বালু বা কেষ্ট মোড়লের পরিচিতজনের অ্যাকাউন্টে পাওয়া গেছে বেহিসেবি সম্পদ, টাকাপয়সা। বাকিবুর রহমানের অ্যাকাউন্ট আর স্থাবর সম্পত্তি মিলে নাকি ২০০ কোটি টাকা, কেষ্ট মোড়লের সম্পত্তি নাকি ১৪০ কোটি টাকা। জানলাম কী করে? এসব নাকি ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, জানিয়েছে চোখে চোখ রেখে প্রশ্ন করনেওয়ালা সাংবাদিকের দল। তা হতেই পারে। কিন্তু মাত্র ২০২১ সালের হিসেব, ২০১৪ থেকে ২১-এর মধ্যে ৪৭,০৯৯ কোটি টাকা নিয়ে পালিয়েছেন ৩৩ জন ব্যবসায়ী, বিজয় মালিয়া, নীরব মোদি, নিশাল মোদি, মেহুল চোকসি, ললিত মোদি, নীতিন জৈন সান্দেসারা, দীপ্তি চেতন কুমার সান্দেসারা, সঞ্জয় ভান্ডারি ইত্যাদি ব্যবসায়ী। যাঁদের দু’ একজন বাদ দিলে বাকিরা গুজরাতের এবং তাদের মধ্যেও আবার বেশ কিছু জন আমাদের পরধান সেভক কাম চওকিদার কাম চায়ওয়ালার পরিচিতও বটে। এবং এঁদের বাদ দিলেও এক বিরাট সংখ্যার ব্যবসায়ী শিল্পপতি বিভিন্নভাবে লোক ঠকিয়ে, বিভিন অর্থনৈতিক অপরাধ করে দেশ ছাড়ছেন, এবং এই দুনিয়াতেই তাদের জন্য সেফ হেভেন, সুরক্ষিত স্বর্গ তৈরি আছে। ইউরোপের আবহাওয়া, ভূমধ্যসাগরের অলিভ বাগান, সমুদ্র, আঙুর খেত, ওয়াইন, খাবার দাবারের নিশ্চিন্ত ব্যবস্থা। গত ১০ বছরে এই ব্যবসায়ীরা মানুষের, দেশের কোটি কোটি টাকা মেরে দিয়ে আনন্দেই আছেন, তাঁদের একজনের কেশাগ্রও স্পর্শ করার সাহসও নেই, ইচ্ছেও নেই আমাদের ৫৬ ইঞ্চির সিনাওয়ালা প্রধানমন্ত্রীর। তাঁরা ইউরোপের, দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন দেশে যাচ্ছেন। তাঁদের চুরি করা টাকার বিনিময়ে নাগরিকত্ব পেয়ে যাচ্ছেন, বউ-বাচ্চা নিয়ে সংসার পাতছেন, ছেলেমেয়েরা লন্ডন, জার্মানি, ফ্রান্সের বড় বড় প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনো করছে। তারাই আবার ইনভেস্টমেন্ট নিয়ে ফিরে আসছে দেশে, ২০০ টাকা এনে ২০ হাজার টাকা লুটে নিয়ে ফিরে যাবেন বলে, জায়গা তো রয়েইছে যেখানে তাঁদের ছোঁয়াও যাবে না। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস তাদের ধারাবাহিক তদন্তে একের পর এক এইরকম ব্যবসায়ীরা কীভাবে সাইপ্রাসে গিয়ে ডেরা বাঁধছেন তার ছবি তুলে ধরছে। সেসব ছাপা হচ্ছে কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী তাঁর সাধের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তেনার দক্ষ ইডি, সিবিআই এবং সেই চিল্লানেসরাস আরররররণব গোস্বামী বা গোদি মিডিয়ার শিরদাঁড়াহীন সাংবাদিকেরা চেয়ে চেয়ে দেখছে। তারাও অপেক্ষায় কখন একটা হাড় এসে পড়বে তাদের পাতে, মাংস না থাক হাড়ই সই।
আপনারা শুনেছেন কক্স অ্যান্ড কিংস-এর কথা, বিদেশ ভ্রমণে এঁদেরই না থাকত সব থেকে আগে। বহু মানুষের টাকা মেরে দিয়ে মালিক পিটার কেরকার এখন সাইপ্রাসে আরাম করছেন। ওখান থেকেই এ দেশের টাকা পাচার, বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের টাকা বেনামে বিনিয়োগের ব্যবসা করছেন। পঙ্কজ অসওয়াল, অসওয়াল গ্রুপের মালিক, তাঁর স্ত্রী ওঁরাও ওই সাইপ্রাসেই। এবং এখানেই শেষ নয়, যে দর্শন হিরনন্দানির এফিডেভিটকে সামনে রেখে মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ কেড়ে নেওয়ার চক্রান্ত চলছে, সেই হিরানন্দানি গ্রুপের মাথা সুরেন্দ্র হিরনন্দানিও ওই সাইপ্রাসেই, হ্যাঁ টাকা লুট করার পরেই। এবং এতটুকুও অবাক হইনি যখন শুনেছি গৌতম আদানির দাদা ভিনোদ আদানিও আছেন ওই সাইপ্রাসেই, সাইপ্রাসের নিয়ম অনুযায়ী ওনাদের এদেশে আনাও যাবে না, ছোঁয়াও যাবে না। ওনারা একের পর এক ভুয়ো কোম্পানি তৈরি করছেন, শেয়ার বাজারে বেনামে শেয়ার কিনে দাম বাড়াচ্ছেন, লক্ষ কোটি টাকা লাভ হচ্ছে গৌতম আদানির। এবং ২০১৯ এই রাষ্ট্রপতির হাত ধরে হাসিমুখে ছবিও আছে। দেখুন সেই ছবি। https://youtu.be/LZVpzeDB_rc?si=PLSi-ThrkGSMc9SO এরও আগে ২০১৭তে সাইপ্রাসের প্রেসিডেন্টকে দিল্লিতেই সম্বর্ধনা জানিয়েছিলেন এই মোদিজি, বলেছিলেন আমাদের দুই দেশের মধ্যে এক সুদৃঢ় সম্পর্ক আমরা তৈরি করব। https://youtu.be/uiaj8OeWCe8?si=iDGAxdzbJ8QkU5Vx করেওছেন, ৬৬ জন আর্থিক অপরাধী সেখানে বসেই আমাদের শেয়ার বাজার, আমাদের অর্থনীতিকে কব্জা করছে, লুটেপুটে খাচ্ছে। অথচ আমাদের বিশ্বগুরু তাঁদের একজনকেও ধরে দেশে ফেরাতে পারছেন না, আইনের সামনে দাঁড় করাতে পারছেন না, তাঁরা আরামে সেখানে বসে আমাদের দেশের শ্রমিক কৃষক খেটে খাওয়া মানুষের ঘাম রক্তের সওদা করছেন।
আরও পড়ুন: Fourth Pillar | মোদি–অমিত শাহের নির্বাচন আর গণতন্ত্র
আমরা তো দেখেছি বিজেপির এক প্রচার কার্টুন ভিডিওর শেষে মোদিজি চলছেন ৫ ট্রিলিয়ন ইকোনমির দিকে, গান বাজছে, মুসাফির হ্যুঁ ইয়ারো,না ঘর হ্যায়, না ঠিকানা মুঝে চলতে জানা হ্যায়, ব্যস চলতে জানা। পরিচয় ছবিতে জিতেন্দ্র ঘোড়ার গাড়িতে করে যাচ্ছে তো যাচ্ছে, এখানে নরেন্দ্র মোদিও চলছেন। কারোর কোনও পশ্নের জবাব দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেন না, উনি অরণ্যদেব, ম্যানড্রেক, যখন উনি চাইবেন তখন উনি কথা বলবেন, উনি না চাইলে কথা বলবেন না, অন্য কারোর মন কি বাত শোনার ধৈর্য ওনার নেই, শোনার প্রশ্নও নেই। কেবল উনি বলে যাবেন, ওয়ান ওয়ে কমিউনিকেশন। ওনাকে প্রশ্ন করা হচ্ছে সংসদে, সংসদের বাইরে, উনি সংসদের ভেতরে বা বাইরে কোনও প্রশ্নের জবাব দেওয়ার তাগিদ বোধ করছেন না। উনি এক সুপারম্যান যিনি চলেছেন নিজের তৈরি লক্ষ্যের দিকে। আপাতত তাঁকে যে প্রশ্নগুলো করা হচ্ছে, সংসদের বাইরে বা ভেতরে যে প্রশ্ন তাঁর দিকে আসছে, সেগুলো একবার দেখে নেওয়া যাক। ১) আদানির সঙ্গে আপনার সম্পর্ক কী? আচ্ছা কেন এই প্রশ্ন উঠছে? উঠছে কারণ দেশের সবথেকে বড় ধনী মানুষটি মাত্র মাসছয়েকের মধ্যে ৫৫-৬০ শতাংশ সম্পদ খুইয়েছিলেন। আবার কিছুদিনের মধ্যেই তা ফিরেও পাচ্ছেন। কোন মন্ত্রবলে? এবং এই সম্পদ তো কেবল ওনার একার নয়, উনি নিজের বাপকেলে সম্পত্তি বেচে টাকা ঢেলেছিলেন। এখন ওনার নির্বুদ্ধিতার জন্য সেই ব্যবসায় লস হচ্ছে, আবার ম্যাজিকের মতো লাভ হচ্ছে, এটা যদি হত, তাহলে আমরা বড়জোর আহা উহু করতাম, তালি বাজাতাম। কিন্তু তা তো নয়, উনি দেশের বিভিন্ন অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা নিয়েছেন, এক আধ টাকা নয়, লক্ষ কোটি টাকা। মাত্র বছর বারো চোদ্দর মধ্যে আঙুল ফুলে কলাগাছ এবং তার পেছনে কারণটা কী? দেখা যাচ্ছে তিনি দেশের চওকিদার কাম চায়ওয়ালা কাম ফকির কাম মুসাফির নরেন্দ্রভাই দামোদরদাস মোদির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। ঘনিষ্ঠতার প্রমাণ? ২০১৪ নির্বাচনের আগে এই আদানির ব্যক্তিগত বিমানে চেপেই তিনি প্রচারে বেরিয়েছেন। এবং সাতসকালে নির্বাচনী বিভিন্ন প্রচারে বেরিয়ে রাতে ফিরে গেছেন আমেদাবাদে, ফলাফল ঘোষণা হয়েছে। উনি ওই আদানির বিমানে চেপেই দিল্লি এসেছেন, সেখান থেকে সটান সংসদে। এরপর রিটার্ন গিফট। মোদিজি গেছেন অস্ট্রেলিয়ায়, আদানি অস্ট্রেলিয়া কোল মাইনস-এর বরাত পেয়েছেন, মোদিজি গেছেন শ্রীলঙ্কা, বন্দরের বরাত পেয়েছেন আদানি, মোদিজি গেছেন বাংলাদেশে, আদানি পেয়েছেন বিদ্যুৎ প্রকল্পের বরাত। দেশের মধ্যে একের পর এক বন্দর, একের পর এক এয়ারপোর্টের দায়িত্ব পেয়েছেন, নামকরা জিভিকে কোম্পানির হাতে ছিল নভি মুম্বাই এয়ারপোর্টের দায়িত্ব, তাদের কাছ থেকে সেই দায়িত্ব কেন জানা নেই এসেছে আদানিদের কাছে। ধামরা টার্মিনাল কীভাবে গেল সে কথা আগেই বলেছি।
তো সেই আদানির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠতে শুরু করল, আন্তর্জাতিক এক শর্ট সেলার হিন্ডেনবার্গ-এর রিপোর্টে বলা হল আদানি কোম্পানিতে বহু কেলেঙ্কারি আছে। কেলেঙ্কারি নাম্বার এক, তাদের শেয়ার ইনফ্লেটেড, মানে ফোলানো ফাঁপানো, এই শেয়ারের আসল দাম অনেক অনেক কম। ঘাপলা নাম্বার দুই, কিছু জালি কোম্পানি, যাদের বাজারের পরিভাষায় শেল কোম্পানি বল হয়, তারা আদানিদের ব্যবসায় টাকা ঢেলেছে, যারা মরিসাস বা ওইরকম কিছু জায়গা থেকে তাদের এই কুকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। বলার পর থেকেই আদানিদের কঙ্কাল বের হতে শুরু করেছে, তাদের শেয়ারের দাম কমেছিল ৫৫–৬০ শতাংশ। এরপরে দ্য মর্নিং কনটেক্সট তাদের রিপোর্টে জানাল, আদানিদের নামেই চলছে এসিসি বা অম্বুজা সিমেন্ট কিন্তু এর আসল মালিকানা আদানি গ্রুপেরই নয়। এর মধ্যেই উঠে এল আদানি লাইফ ইনসিওর্যান্স, বা স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া থেকে প্রচুর ধার নিয়েছেন, ওনার সম্পদ ডুবে যাওয়া মানে এই লাইফ ইনসিওর্যান্স বা জাতীয় ব্যাঙ্কের টাকাও একই ভাবে ডোবা। এবং প্রশ্নটা সেখানেই, দেশের মানুষের হার্ড আর্নড মানি, যা নাকি মানুষের সুরক্ষার জন্য স্টেট ব্যাঙ্ক বা সরকারি ব্যাঙ্ক বা এলআইসি-তে রাখা আছে, কার জন্য সে টাকা ভোগে যাবে? কার দায়? মোদিজিকে সেটাই প্রশ্ন করেছেন বিরোধীরা, সংসদের ভেতরে এবং বাইরে। আচ্ছা এমনটাও তো বলা হয়নি যে গৌতম আদানিকে ধরে জেলে পুরে দাও, বলা হয়েছে তদন্ত হোক। দেশের প্রত্যেকটা বিরোধী দল এই তদন্ত চাইছে, মোদিজি জওহরলাল নেহরু কী কী করেননি, ইন্দিরা গান্ধী কতটা স্বৈরতান্ত্রিক ছিলেন, দেশ কীভাবে প্রগতিকে পথ পর, সব কা সাথ, সবকা বিকাশ ইত্যাদি বলেই যাচ্ছেন। এবং এই আবহেই বেরিয়ে এল আরেক কেলেঙ্কারির কথা। দ্য হিন্দুতে ছাপা হল সেই সেই রিপোর্ট যা বলছে আমাদের দেশের শ্রমিকদের রক্ত ঘামও বেচে দেওয়া হয়েছে আদানিদের কাছে। আদানি গোষ্ঠীর বিভিন্ন কোম্পানিতে কর্মচারী ভবিষ্যৎ নিধির তহবিল থেকে বিনিয়োগ করা হয়েছে। এটাকে ইপিএফ বলা হয়, এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ড ফান্ড। ২৭ কোটিরও বেশি সংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মচারীদের প্রাপ্য টাকার এক অংশ এই ফান্ডে রাখা হয়, সরকারও সম পরিমাণ টাকা সেখানে রাখেন, এবং এই ইপিএফ-এর টাকা কর্মচারীরা রিটায়ার করার পরে পেয়ে থাকেন। আগে এই টাকা সরকারি বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে রাখা হত, এতে করে এই টাকা সুদে খানিক বাড়ত কিন্তু সুরক্ষিত থাকত। এখন সেই টাকা আদানির ব্যবসায়ে খাটছে। একটা মজার ব্যাপার দেখুন, বিভিন্ন মিউচুয়াল ফান্ড আছে, যারা পাওনার টাকা ইনভেস্ট করে আপনাকে সাধারণ সুদের হারের থেকে অনেকটাই বেশি টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি করছে, অনেকে দিচ্ছেও। যারা দিচ্ছে সেই সব কোম্পানিগুলোর ফান্ড ম্যানেজমেন্ট, মানে আপনার টাকা তারা কোথায় কোথায় ইনভেস্ট করছে তার লিস্টটা দেখুন। কোনও ভাল মিউচুয়াল ফান্ড কোম্পানি তাদের টাকা কিন্তু আদানির কোনও কোম্পানিতে ঢালছে না। কেন? কারণ এই মিউচুয়াল ফান্ড কোম্পানিগুলো আদানিদের প্রকৃত চেহারাটা জানে, জানে বলেই সেখানে টাকা রেখে নিজেদের গুডউইল নষ্ট করতে চায় না। কিন্তু দেশের সরকার? দেশের সরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে কি এই খবর নেই? তারা কেন আদানির বিভিন্ন কোম্পানিতে টাকা ঢালছে? কার নির্দেশে ঢালছে? কিসের বিনিময়ে ঢালছে? এই প্রশ্ন তো উঠবেই, যিনি বলেছিলেন আমি আপনাদের, দেশের মানুষের সম্পদের, দেশের সম্পদের চওকিদার, না কিসি কো খানে দুঙ্গা, না খাউঙ্গা। কিন্তু এই বাওয়ালি দেওয়ার পরে কার্যক্ষেত্রে যা হচ্ছে তা তো ঠিক উলটো। কেন? ইপিএফ এর ১৫ শতাংশ টাকা, এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড-এ বিনিয়োগ করা হয়েছে, যেখান থেকে টাকা গেছে এন এফ সি – নিফটি ফিফটি কোম্পানিতে। তো এই ৫০ জনের তালিকায় আগে আদানির কোম্পানি ছিল না। ২০১৫ থেকে এই তালিকায় ঢুকে পড়েছে আদানি এসইজেড অ্যান্ড পোর্ট। ২০২২-এর মার্চ অবধি ১.৫৭ লক্ষ কোটি টাকা এই এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড-এ বিনিয়োগ হয়েছে, ২২-২৩ আর্থিক বছরে আরও ৩৮ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। এবং এই ফান্ডের এক বিরাট টাকা বিনিয়োগ হয়েছে আদানি এসইজেড অ্যান্ড পোর্ট কোম্পানিতে। আদানি গোষ্ঠীর কোম্পানি হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের মতে এই কোম্পানির শেয়ার ভ্যালুতে জল মেশানো। কতটা জল? ওই রিপোর্ট বলছে ৮৫ শতাংশ। ভাবা যায়? সেই শেয়ার নেমেছিল ৫৫-৬০ শতাংশ। আবার যে নামবে না তার কোনও গ্যারান্টি তো নেই। তাহলে? সেই মানুষগুলো যাদের প্রতিদিনের শ্রম বিক্রির কামাই, তাদের ঘাম রক্তের দাম এই ঠগ জোচ্চরদের হাতে তুলে দেবার ব্যবস্থা কে করল? সিবিআই যাবে না? ইডি যাবে না? দেশের চওকিদার জবাব দেবে না? এখন নতুন তথ্য সামনে, গৌতম আদানির দাদা ভিনোদ আদানি, তিনি বসে আছেন সাইপ্রাসে, আরও ৬৬ জন অর্থনৈতিক অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে, দেশের সরকার দেশের মানুষের ঘাম রক্ত তুলে দিচ্ছে সেই সব ফোর টোয়েন্টি ব্যবসায়ীদের হাতে।