Placeholder canvas
কলকাতা শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |
K:T:V Clock
Fourth Pillar | কী মুসলমান, কী খ্রিস্টান, দেশের সংখ্যালঘুরা বিপন্ন
কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক Published By:  কৃশানু ঘোষ
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫, ০৯:০৬:২২ পিএম
  • / ৩৫ বার খবরটি পড়া হয়েছে
  • কৃশানু ঘোষ

গ্রাহাম স্টুয়ার্ট স্টেইনস আর তাঁর দুই সন্তানকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার ঘটনায় যুক্ত ছিল বজরং দল, হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। যাবজ্জীবন জেল হয়েছিল মহেন্দ্র হেমব্রমের, তাঁকে বুধবার জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হল। ফুলের মালায় বরণ করা হল জেল থেকে মুক্তি পাওয়া খুনের আসামিকে, উপস্থিত প্রত্যেকে স্লোগান দিল জয় শ্রীরাম, ধর্মান্তরণ নহি চলেগা। হ্যাঁ, ওই অস্ট্রেলিয়ান মিশনারি ফাদার গ্রাহাম স্টুয়ার্ট স্টেইনসকে, তাঁর দুই শিশুসন্তানকে একটা গাড়িতে লক করে বাইরে থেকে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল এই বজরং দলের কর্মীরা। গ্রাহাম স্টুয়ার্ট স্টেইনস, একজন অস্ট্রেলিয়ান খ্রিস্টান মিশনারি, ১৯৯৯ সালের ২৩ জানুয়ারি ওড়িশার কেওনঝড় জেলা্র মানোহরপুর গ্রামে হত্যা করা হয়। তিনি এবং তাঁর দুই পুত্র, ফিলিপ, ১০ বছর বয়সি এবং ৬ বছর বয়সি টিমোথিকে এক উগ্র হিন্দু সংগঠনের লোকজন হত্যা করে, যাদের নেতা ছিল দারা সিং, আর সেই দারা সিং ছিলেন বজরং দলের সদস্য। তাঁদের অভিযোগ গ্রাহাম স্টেইন ধর্মান্তরণের কাজ চালাচ্ছেন। আক্রমণকারীরা তাঁদের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়ে ভেতরে আটকে রাখে। সবাই জ্বলন্ত অবস্থায় মারা যান। সেই নৃশংস হত্যায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল এই মহেন্দ্র হেমব্রম, তাঁকে গাঁদা ফুলের মালা পরিয়ে স্বাগত জানানো হল। যে সময়ে এই খুন করা হয়েছিল সেই সময়ে এখন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি কেওনঝড় বিধানসভা কেন্দ্রের এমএলএ ছিলেন। এর আগে ওড়িশা বিধানসভায় বিরোধী দলের প্রধান হুইপ থাকাকালীন, মাঝি এই ঘটনার মূল মাথা দারা সিংয়ের জেল থেকে মুক্তির দাবিতে সমর্থন জানিয়েছিলেন।

২০২২ সালের ২১ সেপ্টেম্বর, তিনি সুদর্শন নিউজ চ্যানেলের সম্পাদকের সাথে কেওনঝড় জেলে দারা সিংয়ের সঙ্গে দেখা করার অনুমতির জন্য সাংবাদিকদের দাবির সমর্থনে একটা ধর্নাতেও বসেছিলেন। এবারে একজন অভিযুক্তকে ছাড়া হল, আশা করাই যায় কিছুদিন পরে মুখ্য অভিযুক্ত ছাড়া পাবে। এবারে চলুন দেশের আর এক প্রান্তে, ২০২২-এর ১৫ অগাস্ট, ঠিক যেই সময়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী, নরেন্দ্রভাই দামোদরদাস মোদি, ট্রিম করা দাড়ি, আগে না দেখা, সম্ভবত নতুন কুর্তা জ্যাকেট পরে, স্বাধীনতা দিবসে, বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াওয়ের বাওয়াল দিচ্ছিলেন, ঠিক সেই সময়ে গুজরাটের সাব জেল থেকে একে একে বের হচ্ছিল ১১ জন পশু, এক্কেবারে মানুষের মতো দেখতে, এদের নাম যশবন্তভাই নাই, গোবিন্দভাই নাই, রাধেশ্যাম শাহ ওরফে লালা উকিল, বিপিনচন্দ্র জোশি, কেশরভাই বোহানিয়া, প্রদীপ বোহানিয়া, বাকাভাই বোহানিয়া, রাজুভাই সোনি, নীতেশ ভাট, রমেশ চান্দানা আর একদা হেড কনস্টেবল সোমাভাই গোরি। এরা জেল থেকে বের হওয়ার পরে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়াল, ক্যামেরার সামনে তাদের মালা পরানো হল, মিষ্টি খাওয়ানো হল। ওদিকে লালকেল্লার মঞ্চ থেকে তখনও বাওয়াল দিচ্ছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী, বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও। ওই সময়েই গণধর্ষণে অভিযুক্ত নয়, না, মাথায় রাখুন অভিযুক্ত নয়, আদালতে দোষী প্রমাণিত, যাদেরকে যাবজ্জীবন জেলে পাঠিয়েছিলেন বিচারপতি, বলেছিলেন হিনিয়াস ক্রাইম, বলেছিলেন অপরাধীরা মানবতার কলঙ্ক, সেই কলঙ্কিত জন্তুগুলোকে স্বাধীন করে ছেড়ে দেওয়া হল জেল থেকে, যাকে সরকারি ভাষায় বলা হয়, এদের সরকারি মাফি দেওয়া হয়েছে, এদের সরকারের তরফে ক্ষমা করা হয়েছে।

কী করেছিল এই জন্তুর দল? ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০০২, গোধরায় ট্রেনের কামরায় আগুন লাগানো হল, ৫৯ জন করসেবক আগুনে পুড়ে হয় ঘটনাস্থলে, না হলে হাসপাতালে মারা গেলেন। তাঁদের দেহ পরদিন সকালে হাসপাতালের সামনে রাখা হল, সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে। ভয় পেলেন মুসলমান সম্প্রদায়ের কিছু পরিবার, পাঁচমাসের গর্ভবতী বিলকিস বানো তার সাড়ে তিন বছরের মেয়ে আর পরিবারের অন্য ১৫ জন সদস্য তাদের গ্রাম, রাধিকাপুর, গোধরা ছেড়ে পালালেন পাশের জেলা ছাপরভাদে। ৩ মার্চ, মাথায় রাখুন গোধরায় ট্রেনে আগুন লাগানোর পরে গোধরা সমেত সারা গুজরাটে দাঙ্গা শুরু হয়েছে, যা মোদিজির ভাষায় রিঅ্যাকশন, ক্রিয়ার প্রতিক্রিয়া। সেই ২৭ ফেব্রুয়ারির চার দিনের মাথায় ২৫-৩০ জন মানুষ, তাদের হাতে অস্ত্র, তারা ঝাঁপিয়ে পড়ল এই আশ্রয়হীন অসহায় পরিবারের উপরে। মহিলাদের ধর্ষণ করল, তারমধ্যে ছিল পাঁচমাসের গর্ভবতী বিলকিস বানো, তার মা এবং আরও তিনজন মহিলা। এখানেই শেষ? না, কেবল ধর্ষণ নয়, ওই ধর্ষণের পরে তাদের পরিবারের বিলকিস, তিন বছরের এক শিশু, একজন পুরুষ বেঁচে ছিল, ৮ জনের মৃতদেহ ওখানেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছিল, ৬ জনকে খুঁজেই পাওয়া গেল না। জ্ঞান ফেরার পরে উলঙ্গ বিলিকিস বানোকে এক আদিবাসী মহিলা একটা কাপড় দেয়, সেটা গায়ে জড়িয়ে সে লিমখেডা পুলিশ স্টেশনে হাজির হয়, তারা অভিযোগ দায়ের করে না। বিলকিস গোধরা রিলিফ ক্যাম্পে যায়, সেখান থেকে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, এবং থানায় অভিযোগও দায়ের করানো হয়।

আরও পড়ুন: Fourth Pillar | বিহার নির্বাচন ২০২৫, বাংলা নির্বাচন ২০২৬

ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশন আর সুপ্রিম কোর্ট বিলকিসের অভিযোগ নেয়, সিবিআইকে তদন্ত করতে বলা হয়, ২০০৪-এ কোর্টে শুনানি শুরু হয়। সে বছরেই মনমোহন সিংয়ের সরকার এসেছে। ২০০৮-এ আদালত রায় দেয়, তাতে বলা হয়, যশবন্তভাই নাই, গোবিন্দভাই নাই আর নরেশ কুমার মোর্ধিয়া বিলকিস বানোকে ধর্ষণ করেছে, শৈলেশ ভাট বিলকিসের সাড়ে তিন বছরের মেয়েকে আছাড় মেরে খুন করেছে, বাকিরা অন্যদের ধর্ষণ করেছে বা মেরেছে। কিন্তু হত্যার মামলায় যথেষ্ট প্রমাণ না থাকার ফলে গ্যাং রেপ, গণধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত হয় এই ১২ জন, যার মধ্যে নরেশ কুমার মোর্ধিয়া জেলেই অসুস্থ হয়ে মারা যায়। উচ্চ আদালতের এই রায়ের পর আসামিরা সুপ্রিম কোর্টে যায়, সেখানেও এই একই রায় বহাল থাকে। এর মধ্যে নরেন্দ্র মোদির সরকার এসেছে, আসামিদের তরফে রাধেশ্যাম শাহ ওরফে লালা উকিল রেমিশন, মানে শাস্তি কমানোর আপিল করতে থাকে। গুজরাত হাইকোর্ট জানায় আমরা শাস্তি দিইনি, দিয়েছে বম্বে হাইকোর্ট, আমরা শাস্তি কম বা মুকুব করতে পারি না। আসামিরা সুপ্রিম কোর্টে যায়, সেখানে বলা হয় এই মামলা আমেদাবাদ হাইকোর্টেই চলতে পারে। শাস্তি কম করার আবেদন আবার নতুন করে জমা পড়ে। আসামিদের কাছে এবার সমস্যা হল ২০১৪তে আইনের কিছু পরিবর্তন। ২০১৪তে শাস্তি মুকুব বা কম করার আইনে কিছু সংশোধনী আনা হয়েছিল। বলা হয়েছিল গণধর্ষণের কোনও অপরাধী এই শাস্তি মুকুবের আবেদন করতে পারবে না। কেন হয়েছিল এই আইন? মনে করিয়ে দিই, ২০১৩ নির্ভয়ার ধর্ষণ নিয়ে সারা দেশ উত্তাল। উমা ভারতী, বাবা রামদেব, সুষমা স্বরাজ, স্মৃতি ইরানি, অরুণ জেটলির দিল্লির রামলীলা ময়দানে ধরনা, দেশ জুড়ে আন্দোলন, সরকার বাধ্য হয়েছিল এই সংশোধনী আনতে। পাশবিক গণধর্ষণে অভিযুক্তদের সারাজীবন জেলেই থাকতে হবে। সেদিন আজকের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, কংগ্রেসি রাজে মহিলারা সুরক্ষিত নয়, আমরা সরকার তৈরি করলে, ধর্ষণে অভিযুক্ত প্রত্যেক অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে। কী হল? এবং অজুহাত তৈরি, বলা হলো ঘটনা তো ঘটেছে ২০০২-এ, আইন সংশোধন হয়েছে ২০১৪তে, অতএব তাদের ছেড়ে দেওয়া হোক।

ধর্ষণে অভিযুক্ত ১১ জন অপরাধীদের জেল থেকে কেবল ছাড়া হল, তাই নয়, স্থানীয় বিজেপি নেতারা তাদের মালা পরালেন, মিষ্টি খাওয়ালেন। মানে মুসলমান খুন, গণধর্ষণে অভিযুক্ত নয় দোষী সাব্যস্ত কারা? আরএসএস–বিজেপির লোকজন। খ্রিস্টান মিশনারি গ্রাহাম স্টেইনস, তাঁর দুই শিশু সন্তানকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারল কারা? বজরং দল। অভিযুক্ত নয়, সেই আদালতে ঘোষিত দোষীদের ছড়া হচ্ছে জেল থেকে, সাজা মাফ করা হচ্ছে। এই রাষ্ট্র খুন করেছে অধ্যাপক জিএন সাইবাবাকে, একজন ৯০ শতাংশ শারীরিকভাবে অশক্ত মানুষকে জেলে পুরে রেখে মারা হল, খুন করেছে জেসুইট পাদ্রি স্ট্যান স্বামীকে, জেলে পুরে রেখেছে উমর খালিদ, শরজিল ইমাম, গুলফিসা ফাতিমা, খালিদ সাইফিকে। খালিদ সাইফির দুটো ছেলে একটা মেয়ে, তাদের জীবনের চারটে বছর, যখন তারা বড় হচ্ছে সেই সময়ের চারটে বছর তারা তাদের বাবাকে দেখতেই পেল না। আমরা জানি না কতদিন এঁদের জেলে থাকতে হবে। কিন্তু জানি জঘন্য ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত আশারাম বাপুকে জামিন দেওয়া হয়েছে, জানি যে খুন ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত রামরহিম বাবাজিকে ২০ বার প্যারোল দেওয়া হয়েছে, তিনি ৪০-৫০ গাড়ির কনভয় নিয়ে জেল থেকে বের হন, আবার জেলে ঢোকেন। আমরা জানি উত্তর ভারতের প্রায় প্রতিটা রাজ্যে মুসলমান পিটিয়ে মারার ঘটনা বাড়ছে, গরু পাচারের অভিযোগে পিটিয়ে মারা হচ্ছে যেখানে আমাদের দেশ আপাতত গোমাংস রফতানির ক্ষেত্রে বিশ্বে তিন নম্বরে আছে। আসলে দেশের মধ্যে সংখ্যালঘু বিশেষ করে খ্রিস্টান বা মুসলমানদের অধিকার কেড়ে নেওয়ার একটা গ্রান্ড প্ল্যান নিয়েই আরএসএস–বিজেপি কাজ করছে। আমার এক বন্ধু ক’দিন আগেই আমাকে একটা হোয়াটসআপ মেসেজ পাঠাল, আজকাল যাকে মিম বলা হয়, সেরকম। তা ছিল, মুসলমান মানুষজনদের সংখ্যাবৃদ্ধি নিয়ে এক কুৎসিত জোক, অত্যন্ত নিম্নরুচির। মেসেজের তলায় সে লিখেছে, এসব কী হচ্ছে বল তো? আমি লিখলাম, সত্যি এ কোথায় চলেছি আমরা, আমার বন্ধু বলল, আমি তো আজকাল এসব ইগনোর করি, পাত্তাও দিই না।

দেশজুড়ে আরএসএস–বিজেপির তলার সারির কর্মী সমর্থক, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতারা, কর্মীরা, তাদের পিছনে জড়ো হওয়া বাবাজি, মাতাজিরা, বিভিন্ন ধর্ম সম্মেলনে, রাস্তার মোড়ে, আড্ডায়, আলোচনায়, সোশ্যাল মিডিয়াতে এই কুৎসিত প্রচার চালিয়েই যাচ্ছে, তারা চায় বেশিরভাগ মানুষ, তাদের এই প্রচারের সমর্থনে আসুক, আর যারা বিরুদ্ধে, তারা ইগনোর করুক। হ্যাঁ, ইগনোর করুক, আপনি এই কুৎসিত প্রচারের জবাব দেবেন না, এই প্রচার যে মিথ্যে, ওই তথ্য যে মিথ্যে সেটা না বলে চুপ করে থাকুন, আপনার মৌনতাই চায় ওরা, দেশের শিক্ষিত লিবারাল, গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ মানুষ এসব যত ইগনোর করবে, ততই ওদের সুবিধে।
দেশজুড়ে এই প্রচার চলছে, পুরো মিথ্যে, আধখানা মিথ্যে, আর কয়েকটা সত্যি দিয়ে এক জোরালো ককটেলের নেশায় পাবলিক বুঁদ, তারা প্রতিদিন এই বিষ উগরোচ্ছে, হিন্দুদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে, মুঘল ইতিহাসে লক্ষ লক্ষ মন্দির ভাঙা হয়েছিল, কেন সেগুলো স্কুলে পড়ানো হবে না? কেন তাজমহল ভেঙে তেজোমহল তৈরি হবে না? সাভারকার গান্ধী সমান নেতা ছিলেন, মুসলমানদের জন্য তৈরি হয়েছিল পাকিস্তান, হিন্দুদের জন্য হিন্দুস্তান, জওহরলাল নেহরু মুসলমান ছিলেন, উনি আর জিন্না সৎভাই, ইন্দিরা গান্ধী মুসলমান বিয়ে করেছিলেন, এরকম হাজার হাজার মিথ্যে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ হয়ে ছড়িয়ে পড়ছে, ফেসবুক টুইটারে ঘুরছে, তাই নাকি? তাই নাকি? এই প্রথম সত্যি জেনে বুঝতে পারছে মানুষ, হিন্দু খতরে মে হ্যায়, হর হর মহাদেব। আপাতত শাসকদলের সাংসদের একজনও মুসলমান নয়, দেশের প্রতি সাত জনের একজন মুসলমান, এটা মাথায় রাখুন। এরপর আসুন উত্তরপ্রদেশে ২০১৭, ২০২২ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি, জেতা ছেড়ে দিন, দুবারই একজনও মুসলমান প্রার্থী দাঁড় করায়নি মোদি–শাহ–যোগী। মাথায় রাখুন, উত্তরপ্রদেশে প্রতি পাঁচজনের একজন হলেন মুসলমান। আসুন অসমে, সেখানে ২০১৬ আর ২০২১ মিলিয়ে ১৭ জন মুসলমান প্রার্থী দাঁড় করানো হয়েছিল, একজন মাত্র জিতেছিল, সেটাও ২০১৬তে, ২০২১-এ হিমন্ত বিশ্বশর্মার সরকারে একজন মুসলমানও নেই, অসমে জনসংখ্যার প্রতি তিন জনের একজন হলেন মুসলমান। এই বাংলায়, বিজেপির একজনও মুসলমান বিধায়ক নেই, আমাদের রাজ্যেও প্রতি তিনজনের একজন মুসলমান। রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি, সেনাবাহিনী প্রধান? না, একজনও মুসলমান নেই। ৭৬ জন মন্ত্রী আছে মোদিজির, একজনও মুসলমান নেই, মোদি সরকারের অধীনে ৮৭ জন সচিব আছে, কী ভাগ্য তাঁদের দুজন মুসলমান। মানে খুব পরিষ্কার, তলায় চাপে রাখব, ভয়ে থাকবে মুসলমান সমাজ, আর উপরে ক্ষমতার ভাগেদারি দেব না, দেশের ১৬ শতাংশ মানুষ ক্ষমতার বৃত্তের বাইরে, কেন? কারণ তারা মুসলমান। আর খুনি ধর্ষক বাবাজি মাতাজি বজরং দলের কর্মী, বিজেপি দলের কর্মীদের সাজা মাফ করে দেওয়া হবে।

পুরনো খবরের আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০ ১১ ১২
১৩ ১৪ ১৫ ১৬ ১৭ ১৮১৯
২০ ২১ ২২ ২৩ ২৪ ২৫ ২৬
২৭ ২৮ ২৯ ৩০  
আর্কাইভ

এই মুহূর্তে

প্রাক্তন গুরুর প্রত্যাবর্তন, এবার কি জয়ে ফিরবে KKR?
শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫
২১ এপ্রিল নবান্ন অভিযান স্থগিত চাকরিহারা ঐক্যমঞ্চের
শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫
টেসলা আসছে ভারতে!
শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫
সন্দেশখালিতে তৃণমূল – বিজেপি সংঘর্ষ, কী অবস্থা দেখুন
শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫
আবার ভূমিকম্প! কাঁপল কাশ্মীর, দিল্লি সহ একাধিক এলাকা
শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫
ভারতে আসছেন মাস্ক, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কী কী বিষয়ে বৈঠক
শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫
বিহার নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ‘সংবিধান লিডারশিপ প্রোগ্রাম’ শুরু কংগ্রেসের
শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫
সমাজমাধ্যমে পোস্ট ‘Like’, ‘Share’ নিয়ে ঐতিহাসিক রায় এলাহাবাদ হাইকোর্টের
শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫
তৃণমূল নেতাদের ‘প্রকাশ্যে আছড়ে মারার’ নিদান বিজেপি বিধায়কের
শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫
রাতের আঁধারে ধাপা গ্যারাজে হামলা , রক্তাক্ত নিরাপত্তারক্ষী
শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫
জাতীয় ক্রীড়া সংস্থাগুলির উপর খড়্গহস্ত সুপ্রিম কোর্ট
শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫
রণক্ষেত্র বৈষ্ণবনগর, রাজ্যপালকে ঘিরে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ
শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫
মেগা বাজেটের তিন ছবি মুক্তির অপেক্ষায়
শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫
স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে পুষ্পার গানের তালে নাচলেন কেজরিওয়াল, ভাইরাল ভিডিও
শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫
অশান্ত ভাঙড়, তৃণমূল পার্টি অফিসে আগুন ও ভাঙচুরের অভিযোগ
শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫
© R.P. Techvision India Pvt Ltd, All rights reserved.
Developed By KolkataTV Team