Placeholder canvas
কলকাতা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ |
K:T:V Clock

Placeholder canvas
চতুর্থ স্তম্ভ: সংসদের কাজ আটকানোটাও গণতন্ত্র
সম্পাদক Published By:  • | Edited By:
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ৫ আগস্ট, ২০২১, ১০:৪৬:৫৬ পিএম
  • / ৪৪৭ বার খবরটি পড়া হয়েছে
  • • | Edited By:

গতকাল রাজ্যসভায় তৃণমূলের ৬ জন সাংসদ, দোলা সেন, অর্পিতা ঘোষ, নাদিমুল হক, আবিররঞ্জন বিশ্বাস, মৌসম নূর এবং শান্তা ছেত্রীকে সারাদিনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়, এই ঘটনার তীব্র বিরোধিতা করে সিপিএম, কংগ্রেস সহ ১৪ টা দল। হ্যাঁ সিপিএমও তীব্র বিরোধিতা করেছে, সুজন চক্কোত্তি না চাইলেও করেছে। সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হয়েছে ১৯ জুলাই, চলবে ১৩ অগস্ট পর্যন্ত। একদিনও সংসদের সাধারণ কাজ হয়নি, বিরোধী দলগুলো সারাক্ষণ বিক্ষোভ দেখিয়েছে, ওয়েলে নেমেছে, চিৎকার করেছে, শ্লোগান দিয়েছে। বাইরে যাই বিরোধ থাক, ব্রেকফাস্ট মিটিংয়ে থাকুক আর না থাকুক অকালি দল আপ সাংসদরাও বিরোধীতা করেছেন, শ্লোগান দিচ্ছেন, সভা বয়কট করছেন, ফিরে আসছেন আবার শ্লোগান দিচ্ছেন। দাবি? পেগাসাস নিয়ে তদন্ত চাই, পেগাসাস নিয়ে জয়েন্ট পার্লিয়ামেন্টরি কমিটি তৈরি করতে হবে। সরকার রাজি নয়, অতএব বিরোধীতা চলছে। এতটা তীব্র বিরোধিতা এর আগে নরেন্দ্র মোদী দেখেননি, এতটা ঐক্যবদ্ধ ছিল না বিরোধী দলগুলো, তাদের সম্মিলিত শক্তি টের পেয়ে মোদী – শাহ নড়েচড়ে বসেছে।

একদিকে সমস্যা মিটিয়ে নেবার জন্য, ইনফর্মাল আলোচনা শুরু করার জন্য পীযূষ গোয়েল, রাজনাথ সিং, নিতিন গডকড়িরা আসরে হাজির, অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী বলছেন, বিরোধীরা সংসদের কাজ থামিয়ে দিয়ে গণতন্ত্রের, সংবিধানের এবং দেশের মানুষের আবমাননা করছে, তাঁরা সংসদে আলোচনা চাইছে না, তাঁরা আসলে ধ্বংসাত্মক কাজে নেমেছে, ডিজরাপ্টিভ পাওয়ার, তাঁরা আলোচনা চায় না। অমিত শাহ বললেন, পেগাসাস একটা অস্ত্র, যা দিয়ে বিরোধীরা, সংসদীয় ব্যবস্থাকেই ধ্বংস করতে চায়।

আসুন আজ এই নিয়েই একটু আলোচনা করা যাক, সংসদীয় গণতন্ত্রে সংসদের ওয়েলে নেমে পড়া, শ্লোগান দেওয়া, কাগজ বা বিল ছিঁড়ে দেওয়া, এগুলো কতটা গণতান্ত্রিক? এটা তো ঠিকই যে সংসদে আলোচনা হবে, নতুন আইন নিয়ে তর্ক বিতর্ক হবে, মানুষের সমস্যার কথা তোলা হবে, আলোচনা হবে বাজেট ব্যয় বরাদ্দ নিয়ে, এটাই তো স্বাভাবিক। আর মাথায় রাখতে হবে, বিরাট, বিরাট খরচের কথা। প্রতি মিনিট, হ্যাঁ সংসদ চালানোর জন্য প্রতি মিনিটে খরচ হয় আড়াই লক্ষ টাকা, প্রতিদিন গড়ে ৬ ঘন্টা সংসদ চলে, মানে প্রতিদিনের খরচ ৯ কোটি, এই যে বাদল অধিবেশন যা শুরু হয়েছে ১৯ আগস্ট আর শেষ হবে ১৩ আগস্ট, তার খরচ কম করে ২৩৪ কোটি টাকা। এবার যদি সংসদে আলোচনাই না হয়, সেখানে যদি কেবল শ্লোগান দেওয়া হয়, বা বিরোধীদের এই বিরোধিতাকে পাত্তা না দিয়েই, যদি পাপড়ি চাট তৈরি করার মত বিল পাস করানো হতে থাকে, তাহলে এই সংসদ থাকার মানে কী? দরকারই বা কী? আবার অন্যদিক থেকে দেখুন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অন্যতম শর্ত হল সংখ্যালঘিষ্ঠের মত প্রকাশ, বিরোধী দলকে বলতে দেওয়া, সেই শর্ত লঙ্ঘিত হলে, সেই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার আর কোনও মূল্যই তো থাকে না। সেই গণতন্ত্র, যেখানে বিরোধীদের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হবে, তা গণতন্ত্রই নয়। তাহলে? তাহলে আমরা সংবিধানের দিকে তাকাই, সংবিধান কী বলছে? সংসদে Rules of Procedure and Conduct of Business এ ১২ নম্বর চ্যাপটারে Discussion on a matter of public interest, মানে জনগণের স্বার্থ জড়িত বিষয় নিয়ে আলোচনার নিয়ম বলা আছে, সসদস্যরা স্পিকারকে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে আলোচনার নোটিস দেবে, আলোচনা চাইবে, পরিস্কার লেখা আছে কোন কোন ক্ষেত্রে তাঁরা এই আলোচনার জন্য সময় দেবেন, বা দেবেন না। সেসব পরিস্কার করে বলা আছে। মানে আপনি বললেন শুনুন ১৯৭৫ এ কংগ্রেস জরুরি অবস্থা জারি করেছিল, আমি তা নিয়ে আলোচনা চাই। স্পিকার তার জন্য সময় দেবেন না, কারণ জরুরি ভিত্তিতে জনগণের স্বার্থ জড়িত বিষয়টি সাম্প্রতিক হতেই হবে। আপনি বললেন কেরলে কোভিড বাড়ছে, আলোচনা চাই। স্পিকার সময় দেবেন না, কারণ ওটা রাজ্যের বিষয়, ওটা সংসদে আলোচনা করার পদ্ধতি আলাদা। কিন্তু পেগাসাস, এক অত্যন্ত শক্তিশালী সামরিক অস্ত্র যা দিয়ে দেশের সংবাদ মাধ্যম, বিরোধী দলনেতা, বিচারপতি, আমলা, সমাজকর্মী, মানবাধিকার কর্মীদের ওপর নজরদারি করা হয়েছে বলে অভিযোগ, তা নিয়ে সংসদে কেন আলোচনা হবে না? সরকার কোন কারণ দেখাচ্ছে? না কোনও কারণ দেখাচ্ছে না, কেবল বলেছে, এ নিয়ে কোনও আলোচনা হবে না।

যা নিয়ে ফ্রান্স আমেরিকা সর্বোচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি তৈরি করে ফেললো, তা নিয়ে আলোচনার সময়ও দিতে নারাজ সরকার, স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠবে, বিরোধীরা তাদের ক্ষোভ বিক্ষোভ দেখাবে, দেখাচ্ছে। সরকার তাকে কেবল পাত্তা দিচ্ছে না তাইই নয়, তারা এটাকে সুযোগ হিসেবে নিতে চায়, নিতে চায় বলেই মুড়ি মুড়কির মত বিল পাস করিয়ে নিচ্ছে, কোনও আলোচনা ছাড়াই গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হয়ে যাচ্ছে। গতকাল সংসদে পাস করানো হল, গায়ের জোরে পাস করানো হল essential defence service bill 2021, প্রতিরক্ষা শিল্পে ধর্মঘট নিষিদ্ধ করা হল, ধর্মঘট করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে, ১৯৩৮ এ জার্মানিতে হিটলার এই বিল পাশ করিয়েছিল, প্রতিরক্ষা শিল্পে ধর্মঘট চলবে না। ফারাক হল, সেটা ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরুয়াত, আর এখন কোনও যুদ্ধ নেই, বিল এল, পাসও হল তিন চার মিনিটে। সরকারের বক্তব্য, বিরোধীরা সংসদ না চালাতে দিলে কী আর করা যাবে? এমনটাই কি ছিল? এর আগে কি সসদস্যরা সংসদের কাজকর্মে বাধা দেন নি? এটা কী নতুন? না।

১৯৭৮/১৯৭৯ তে জনতা দলের সরকার, কংগ্রেস আবার ফিরে পাচ্ছে তাদের শক্তি, পার্লামেন্ট অচল করেছে কংগ্রেস বহুবার। আবার কংগ্রেস ফিরে এল ক্ষমতায়, ততদিনে বিজেপি এসে গেছে, কিন্তু সংসদে তেমন শক্তি নেই, তাতে কি? অন্য বিরোধীদের সঙ্গে অচল করেছে সংসদ, রাজীব গান্ধীর সময়ে বোফর্স নিয়ে টানা ১৯ দিন সংসদে কোনও কাজ, হ্যাঁ আক্ষরিক অর্থে কোনও কাজ করতে দেওয়া হয়নি। অটলবিহারী বাজপেয়ী এলেন ক্ষমতায়, কংগ্রেসের বিরোধিতা জারি, আবার সংসদ অচল, সাবমেরিন কেনা নিয়ে দুর্নীতি, এমন কি জওয়ানদের কফিন কেনা নিয়ে দুর্নীতিকে নিয়ে তুমুল চিৎকার, চেঁচামেচি, সংসদ অচল। অটলজি সেদিন, ওই ২০০১ এ এক সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিলেন, তাঁর মনে হয়েছিল এই সমস্যার সমাধান দরকার, তিনি বলেননি যে বিরোধীরা সংসদকে স্তব্ধ করতে চায়, তিনি বলেননি যে জওয়ানদের কফিনের নামে আসলে বিরোধীরা দেশের উন্নয়নকে স্তব্ধ করতে চায়, তিনি সব দলের নেতাদের নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন। ছিলেন কে কে ? ছিলেন সোনিয়া গান্ধী, ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ছিলেন চন্দ্রশেখর, অরুণ জেটলি, প্রণব মুখোপাধ্যায়। তাঁরা এই সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন, অনেক কিছুর মধ্যে এই সমস্যা এড়াতে একটা কথা খুব জোর দিয়ে বলা হয়, there should be an increase in the working days of Parliament. Our legislature should meet throughout the year, like parliaments of most developed democracies. But these increased days will not help prevent disruptions if opposition parties don’t have the opportunity to debate and highlight important issues. Currently, government business takes priority, and private members discuss their topics post lunch on a Friday. বলা হয়, সরকারি জরুরি কাজ সারতে অনেক সময় চলে যাচ্ছে, তাই সংসদে অধিবেশনের সময় বাড়ানো হোক, সেই বর্ধিত সময় বিরোধীদের বলার জন্য দেওয়া হোক, যাতে তারা জরুরি বিষয়গুলো উত্থাপন করতে পারে। অটলজি সহমতি জানিয়েছিলেন, পার্লামেন্টে সেই রেকর্ড এখনও আছে, কিন্তু মোদি – শাহের তা জানার কথা নয়, ওনারা এসব দেখবেন না, বিরোধীরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছে? সেই সুযোগে বিল পাস করিয়ে নাও, আলোচনা ছাড়াই বিল পাস হয়ে যাক। ২০১২, ২০১৩, ২০১৪ সাধারণ নির্বাচন পর্যন্ত বিজেপি সাংসদরা সংসদ অচল করে রেখেছিলেন, সেই সুযোগে একটা, একটা বিলও পাস করার দৃষ্টান্ত নেই, যা আছে তা হল ব্যয় বরাদ্দ পাস করানো, না হলে প্রশাসন চালানোই যেত না।

সে থাক, জানা দরকার সেই সময়ে বিজেপি নেতারা কী বলেছিলেন? কারণ, তখন তো রোল রিভারসাল, দেশের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং অভিযোগ করছেন, বিরোধীরা সংসদ চালাতে দিচ্ছে না। পবন কুমার বনসল, সেদিনের সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী বলেছিলেন, “Parliament should not be taken to 11 Ashoka Road (BJP’s headquarters) or television studios. Allow Parliament to function in Parliament office”, he said. Taking further Rajya Sabha Chairman Hamid Ansari’s contention that the session will be remembered for work not done, Mr Bansal said the washout of the session has “inflicted an wound on the body politic of India. কত শক্ত রুঢ় কথা, রাজনীতি দূষিত হয়ে যাচ্ছে, সংসদ রাজনৈতিক দলের দফতর নয় ইত্যাদি ইত্যাদি। কংগ্রেস এই কথা বলেছিল, বিজেপি কী বলেছিল? জানুয়ারি ৩০, ২০১১। রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা অরুণ জেটলি বলেছিলেন, “Parliament’s job is to conduct discussions. But many a time, Parliament is used to ignore issues and in such situations, obstruction of Parliament is in the favour of democracy. Therefore parliamentary obstruction is not undemocratic.” সংসদ স্তব্ধ করে দেওয়াটা অগণতান্ত্রিক নয়, সরকার যদি প্রশ্ন বা বিষয় এড়িয়ে যেতে চায়, তাহলে সংসদে বাধা দেওয়াটাই উপায়। অগস্ট ২৬, ২০১২। আবার সেই অরুণ জেটলি বললেন, “There are occasions when an obstruction in Parliament brings greater benefits to the country… Our strategy does not permit us to allow the government to use Parliament (for debate) without being held accountable… we do not want to give the government an escape route through debate.” সংসদের কাজে বাধা দেওয়াটা অনেকসময়েই আরও বড় উপকার করে, আমরা আমাদের প্রশ্ন তুলতে চাই, আর সরকারকে তা এড়িয়ে যেতে দেওয়া হবে না। সেপ্টেম্বার ৭, ২০১২। লোকসভার বিরোধী দলনেত্রী সুষমা স্বরাজ কী বলছেন? “Not allowing parliament to function is also a form of democracy, like any other form.” সংসদ না চলতে দেওয়াটাও এক গণতান্ত্রিক পদ্ধতি। আর আজ সেই বিজেপি উলটো কথা বলছে, উলটো গান গাইছে, আসলে এসব না পড়েছেন শাহ, না পড়েছেন মোদি। কিন্তু এগুলো তাঁদের কানে তুলতেই হবে, সরকার কৃষি বিল নিয়ে আলোচনা করুক, তার আগে পেগাসাস নিয়ে আলোচনা হোক, জেপিসি তৈরি হোক।

পুরনো খবরের আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০ ১১ ১২ ১৩ ১৪ ১৫ ১৬
১৭ ১৮ ১৯ ২০ ২১ ২২ ২৩
২৪ ২৫ ২৬ ২৭ ২৮২৯ ৩০
৩১  
আর্কাইভ

এই মুহূর্তে

‘সারোগেসি’ শুধুই কি এক ব্যবসা!
শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪
বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধানকে হটানোর দাবি তুলে পোস্টার
শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪
ফের সমালোচিত যশ-নুসরত!
শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪
কারার ওই লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কর রে লোপাট (পর্ব ৩২)
শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪
কংগ্রেসের কাছে বড় অঙ্কের জরিমানা চেয়ে আয়কর নোটিস
শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪
পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে আইএসএফ-তৃণমূল সংঘর্ষ সন্দেশখালিতে
শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪
বিহারে ইন্ডিয়া জোটের আসন সমঝোতা চূড়ান্ত
শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪
মেয়েকে ২৫০ কোটির উপহার আলিয়া-রণবীরের!
শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪
তরুণীর হাতে হাত, তৃণমূল নেতার চটুল নাচের ভিডিও ভাইরাল
শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪
সন্দেশখালির প্রতিবাদীরা পা মেলালেন তৃণমূলের মিছিলে
শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪
যাদবপুরের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষের সামনে ক্ষোভ উগরে দিলেন মহিলারা
শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪
RCB vs KKR ম্যাচ কখন কোথায় দেখবেন?  
শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪
ঘরের মধ্য়েই মা ও সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যু বীরভূমে
শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪
আজ আরসিবির বিরুদ্ধে কী হতে পারে কেকেআর একাদশ  
শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪
রোজ ভ্যালির আমানতকারীদের টাকা ফেরতের প্রক্রিয়া শুরু
শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪
© R.P. Techvision India Pvt Ltd, All rights reserved.   Privacy Policy
Developed By KolkataTV Team