হ্যাঁ, সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, সমস্ত সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে ইডি। একসময় সিবিআই-কে খাঁচার তোতাপাখি বলেছিল এই সর্বোচ্চ আদালত। গতকাল কেবল সেরকম মজাদার কমেন্ট নয়, পরিষ্কার ওয়ার্নিং কল এল সুপ্রিম কোর্টের তরফে। বলল, সমস্ত সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে ইডি, সংবিধানেরও তোয়াক্কা করছে না! হ্যাঁ, কর্তার ইচ্ছেয় কর্ম করতে করতে ইডি তার লক্ষ্মণরেখাও পার করেছে, আর তার পরেই এই অবজার্ভেশন সর্বোচ্চ আদালতের। ‘তামিলনাড়ু স্টেট মার্কেটিং কর্পোরেশন’ (তাসম্যাক)-এর বিরুদ্ধে ওঠা প্রায় এক হাজার কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তভার সম্প্রতি ইডির হাতে তুলে দিয়েছে মাদ্রাজ হাইকোর্ট। এর পরেই সংস্থাটির দফতরে হানা দেয় তদন্তকারী সংস্থা। এর বিরুদ্ধেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল তামিলনাড়ু সরকার। বৃহস্পতিবার সেই মামলারই শুনানি ছিল প্রধান বিচারপতি গভই এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহের বেঞ্চে।
শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘একটা সংস্থার বিরুদ্ধে কী করে মামলা দায়ের হতে পারে? কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হওয়া উচিত ছিল। একটা সংস্থার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা! আপনাদের ইডি সমস্ত সীমা ছাড়াচ্ছে।’’ শুধু তা-ই নয়, ইডির তদন্তেও স্থগিতাদেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
কেন তামিলনাডু কেন? কারণ তামিলনাড়ুর ডিএমকে সরকার মোদিজির কথা শুনছে না এই তো? ঠিক সেই কারণে মধ্যপ্রদেশের ব্যাপম কেলেঙ্কারির কথা চেপে যাওয়া হল, পশ্চিমবাংলার চাকরি দুর্নিতি নিয়ে ইডি সক্রিয়। ঠিক সেই কারণেই অজিত পওয়ার বা ছগন ভুজবল বা প্রফুল্ল প্যাটেলের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর নিজের তোলা অভিযোগ ইডি-সিবিআই-এর খাতা থেকে মুছে গেল যখন তাঁরা মোদিজির সঙ্গে হাত মেলালেন। হিমন্ত বিশ্বশর্মার নারদার তদন্ত বন্ধ করে ইডি-সিবিআই-এর আপাতত টার্গেট অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। চারিদিকে এক লুঠমার চলছে, ইডি-সিবিআই-এর লক্ষ্য কেবল বিরোধী দলের নেতা কর্মী বা সমর্থকেরা। সংসদেই দেওয়া তথ্য থেকে জানা গেল, ২০১৫ থেকে আজ অবধি ৩৮ জন শিল্পপতি দেশ থেকে পালিয়েছেন, সঙ্গে নিয়ে গেছেন কোটি কোটি টাকা। তাদের অনেকের ছবি মোদিজির সঙ্গে আছে, তাঁদের অনেককেই মোদিজি প্রকাশ্যে মেহুল ভাই বলে সম্বোধন করেছেন, তাদের অনেকেই ওনার পূর্ব পরিচিত, এবং আমাদের মনে আছে, মিত্রোঁ, ক্ষমতা পেলে সবকটাকে দেশে ফেরাব, তাদের সুইস ব্যাঙ্কের টাকা দেশে ফেরাব। তা এই ৩৮ জনের ক’জন দেশে ফিরেছেন? কেবল পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের ১৪ হাজার কোটি টাকা মেরে বিদেশে পালিয়েছে নীরব মোদি, মোদিজির মেহুল ভাই। বিজয় মালিয়া তো শুরুতেই, এবং ওই ওয়াদা যা দেশ কি চৌকিদার প্রত্যেক জনসভায় করেছিলেন, কেয়া হুয়া তেরা ওয়াদা? ও কসম, ও ইরাদা? গজনি বনে গেছেন, মুখে রা নেই। কই বলেছি নাকি? তাই কবে? শিশু ভোলানাথ।
বিজয় মালিয়া, বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে ৯০০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে শোধ না করে, কেটে পড়েছে। নীরব মোদি, তার বউ অমি মোদি, ভাই নেশাল মোদি আর কাকা আমাদের নরেন্দ্রভাই দামোদরদাস মোদিজির মেহুল ভাই, মেহুল চোকসি, এরা মিলে ১২৬৩৬ কোটি টাকার জোচ্চুরি করেছে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের সঙ্গে। যতীন মেহতা, উইনসাম ডায়মন্ডের মালিক ৭০০০ কোটি টাকার ঘাপলা, আইপিএল-এর ললিত মোদি ১২৫ কোটি টাকার ঘাপলা, স্টারলিং বায়োটেক লিমিটেড-এর দুই ডিরেক্টর, চেতন জয়ন্তীলাল সান্দেসারা আর নীতিন জয়ন্তীলাল সান্দেসারা, ৫০০০ কোটি টাকার জোচ্চুরি করেছে, আশিস জবানপুত্র, এবিসি কটস্পিন প্রাইভেট লিমিটেডের ৭৭০ কোটি, হিরে ব্যবসায়ী রীতেশ জৈন ১৫০০ কোটি, সুরেন্দ্র সিং, অঙ্গদ সিং, হরসাহিব সিং ওরিয়েন্টাল ব্যাঙ্ক অফ কমার্স থেকে ৩৯০ কোটি তুলে ধাঁ, সঞ্জয় ভান্ডারি ১৫০ কোটি টাকা ট্যাক্স না দিয়ে পগার পার, সরকার বসে আছে, ইডি তো এসবের কথা জানে বলেও মনে হয় না। ওদিকে নীরব মোদিকে লন্ডনের রাস্তায় দেখা গেল, ১০ হাজার পাউন্ডের জ্যাকেট পরে ঘুরতে। ২০১৫-র ওয়াদা চৌকিদার তো ভুলেই মেরে দিয়েছেন, আমরা ভুলিনি। সারা ভারতের দিকে একবার তাকিয়ে দেখুন, মোদি জমানার শুরুতেই বিজয় মালিয়া দেশ ছেড়ে পালাল, কত টাকার ঘাপলা? ৭৫০৫ কোটি টাকা, লন্ডনে আছেন, ক্রিকেট খেলা দেখতে যান, লোকজন জানিয়েছে সকালে রেস্তরাঁয় ফিশ অ্যান্ড চিপস খেতে দেখা যায় ওনাকে, রাতে অভিজাত বার অ্যান্ড রেস্তরাঁয়। এরপর মোদিজির মেহুল ভাই, মেহুল চোকসি, ৭০৮০ কোটি টাকার ঘাপলা, আপাতত আন্টিগুয়ায়, পাইন অ্যাপেল জুস দিয়ে মালেব্যু খাচ্ছেন, পাশে বান্ধবীরা।
এরপর যতীন মেহতা, ঘাপলা ৬৫৮০ কোটি টাকার, আপাতত ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিজ দ্বীপপুঞ্জে বিশাল বাংলোবাড়িতে অবসর জীবনযাপন করছেন, খবরে প্রকাশ, কিছুদিন আগে এক বলিউড অভিনেত্রী সেখানে দিন ১৫ হলিডে কাটিয়ে এসেছেন। উমেশ পারেখ, কমলেশ পারেখ, নীলেশ পারেখ শ্রী গণেশ জুয়েলারি হাউসের মালিক, ঘাপলা ২৬৭২ কোটি টাকা, তিনজনের দু’জন দুবাই, একজন কেনিয়াতে আছেন, বুঝতেই পারছেন, বহাল তবিয়তে আছেন। ললিত মোদি, আইপিএল খ্যাত এই মোদিজির ঘাপলা ১৭০০ কোটি টাকার, বিজেপি নেত্রী সুষমা স্বরাজ বিদেশমন্ত্রী থাকাকালীন ইনি পাসপোর্ট বার করে বিদেশে চলে যান, তারপর থেকে ইউনাইটেড কিংডমেই থাকেন, বেড়াতে যান মালদ্বীপ, সুইজারল্যান্ড, কে আটকাচ্ছে? রীতেশ জৈন, ঘাপলা ১৪২১ কোটি টাকার, কোথায় আছে, উইকিপিডিয়াও জানে না, ইডিও জানে না। রাজীব গোয়েল, অলকা গোয়েল, সুর্য ফার্মাসিউটিক্যালের ঘাপলার পরিমাণ ৭৭৮ কোটি, এনারাও কোথায় আছেন কেউ জানে না। আশিস জোবানপুত্র, ৭৭০ কোটি টাকার তছরুপ, লুকিয়ে আছেন কোথায়, কেউ জানে না, কিন্তু দেশে নেই এটা সবাই জানে। ইডি এনাদের কথা জানে না, মাঝেমধ্যে খবর হয়, এই নীরব মোদি ফেরত এল, এই বিজয় মালিয়া ফেরত এল, ছোটরা না খেলে মা-ঠাকুমা-পিসিরা বলেন খেয়ে নে না হলে মামদো ভূত আসবে, পুলিশ আসবে, সেরকম একটা কিছু।
আরও পড়ুন: Fourth Pillar | মোদিজির জমানায় গান গাইলে, কবিতা পড়লেও জেল হবে
দেশে আছেন, জেলে আছেন, বেলে আছেন, বা কিছুদিনের মধ্যেই বেল পাবেন, সেরকম কিছু মহারথীদের দেখা যাক, এ ব জে শিপ ইয়ার্ড-এর মালিক ঋষি আগরওয়াল, সান্তনম মুথুস্বামী, অশ্বিনী কুমার, তছরুপের পরিমাণ? ২২৮৪২ কোটি টাকা, হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন, ২২৮৪২ কোটি টাকা। গুজরাটের দহেজ আর সুরাটে এই কোম্পানির ব্যবসা। ২০১২ থেকে ঘাপলা চলছে, সিবিআই চার্জশিট দিয়েছে এই ২০২২-এর ফেব্রুয়ারিতে। ২৮টা ব্যাঙ্কের টাকা তছরুপ করা অভিযোগ এনাদের বিরুদ্ধে, না, এঁরা কেউ জেলে নেই, বাইরেই আছেন। আইসিআইসিআই–ভিডিওকন মামলা, ১৮৭৫ কোটি টাকার তছরুপের অভিযোগ চন্দ্রা কোছর, তাঁর স্বামী দীপক কোছরের বিরুদ্ধে, দুজনেই জেল হাজতে ছিলেন, এখন জামিনে আছেন। ইয়েস ব্যাঙ্ক–ডিএইচএফএল মামলা, ২২০৩ কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ, অভিযুক্ত ইয়েস ব্যাঙ্কের সিইও রানা কাপুরের বিরুদ্ধে, এই মামলায় তিনি জামিন পেয়ে গেছেন, অন্য একটা মামলা ঝুলে আছে, সেটাতে জামিন পেলেই ফ্ল্যামবয়েন্ট রানা কাপুরকে আবার মুম্বইয়ের নৈশ পার্টিতে দেখা যাবে। ইডির কোনও কথাবার্তা আছে এই বিষয়ে? উপর থেকে অর্ডার নেই, ওনারা তো কর্তার ইচ্ছেয় কর্ম।
আমেরিকার ফিনান্সিয়াল ক্রাইম এনফোর্সমেন্ট নেটওয়ার্ক, সংক্ষেপে ফিন সেন, জানিয়েছে ঠিক এই মুহূর্তে ভারতের ৪৪টা ব্যাঙ্কের প্রায় ২০০০ লেনদেন সন্দেহজনক, যার পরিমাণ এক বিলিয়ন আমেরিকান ডলার, ৭৯৪৩ কোটি টাকার লেনদেন সন্দেহজনক, আগামী দিনে এরাও ধরা পড়বে, জেল হবে জামিন পাবে বা পালিয়ে যাবে ইউকে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ বা কেনিয়ায়।
এই মুহূর্তে আমাদের গ্যাঁটের টাকা চুরি করে দেশ ছেড়ে পালানো ব্যবসায়ীর সংখ্যা ৫০, তাদের ৯০ শতাংশ ভাইব্রান্ট গুজরাটের বাসিন্দা, একে কি কাকতালীয় বলা যায়? নাকি আরও কোনও রহস্য আছে?
কত টাকা মার গেল? মানে আমাদের ব্যাঙ্কের কত টাকা নিয়ে তারা পালাল? এই কি প্রথম হল এমন? না তাও নয়, হিসেব বলছে ২০০৯ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত মনমোহন সিংয়ের প্রধানমন্ত্রিত্ব কালে এই ব্যাঙ্ক ফ্রড, ব্যাঙ্ক জালিয়াতিতে খোয়া গিয়েছিল ২৫ হাজার কোটি টাকা, শুনেই চোখ কপালে উঠল তো? সত্যিই তো ২৫ হাজার কোটি টাকা কম নয়, কিন্তু তারপর এক ফকির চা-ওয়ালা আমাদের দেশের মাথায় বসলেন, ২০১৫ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত এই জালিয়াতির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াল, এক লক্ষ বত্রিশ হাজার কোটি টাকায়। ২০১৯–২০২১, যখন দেশ করোনা কালে ঢুকে পড়েছে, ব্যবসা বন্ধ, পরিযায়ী শ্রমিক রা মাইলের পর মাইল হাঁটছেন, চাকরি চলে যাচ্ছে, মাইনে ছাঁটাই হচ্ছে, তখন চুরি হল ৩ লক্ষ ৯০ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা। কেবল চৌকিদার যখন পাহারায়, তখন ব্যাঙ্ক জালিয়াতির পরিমাণ, ৫ লক্ষ ৪৩ হাজার কোটি টাকা। কারা নিল? কীভাবে নিল? তারা কোথায়? তাদের ধরার জন্য কী করা হচ্ছে? কত টাকা আদায় করা হল বা কত টাকা আদায় করা যাবে? এ নিয়ে চৌকিদার সংসদে একটা কথাও বলেছেন? না বলেননি, তিনি ফেডারেলিজম-এর ব্যাখ্যা দিচ্ছেন, অশিক্ষিত, অসত্য ব্যাখ্যা। কিন্তু এটাও হিমবাহের চূড়া মাত্র, টিপ অফ দ্য আইসবার্গ। কারণ চুরি করে পালিয়ে যাওয়া, ব্যাঙ্ক জালিয়াতিই কেবল সমস্যা নয়, সমস্যা আরও গভীরে।
আচ্ছা ব্যাঙ্ক চলে কী ভাবে? আমার আপনার পয়সা ব্যাঙ্কে জমা হয়, সেই টাকা ঋণ দেওয়া হয়, তার বিনিময়ে যে সুদ আসে, সেটাই ব্যাঙ্কের রোজগার। ব্যাঙ্ক কাদের ঋণ দেয়? বাড়ি করার জন্য, গাড়ি কেনার জন্য ঋণ নেওয়া হলে মধ্যবিত্তদের তা শোধ দিতেই হয়, শোধ না দিলে বাড়ি বা গাড়ি কেড়ে নেওয়া হয়, গুন্ডা পাঠানো হয়, আরও কত ব্যবস্থা, বহু ছোট ব্যবসায়ী, অসংখ্য ছোট কৃষক ঋণ শোধ দিতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন, কিন্তু সে সব ছোটদের ব্যাপার। নাম্বারস সাংটিফাই, ছোট ঋণের ক্ষেত্রে ডিফল্টারও কম, আর শোধ দিতে না পারলে যে জমি বা বাড়ি বন্ধক থাকে, তা বিক্রি করে পরিশোধের পরিমাণ ও বেশি। কিন্তু বড় ঋণ? ৫০০/১০০০/৫০০০/ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ, তার থেকে পাওয়া সুদই আসলে ব্যাঙ্কের আয়ের মূল সোর্স, আর সেখানেই আসল ঘাপলা, সেখানেই লুঠ চলছে, চৌকিদারের দেখরেখেই চলছে সেই লুঠমার। আসুন সেটাই বোঝার চেষ্টা করি, কীভাবে, কত পরিমাণ লুঠ চলছে আমাদের দেশে।
২০১৪, ৩০ জুন, চৌকিদার যখন থেকে পাহারায় বসলেন, তখন থেকে আজ অবধি ওই নন পারফর্মিং অ্যাসেটের হিসেব করা যাক, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ায় ২০১৪, ৩০ জুনে নন পারফর্মিং অ্যাসেট ছিল ৭৪৪৮২ কোটি টাকা, এখন সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,২০,৮১১ কোটি টাকা। কানাড়া ব্যাঙ্কে ছিল ১২২৪৭ কোটি টাকা, বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২ হাজার কোটি টাকায়, ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কের ১২ হাজার কোটি টাকা হয়েছে ৩৬ হাজার কোটি টাকা, পিএনবি-র ৩২ হাজার কোটি টাকা হয়েছে ৯৮০০০ কোটি টাকা, ইউনিয়ন ব্যাঙ্কের মোট এনপিএ ছিল ২২ হাজার কোটি টাকা, এখন সেটা ৭৭ হাজার কোটি টাকা, ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ১১ হাজার কোটি টাকা, এখন হয়েছে ৪০ হাজার কোটি টাকা। ব্যাঙ্ক অফ বরোদার ১৫ হাজার কোটি টাকা, এখন ৪৬ হাজার কোটি টাকা, সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের এনপিএ ছিল ১১ হাজার কোটি টাকা, এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার কোটি টাকায়, মোট এনপিএ ২০১৪ সালে ছিল ২,২৪,৫৪২ কোটি টাকা, এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫,৪০,৪৪২ কোটি টাকায়, এসব হিসেব রিজার্ভ ব্যাঙ্কের। ইডি জানে না? সিবিআই জানে না? সরকার জানে না? ব্যাঙ্ক জালিয়াতি হয়েছে ৫ লক্ষ ৪৩ হাজার কোটি টাকা, ব্যাঙ্কে অনাদায়ী ঋণ, এনপিএ ৫ লক্ষ ৪০ হাজার কোটি টাকা আর রাইট অফ করা হয়েছে ১০ লক্ষ ৬২ হাজার কোটি টাকা, মোট টাকা মার গেছে ২১ লক্ষ ৪২ হাজার কোটি টাকা, কার আমলে? কে বসেছিলেন পাহারায়? চৌকিদার নরেন্দ্রভাই দামোদরদাস মোদি। যিনি এখন নেহরুকে মুছে ফেলতে চান, দেশের সেই চৌকিদারের আমলে লুঠমার চলছে।