্রসেস করেনি। হেডলি দিল্লি, মুম্বই, জয়পুর, পুষ্কর, গোয়া এবং পুনেতে গিয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গা, হোটেল, যেখানে ইহুদিরা যায় সেই জায়গাগুলোর রেকি করেন। রানা নিজেও তার স্ত্রীকে নিয়ে ২০০৮ সালের ১৩ থেকে ২১ নভেম্বর, হামলার ঠিক আগে ভারতে এসেছিল। তারা হাপুর, দিল্লি, আগ্রা, কোচিন, আহমেদাবাদ, মুম্বই এবং অন্যান্য জায়গায় গিয়েছিল। এনআইএ দাবি করেছে, রানা ভারতে ভবিষ্যতের আরও হামলার পরিকল্পনাতেও জড়িত ছিল এবং মুম্বই হামলার আগে দুবাইতে লস্কর-ই-তইবার সদস্য আবদুর রেহমানের সঙ্গে দেখা করেছিল। সে এই উগ্রপন্থীদের আইএসআই হ্যান্ডলার মেজর ইকবালের সঙ্গে নিজেই যোগাযোগ রাখত। রানার দেওয়া ওই ভিসা এজেন্সির ঢাল হেডলিকে হামলার পরেও ভারতে ফিরতে সাহায্য করেছিল।
এনআইএ অভিযোগ করেছে, আবদুর রেহমান ওরফে ইলিয়াস কাশ্মীরি, পাকিস্তানি আল-কায়েদা সদস্য, যে ২০১১ সালে উত্তর ওয়াজিরিস্তানে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হয়, ২০০৯ সালের মার্চে হেডলির ভারত সফরের ব্যবস্থা করেছিল যাতে সে ভবিষ্যতের হামলার জন্য ইহুদি সাবাথ হাউসগুলোর সমস্ত খবর জোগাড় করেছিল। হেডলির প্রতিটি ভারত সফরে রানা নিজে তার সঙ্গে ফোনে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত—প্রথম সফরে ৩২ বার, দ্বিতীয় সফরে ২৩ বার, তৃতীয় সফরে ৪০ বার, পঞ্চম সফরে ৩৭ বার, ষষ্ঠ সফরে ৩৩ বার, এবং অষ্টম সফরে ৬৬ বার তাকে ফোন করেছে, এই ফোনকলের হিসেবও এনআইএ-র কাছে আছে। তাদের বিরুদ্ধে ১৯৬৭ সালের বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের (ইউএপিএ) ১৬ উগ্রপন্থা, ১৮ (ষড়যন্ত্র, উগ্রপন্থী কাজের চেষ্টা বা প্রচার), এবং ২০ (উগ্রপন্থী গোষ্ঠীর সদস্যপদ) ধারা এবং ১৮৬০ সালের ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) ১২১ (সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা), ১২১এ (১২১ ধারার অপরাধের জন্য ষড়যন্ত্র), ৩০২ (হত্যা), ৪৬৮ (জালিয়াতি), এবং ৪৭১ (জাল নথি ব্যবহার) ধারার পাশাপাশি ফৌজদারি ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছিল। এবারে তার সঙ্গে একটা সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দাখিল করা হতে পারে, যেখানে অভিযোগগুলো ২০২৩ সালের ভারতীয় ন্যায়সংহিতা (বিএনএসএস) অনুযায়ী সাজানো হবে। এবং এর মধ্যে কয়েকটা অভিযোগে এবারে মৃত্যুদণ্ডেরও বিধান রয়েছে। এখন রানার বয়স ৬৪, শরীরের অবস্থা ভালো, কাজেই দু’ পাঁচ বছর মামলা চললেও এবারে বিচারে তার ফাঁসি হতেই পারে, সেটাই কি তাহলে এনআইএ-র লক্ষ্য? সেদিন ১৬৬ জন মৃত্যুর পরে এক কাসভ ছাড়া কেউ বিচারের মুখোমুখি হয়নি, এবারে হাতের মুঠোয় তাহাউর হুসেন রানা, সে যা যা জানে বলে দেবে, নাকি ফাঁসিতে চড়বে সেটাই এখন দেখার।