দু’ দফা ভোট শেষ, তার মানে দেশের এক তৃতীয়াংশ আসনে নির্বাচন হয়ে গিয়েছে, আরও পাঁচ দফা নির্বাচন বাকি। আমাদের দেশে সবমিলিয়ে ভোটে জিততে হলে দেশের বড় রাজ্যগুলোর অন্তত তিনটে রাজ্যের অধিকাংশ আসন জিততেই হবে, মাঝারি রাজ্যগুলোর অন্তত ৪টে পুরোপুরি জিততেই হবে, এটা হল থাম্বরুল। বড় রাজ্য কোনগুলো? উত্তরপ্রদেশ, যেখানে ৮০টা আসন আছে। মহারাষ্ট্র, ৪৮টা আসন আছে, পশ্চিমবঙ্গ, ৪২টা আসন, বিহার ৪০টা আসন, তামিলনাড়ু ৩৯টা আসন। মাঝারি রাজ্য হল অন্ধ্রপ্রদেশ, ২৫টা আসন, গুজরাত ২৬টা আসন, কর্নাটক ২৮টা আসন, মধ্যপ্রদেশ ২৯টা আসন, রাজস্থান ২৫টা আসন, ওড়িশা ২১টা আসন, কেরালা ২০টা আসন। এরপরে আছে ছোট রাজ্য, যেখানে তেলঙ্গানা ১৭টা, ঝাড়খণ্ড ১৪টা আসন, হরিয়ানা ১০টা আসন, অসম ১৪টা আসন, ছত্তিশগড় ১১টা আসন, পঞ্জাব ১৩টা আসন। আমাদের উত্তর পূর্বাঞ্চলের ছোট রাজ্যগুলো মিলিয়ে ১১টা আসন আছে। উত্তরাখণ্ডে ৫টা, হিমাচলে ৪টে, দিল্লিতে আছে ৭টা আসন, জম্মু কাশ্মীরে সব মিলিয়ে ৫টা আসন, এরপর গোয়াতে দুটো আর ৭টা আসন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে আছে। কংগ্রেস যখন জিতত সেই ৫২ থেকে ৭১/৭২ পর্যন্ত, তখন ভারতের পুরো ম্যাপটাতেই তাদের দেখা যেত। এমন কোনও অঞ্চল ছিল না যেখানে তাদের সাংসদ ছিলেন না। কিন্তু তারপর থেকে ভারতের রাজনৈতিক মানচিত্রে এক এক অঞ্চলে এক এক ধরনের ছবি, এক এক ধরনের প্রবণতা আসতে শুরু করল। ধরুন ১৯৭৭-এর কথা, কংগ্রেসের বিরাট পরাজয়। কিন্তু সেই পরাজয়ের দিনে যখন হিন্দি বলয় থেকে মুছে গেছে কংগ্রেস, তখন অন্ধ্রপ্রদেশের ৪২টার মধ্যে ৪১টা আসন, কর্নাটকে ২৮টার মধ্যে ২৬টা আসন, কেরালাতে ২০টার মধ্যে ১১টা আসন, অসমে ১৪টার মধ্যে ১০টা আসন জিতেছিল কংগ্রেস। এই সময় থেকেই ভারতবর্ষের বিভিন্ন অঞ্চলের রাজনৈতিক দখলদারির ছবিটা বদলে যায়।
ব্যতিক্রম ছিল ১৯৮৪-র নির্বাচন। সে নির্বাচনকে দেশের নির্বাচনের আলোচনার এক ব্যতিক্রমী অধ্যায় বলেই রাখা হবে। সেবারে কংগ্রেস পেয়েছিল ৪১৪, যে ছায়ার পিছনে মোদি–শাহ দৌড়চ্ছেন, তা ছিল ব্যতিক্রম, ওরকম এক ভয়ঙ্কর অভিঘাত ছাড়া, এক অসম্ভব জনপ্রিয় রাষ্ট্রনায়কের হত্যার মতো ঘটনা না থাকলে আবার হওয়াটা প্রায় অসম্ভব। কিন্তু সেই বাজারেও অন্ধ্রপ্রদেশ অন্য সুরে গান গেয়েছিল, ৪২টা আসনের ৩৫টাই জিতেছিল তেলুগু দেশম। কিন্তু তারপর থেকে দেশ জুড়ে এক দল বা এক জোটের রাজত্ব হয়নি। মোদি-শাহের নেতৃত্বে বিজেপি ৩০৩ আসন পেয়েছে, তা দেশ জোড়া নয়। আর এখানেই সমস্যার সূত্রপাত। ধরুন ২০১৯, বিজেপির বিরাট জয়, কিন্তু তামিলনাড়ু? বিজেপি শূন্য, অন্ধ্রপ্রদেশ, বিজেপি শূন্য, কেরালা বিজেপি শূন্য, পঞ্জাব ১৩টা আসনে বিজেপি ২। প্রায় একই ছবি ছিল ২০১৪তেও। তার মানে হল দক্ষিণের দরজা না খুললেও বিজেপি জিতেছিল কারণ বাকি বড় রাজ্যগুলোর মধ্যে সহযোগী দল নিয়ে তাদের ছবিটা ছিল এই রকম— উত্তরপ্রদেশ ৮০টার মধ্যে ৬৪টা, মহারাষ্ট্র ৪৮টার মধ্যে ৪৭টা, বিহারে ৪০টার মধ্যে ৩৯টা এবং এই বাংলাতেও ৪২টার মধ্যে ১৮টা বিজেপি জিতেছিল। মানে ওই বড় রাজ্যগুলোর মধ্যে তিনটেতে বিশাল জয়, বাংলাতেও ১৮টা আসন পেয়েছিল। এবারে চলুন মাঝারি রাজ্যগুলোতে, মানে যেখানে ২০ থেকে ২৯টা আসন আছে। সেখানে কর্নাটকের ২৮-এর মধ্যে ২৬টা, রাজস্থানে ২৫টার মধ্যে ২৫টা, গুজরাতে ২৬টার মধ্যে ২৬টা, মধ্যপ্রদেশে ২৯টার মধ্যে ২৮টা জিতেছিল বিজেপি। তারপর থেকে বিজেপি অসমের ১৪ আর উত্তর পূর্বাঞ্চলের ১১টা, মোট ২৫টা আসনকে মিলিয়ে এক মাস্টার প্ল্যান করেছে যেখানে তাদের সহযোগীদের নিয়েই ছিল ১৯টা। এই সব মিলিয়ে এসেছিল বিজেপির বিরাট জয়, এর উপরে ছিল হরিয়ানার ১০-এ ১০, দিল্লির ৭-এ ৭। হিমাচলপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড মিলিয়ে ৯-এ ৯ বিজেপির জয়কে আরও বড় আকার দিয়েছিল।
আর এই জয়ের পিছনের মূল কারণ সেবারেও বিকাশ, উন্নয়ন ইত্যাদি ছিল না, রামমন্দির ছিল, হিন্দুত্বের কড়া ডোজ ছিল আর নির্বাচনের ঠিক আগে পুলওয়ামা, বালাকোটের সার্জিকাল স্ট্রাইক এক মাহল তৈরি করেছিল, এক ঝটকায় ভোট পার্সেন্টেজ বেড়েছিল কোথাও ১০ শতাংশ কোথাও ৬, কোথাও ৪-৫ শতাংশ। এই হিন্দুত্ব আর প্রবল জঙ্গি জাতীয়তাবাদের হাওয়া পুরো মাহল বদলে দিয়েছিল হিন্দি বলয়ে, সেই হাওয়া কাজ করেছিল কর্নাটকে। যে যে রাজ্য থেকে সেনাবাহিনীতে যত বেশি কন্ট্রিবিউশন, যত বেশি ভর্তি, সেই রাজ্যতে তত বেশি প্রভাব। রাজস্থান, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল, কর্নাটক ভেসেছিল ওই হাওয়ায়। উত্তরপ্রদেশে, মধ্যপ্রদেশে হিন্দুত্ব প্রথম কার্ড, তারপরে এই পুলওয়ামা বালাকোট। গুজরাতে অবশ্যই হিন্দুত্ব কিন্তু সব ছাপিয়ে গুজরাতি অস্মিতা, মোটা ভাই দেশ কা নেতা। মহারাষ্ট্র আর বিহারে এসব তো ছিলই কিন্তু আসলে অ্যালায়েন্স ইকুয়েশন, জোটের সুফল পেয়েছিল বিজেপি। আর বাংলাতে এসবের কিছুই না, তিতিবিরক্ত চরম মমতা বিরোধী ভোট জড়ো হয়েছিল বিজেপির ঘরে। বামের ভোট গেল রামে। হঠাৎ বিড়াল বাঘ হয়ে বসল, সেই ভোটের পিছনে না ছিল হাওয়া, না হিন্দুত্ব, না বালাকোট সার্জিকাল স্ট্রাইক, না ছিল সংগঠন। হিসেব করে দেখুন, বামেদের ভোট কমেছে, সেই ভোট গেছে রামে, তাঁরা আসন জিতেছেন, কেউ কেউ সেটাকেই বিজেপির আসল চেহারা ভেবে দল বদলের কথা ভাবলেন, বদলালেন।
আরও পড়ুন: Fourth Pillar | প্রতিবাদহীন এক বোবা সময়ের গর্ভে এক নতুন সকাল
অব কি বার ২০০ পার, বিধানসভায় লোকসভার ভোটের হিসেব মতো পাওয়ার কথা কম করে ১১৫-১২০টা আসন, সেখানে ৭৭, কারণ এক চূড়ান্ত মেরুকরণ আর বিজেপির ভাঙাচোরা, নড়বড়ে সংগঠন। তো আবার দেশের কথায় ফেরত আসা যাক, দেশের সরকার তৈরির জন্য একটা থাম্বরুল হল বড় রাজ্যের অন্তত তিনটেতে সুইপ করতে হবে, মাঝারি রাজ্যের অন্তত চারটে সুইপ করতে হবে। এবং তারপরে বিভিন্ন ছোট ছোট পকেটের জয় নিয়ে যাবে ২৭২-এর ম্যাজিক ফিগারে বা তার উপরে। তাহলে আগে দেখা যাক এবারে বিজেপি ওই বড় রাজ্যগুলোর কোন কোনগুলো সুইপ করতে পারে। তামিলনাড়ুতে ৩৯টা আসনের মধ্যে খুব ভালো করলে, বিজেপি বিরোধীরা রেগে যাবেন না, আমি খুউউব ভালো ফল করলে বিজেপির ২টো আসন পাওয়ার কথা বলছি। এবার চলুন বিহারে, ৪০টা আসন, সুইপ? ভুলে যান। আরজেডি, কংগ্রেস, বাম মহাগঠবন্ধন খুব কম করেও ১৮টা আসন পাবেই। জেডিইউ গতবারে পেয়েছিল ১৬টা, এবারে ২-৩টে পাবে। মহারাষ্ট্রে গতবার শিবসেনার সঙ্গে জোটে ৪৮টার মধ্যে ৪৭টা পেয়েছিল, এবারে তা সম্ভব? বিজেপি নেতারাও জানেন গোটা ২০ আসন হাত থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। এবার উত্তরপ্রদেশ, বিএসপি বিজেপির চাহিদা মতো স্পয়লার হিসেবে মাঠে নেমেছে। রাষ্ট্রীয় লোকদলের জয়ন্ত চৌধুরিকে ভাঙিয়ে জাঠ ভোটের দখলদারি বাড়িয়েছে বিজেপি, সমাজবাদী দল আর কংগ্রেসের জোট খুব কাজের নয়, এখনও উত্তরপ্রদেশে তেমন কোনও উল্টো হাওয়া নেই যাতে বিজেপির আসন কমে যাওয়ার মতো কিছু হবে। তাই বলে কি বাড়বে? সম্ভবত তাও নয়। ধরে নিলাম যা ছিল তাই থাকবে তাহলেও সেটা ক্লিন সুইপ।
এবার বাংলায়, বিজেপির নেতাদের কেউ কেউ বলছেন, ভক্তরা তো বলছেই, এমনকী ভোট, নির্বাচন নিয়ে যাঁরা সিরিয়াস আলোচনাও করেন, তাঁরাও পিকে, মানে প্রশান্ত কিশোরের একটা সাক্ষাৎকার নিয়ে ভারি উৎফুল্ল, পিকে বলেছেন বিজেপি সিগনিফিকান্টলি বাড়বে। কেন? তার ব্যাখ্যাও পিকে দিয়েছেন, বিজেপি নাকি রাইজিং ফোর্স। ওনার নির্বাচন বোঝার ন্যূনতম পাণ্ডিত্যের উপরেই প্রশ্নচিহ্ন টেনে দিয়েছে এই মন্তব্য। বিজেপি ২০০৯-এ আমাদের রাজ্যে পেয়েছিল ৬ শতাংশের মতো ভোট, এই ভোটই তারা দীর্ঘদিন ধরেই পেয়ে আসছিল, এটাই তাদের কোর ভোট, এর থেকে তলায় তারা কোনওদিনও যাবে না। ২০১৪তে বামেদের ৪ পারসেন্টেজ পয়েন্ট ভোট কমল, কংগ্রেসের ১০ কমল, তৃণমূল কংগ্রেসের ৮ পারসেন্টেজ পয়েন্ট ভোট বাড়লো আর বিজেপি বাড়লো ১১ পারসেন্টেজ পয়েন্ট, প্রায় পুরোটাই এল বামেদের কাছ থেকে আর কংগ্রেসের কিছু ভোট গেল তৃণমূলের দিকে। ২০১৯-এ আবার সেই বাম-কংগ্রেসের ভোট কমলো ২১ শতাংশ, বিজেপির বাড়লো ২২.৭৬ শতাংশ, তৃণমূলেরও ভোট বেড়েছিল সাড়ে তিন শতাংশের মতো। ২০২১-এ বিধানসভায় ২০১৬-র তুলনায় তৃণমূলের ভোট বাড়ল ৩ শতাংশ, পেল ৪৮ শতাংশ, বিজেপির ভোট বাড়ল ২৮ শতাংশ, পেল ৩৮ শতাংশ। তৃণমূল আর বিজেপির ভোটের ফারাক ২০১৯-এর লোকসভাতে ছিল ৩ শতাংশ, ২০২১-এ সেটাই ১০ শতাংশ। কিন্তু প্রশান্ত কিশোর ভোটকুশলী বিজেপিকে রাইজিং ফোর্স হিসেবে দেখছেন। বাংলাতে যে বিজেপি এক পাম্প দিয়ে ফোলানো বেলুন, আর কিছুদিনের মধ্যেই যে আবার পুনর্মূষিক ভব হতে চলেছে সেটা এই নির্বাচনের পরে টের পাওয়া যাচ্ছে।
আবার দেশের কথায় ফেরা যাক। আমাদের তালিকার বড় রাজ্যের মধ্যে একমাত্র উত্তরপ্রদেশ ছাড়া কোনও রাজ্যেই বিজেপি সুইপ করছে না, পড়ে রইল বাংলা, সেখানে বিজেপি ডাবল ডিজিট ক্রস করবে? মনে তো হচ্ছে না। এবার চলুন মাঝারি আসনগুলোর হিসেবে, যেখান থেকে কম করে চারটে রাজ্যে বিজেপিকে সুইপ করতে হবে। চলুন গুজরাতে, অবশ্যই আবার ২৬-এ ২৬, বিরোধীদের কপাল ভালো থাকলে ২৫–১, কিন্তু সুইপ। এবারে মধ্যপ্রদেশে ২৯টার ২৮টা বিজেপিই পাবে। ক্লিন সুইপ। চলুন রাজস্থান এবং এখানেই বিপত্তি। না, ২৫-এ ২৫ হবে না, কত হবে? খুব খারাপ হলে ২১–৪, কিন্তু সেটাও তো সুইপই। কিন্তু আরও খারাপের খবর আসছে, অবশ্য বিজেপি বিরোধী নির্বাচন বিশ্লেষকরা তো উত্তরপ্রদেশেও ধস নামছে বলে লেখা শুরু করেছেন। তাঁদের মতে রাজস্থানে ১০টা আসন যাবে। তাঁদের কথা থাক, আমাদের হিসেবে রাজস্থানও মোটামুটি সুইপ। এবারে কর্নাটক, চাপ আছে কাকা, এখানে চাপ আছে। এখানে ২৮টা আসনের ১৪-১৫টা আসন হাতছাড়া হচ্ছেই, আরও খারাপ হতেই পারে, দেবেগৌড়ার নাতি আর তাঁর কেলেঙ্কারি এখন এক বিরাট ইস্যু হয়ে উঠেছে। পাবলিকই কেবল নয় বিজেপির পুরনো নেতারাও ক্ষুব্ধ, জেডিএস মানে দেবেগৌড়ার সঙ্গে জোটও তাঁরা মেনে নিচ্ছেন না। এদিকে ১৪টা আসনের ভোট বাকি আছে। এরপরে ওই মাঝারি রাজ্যের মধ্যে আছে অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা আর ওড়িশা, এখানে বিজেপির পক্ষে ক্লিন সুইপ সম্ভব নয়। তার মানে দেশের লোকসভার আসনের ২৭২ মার্কে পৌঁছনোর থাম্ব রুলের দুটো, ১) বড় রাজ্যের অন্তত তিনটে সুইপ করতে হবে, ২) মাঝারি রাজ্যের অন্তত ৪টে সুইপ করতে হবে, এই থিওরিতে বিজেপি ডাহা ফেল। বড় রাজ্যের মধ্যে বিজেপির ক্লিন সুইপ এবারে ওই উত্তরপ্রদেশেই, ছোট রাজ্যের মধ্যে গুজরাত, রাজস্থান আর মধ্যপ্রদেশ। এবং এরপরেও যে সব ছোট রাজ্য পড়ে রয়েছে তার মধ্যে হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ডে বিজেপি আগের বারের আসন সংখ্যা ছুঁতেও পারবে না। দিল্লিতেও দুটো আসন কমতেই পারে। পঞ্জাবে একটাও পাবে না, ছত্তিশগড়ে একটা কমতে পারে। মণিপুরে একটা তো কমবেই। লাদাখ এবারে বিজেপি পাবে না। প্রায় ৫০টা আসনের ঘাটতি হচ্ছে, সেটা আসবে কোত্থেকে? আর সেটা বুঝেই সাহেব ঘাবড়াতা হ্যায়, বাতো বাতো মে সাহেব ঘাবড়াতা হ্যায়। বিজেপির একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হবে না, আর সেটা না হলে নরেন্দ্র মোদির প্রধানমন্ত্রীও হওয়া অসম্ভব। দলের মধ্যে বহু নেতা তৈরি আছেন, তাঁদের চেহারা সামনে আসবে, জোটের আদল বদলে যেতে পারে, বদলাবেই। এখনও আরও ৫ দফার নির্বাচন বাকি, কিন্তু হাওয়া অন্য কথা বলছে।