কলকাতা বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫ |
K:T:V Clock
Fourth Pillar | যুদ্ধ শেষ, বিজেপি নেমে পড়েছে বিষ ছড়াতে, ঘৃণা ভাষণে
কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক Published By:  কৃশানু ঘোষ
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫, ০৩:২৫:২৫ পিএম
  • / ১০ বার খবরটি পড়া হয়েছে
  • কৃশানু ঘোষ

মধ্যপ্রদেশের মাহুতে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন কোনও নকড়া ছকড়া বিজেপি নেতা নয়, মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব সরকারের মন্ত্রী এবং আটবারের বিধায়ক বিজয় শাহ। প্রথমে তো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জয়গান, দেশ কো বঁচা লিয়া ইত্যাদি চলল। তারপরেই তিনি কর্নেল সোফিয়া কুরেশির প্রসঙ্গে চলে আসেন, ছাপার বা মুখে বলা যায় না এরকম আপত্তিকর ভাষা দিয়ে বলতে থাকেন, মোদিজির স্ট্র্যাটেজির কথা। তিনি অনায়াসে বললেন, যারা “আমাদের মেয়েদের সিঁদুর মুছে দিয়েছিল,” সেই ‘কাটা-ছাঁটা লোকেদের’ আমরা ‘তাদেরই বোনকে পাঠিয়ে’ দিয়ে আমাদের অওকাত বুঝিয়ে দিয়েছি, উচিত শিক্ষা দিয়েছি। এখানেই থামেননি, বললেন “মোদিজি কাপড় খুলতে পারেননি, তাই তাঁদের সমাজের বোনকে পাঠানো হয়েছিল” এই বার্তা দিয়ে যে, “তোমরা যদি আমাদের বোনদের বিধবা করো, তবে তোমাদের সমাজের বোনকে পাঠিয়ে আমরা তোমাদের নগ্ন করে ছাড়ব।” মন্ত্রী বিজয় শাহ যা বলেছেন তার স্পষ্ট মানে হল কর্নেল সোফিয়া কুরেশি আসলে ‘সন্ত্রাসবাদীদের বোন’। আর এটা হচ্ছে আমাদের, মানে মোদিজির ‘আমাদের বোনদের সিঁদুরের বদলা’ নেওয়ার জন্য এক স্ট্র্যাটেজি। এই ক’দিন আগে যে কর্নেল সোফিয়াকে দেশের সামনে এক রোল মডেল হিসেবে, অপারেশন সিঁদুরে এক ধর্মনিরপেক্ষ চেহারা দিয়ে শুধু দেশ নয়, সারা বিশ্বে যে ছবি তুলে ধরার চেষ্টা হল, তা নাকি আসলে ছিল মোদিজির কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার এক স্ট্র্যাটেজি। এবং এটা কি এক বিচ্ছিন্ন ঘটনা?

হঠাৎ করে এক ক্যাবিনেট মন্ত্রী এই কথা বলে ফেললেন? এই একই কথাই কি সংসদে বসে ডিগ্রি দুবে বলেনি? বিজেপি কোনও পদক্ষেপ নিয়েছিল নিশিকান্ত দুবের বিরুদ্ধে? মনে আছে দেশ কে গদ্দারো কো, গোলি মারো শালো কো? বিজেপি একটা কথাও বলেছে? নাগপুরে নাথুরাম গডসের মন্দির হয়েছে, বিজেপি কিছু বলেছে? বলেনি। বিজেপি-আরএসএসের রাজনীতি আসলে এক ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক সংখ্যালঘু বিদ্বেষ, এক ঘৃণার ভিত্তির উপরেই বসানো আছে, যা আরএসএস-এর দর্শন। যেখানে একজন সেনাকর্মী, একজন কূটনীতিক, এমনকী এক শহীদের স্ত্রীকেও ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে সন্দেহের চোখে দেখা হচ্ছে। এই ঘৃণার রাজনীতির প্রতিচ্ছবিই আমরা দেখতে পাই বিজেপি মন্ত্রী বিজয় শাহের মন্তব্যে, বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রির পরিবারকে টার্গেট করার মধ্যে বা শহীদ নৌসেনা অফিসারের স্ত্রী হিমাংশী নারওয়ালকে ট্রোলিংয়ের চেহারা দেখে। এই ঘটনাগুলো বলে দেয়, কতটা গভীরে প্রবেশ করেছে এই বিদ্বেষ। আচ্ছা বিজয় সিং কি এই প্রথম এ ধরনের কথা বললেন? না। ২০১৮ সালে শিক্ষক দিবসের এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন যারা হাততালি দেননি তারা পরের জন্মে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হাততালি দেবে। তারও আগে তিনি স্কুলে ‘জয় হিন্দ’ না বললে হাজিরা বাধ্যতামূলক নয় বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন এবং সরাসরি হুমকি দিয়েছিলেন, যারা ‘জয় হিন্দ’ বলবে না, তাদের ভোপাল এনে বুঝিয়ে দেব। আসলে হেট স্পিচ দেওয়াটা কেবল ওনার নয়, এটা বিজেপির নেতা কর্মীদের অভ্যেস।

বিক্রম মিস্রি ভারতের বিদেশ সচিব, ভারত সরকারের সিদ্ধান্ত তিনি সাংবাদিকদের সামনে জানান। তাঁর যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর সোশ্যাল মিডিয়াতে মিস্রিকে নিশানা বানানো শুরু হয়। ট্রোলাররা তাঁর ব্যক্তিগত জীবন, তাঁর পরিবার এবং এমনকী তাঁর মেয়েকেও আক্রমণ করে। এই ট্রোলিং শুধুমাত্র সমালোচনা নয়, এক্কেবারে হেট স্পিচ। ট্রোলাররা মিস্রির এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে তাঁর ২০১৫ সালের একটা পুরনো ছবি খুঁজে বের করে, যেখানে তিনি তাঁর মেয়ের সঙ্গে একটা সেলফি শেয়ার করেছিলেন এবং প্রধানমন্ত্রী মোদিকেও ট্যাগ করেছিলেন। এই পোস্টে কুৎসিত, অভদ্র মন্তব্য করা হয়। আর তারপরে? নরেন্দ্র মোদি কিছু বললেন? বিজেপি নেতা মন্ত্রীরা কিছু বললেন? না একটা কথাও বলেন নি, সেই সমস্ত টুইটারদের অনেকেই মোদিজিকে ফলো করে, এদের কাউকে কাউকে আবার মোদিজি নিজেই ফলো করেন। এই হামলা সমস্ত সীমা ছাড়িয়ে যায়, যার পরে বিক্রম মিস্রিকে তার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টটাকে প্রাইভেট করতে হয়। রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবেশ এই মুহূর্তে এমন জায়গায় পৌঁছেছে, যেখানে মুসলিম নাম দেখলেই তাকে ‘দেশদ্রোহী’, ‘জিহাদি’, বা ‘পাকিস্তানের চর’ বলে চিহ্নিত করা হচ্ছে — তা সে যেই হোক না কেন, সেনাবাহিনীর কর্নেল থেকে বিদেশ সচিব থেকে শহীদ নৌসেনার স্ত্রী যেই হোন না কেন। ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে জঙ্গি হামলায় ভারতীয় নৌবাহিনীর অফিসার বিনয় নারওয়াল শহিদ হন। সেই শোকের মধ্যেও তাঁর স্ত্রী হিমাংশী নারওয়াল সংবাদমাধ্যমে বলেন, “আমার স্বামী দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন, আমি চাই না ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হোক। যুদ্ধ কোনও সমস্যার সমাধান নয়।” তিনি একজন মানুষের মতো কথা বলেছিলেন, কিন্তু সেটা তো এই ঘৃণা ছড়ানোর মেশিনের সঙ্গে খাপ খায় না, কাজেই শুরু হল ট্রোলিংয়ের ঝড়। তাঁকে ‘দেশদ্রোহী’, ‘পাকিস্তানপন্থী’, ‘দেশের শত্রু’ বলা হল।

আরও পড়ুন: Fourth Pillar | প্রমাণ হাতে, পাকিস্তানই ছিল পহেলগাম হত্যাকাণ্ডের পিছনে

আরও ভয়ঙ্কর হল, তাঁর পুরনো ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল ঘেঁটে কিছু মুসলিম বন্ধুদের সঙ্গে তোলা ছবি ছড়িয়ে দেওয়া হল, বলা হল, “দেখুন, কারা এঁর বন্ধু, বোঝাই যাচ্ছে ওনার চোখ আর মন কোথায়।” ভাবা যায় এদেশে যেখানে একজন শহীদের স্ত্রী, যাঁর ব্যথার কূলকিনারা নেই, যে ভার সহ্য করা কঠিন, সেখানেও যদি ট্রোলের হাত থেকে রেহাই না মেলে— তাহলে এ দেশের সমাজ ও রাজনৈতিক সংস্কৃতি কোন দিকে যাচ্ছে, তা ভাবলে ভয় লাগে, কোন পৃথিবী রেখে দিয়ে যাব আমরা? এই ঘটনা তো কেবল হিমাংশীর অপমান নয়, বরং ভারতীয় সেনার ত্যাগকেও একরকম অবজ্ঞা করা, যেখানে বিজেপি নিজেকে অসম্ভব জাতীয়তাবাদী বলে দাবি করে, ঠিক সেইখানেই তাদের আচরণ দেশদ্রোহীদের চেয়েও খারাপ। এ ধরনের ঘটনাগুলো, এ ধরনের ঘৃণা ছড়ানোর প্রবণতা তো কেবল বিভাজনের রাজনীতিকে উসকে দেয় না, বরং সেনাবাহিনীর মতো সংবেদনশীল রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের বিশ্বাসযোগ্যতাকেও কাঠগড়ায় তোলে। আর সবচেয়ে বিপজ্জনক দিক হল এগুলোর একটাও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, একজন নেতা করছে একজন মন্ত্রী করছে তাও নয়, এটাই আরএসএস–বিজেপির ডিএনএ, এটাই তাদের আদর্শ। আজকের ভারতে কেবল কোনও সংখ্যালঘু নয়, যে কোনও প্রগতিশীল বা শান্তি চায়, সদ্ভাবনার কথা বলে, ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলে তাঁকেই ট্রোল, হুমকি, এমনকী শারীরিক নিগ্রহের মুখে পড়তে হচ্ছে। মিডিয়ার অ্যাঙ্কর প্রকাশ্যেই ধর্মনিরপেক্ষতার বিরোধিতা করছে, যুদ্ধের বিরুদ্ধে কথা বললে তাকে পাকিস্তানে যেতে বলছে, ধর্মনিরপেক্ষরা দেশ থেকে বেরিয়ে যাও, এসব ফতোয়া দিচ্ছে, আর তার পরেও তারা অনায়াসে এই দেশেই চলে ফিরে বেড়াচ্ছে।

আর এগুলো যত বাড়ছে তত এক অদ্ভুত প্রবণতা দেখছি আমরা, এর ফলে এক ধরনের আত্মনিয়ন্ত্রণের সংস্কৃতি গড়ে উঠছে, সেলফ রেস্ট্রিকশন, থাক না বাবা আমি এর মধ্যে নিজেকে জড়াবো না— হ্যাঁ মানুষ নিজেদের নিরাপত্তার কথা ভেবে মুখ বন্ধ রাখছে। আজকের ভারতে সংখ্যালঘুবিদ্বেষ শুধু রাজনৈতিক কৌশল নয়, বরং রাষ্ট্রীয় চরিত্রে স্টেট ক্যারেকটারে পরিণত হচ্ছে। বিজেপি-আরএসএস মোদিজির নেতৃত্বে এই ঘৃণা শুধুমাত্র নির্বাচনী প্রচারের উপায়ই নয়, বরং তা এক অনেক বড় সংস্কৃতিগত ও মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের, কালচারাল, সাইকোলজিক্যাল ওয়ারফেয়ার-এর অংশ, যার উদ্দেশ্য হল ‘এক জাতি, এক ধর্ম, এক ভাষা’র একচ্ছত্র আধিপত্য কায়েম করা। এক কথায়, যদি বলতে হয় দেশের আর পাঁচটা দলের সঙ্গে বিজেপির ফারাকটা ঠিক কোথায়? তাহলে তার উত্তর হল, বাকি পাঁচ কেন? সংসদীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করা বাকি সব দল, দেশের সংবিধান, দেশের স্বাধীনতা আন্দোলন, দেশের ঐতিহ্য, দেশের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র নিয়ে যা ভাবে, বিজেপি তা ভাবে না। বিজেপির কাছে স্বাধীনতা আন্দোলনের কোনও অর্থই নেই, কারণ তাদের পূর্বসূরিরা কেউ কেউ স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন, বাকিরা স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেননি, আরএসএস-এর নির্দেশ মেনেই হাত মিলিয়েছিলেন ইংরেজদের সঙ্গে, তীব্র ঘৃণা গান্ধী, নেহরু কংগ্রেসের জন্য, কমিউনিস্টদের সঙ্গে শত্রুতা, ধর্মনিরপেক্ষতা কোনওদিনই তাদের সিলেবাসে ছিল না।

তারা সংবিধান সভায় যোগ দেননি, সংবিধান প্রণয়নে তাদের কোনও ভূমিকাই নেই, তীব্র মুসলমান বিরোধিতা ছিল তাদের দর্শনের ভিত্তি। স্বাভাবিকভাবেই সেই ঐতিহ্যকেই বিজেপি বহন করে চলেছে, সঙ্ঘ পরিবারের প্রত্যক্ষ নির্দেশে, সেই দর্শনকেই তারা আঁকড়ে ধরেছে। সেই দর্শন মেনেই তারা গান্ধী নেহরুকে বিশ্বাসঘাতক বলে, গান্ধী হত্যাকারী নাথুরাম গডসের পুজো করে, সেই দর্শন মেনেই তারা ইংরেজদের কাছে মুচলেকা দিয়ে, জেল থেকে বের হওয়া সাভারকরকে তাদের গুরু হিসেবে মান্য করে, সেই দর্শন মেনেই তারা দেশের ধর্মনিরপেক্ষতাকে অস্বীকার করে, সেই দর্শনকে সামনে রেখেই তারা হিন্দুরাষ্ট্রের ছক কষে, সেই একই দর্শনের ভিত্তিতেই মুসলমানদের এদেশের নাগরিক হিসেবে মানতে চায় না, তাদেরকে এদেশে থাকতে হলে, হিন্দু নিয়মনীতি রীতি মেনে চলার ফতোয়া দেয়। আর তাই এই পরিস্থিতিতে আমাদের, দেশের নাগরিক সমাজের দায়িত্ব হল, এই বিদ্বেষের রাজনীতির বিরুদ্ধে হাতে হাত ধরে দাঁড়ানো। ধর্ম নয়, আমাদের মূল্যায়ন হোক আমাদের কাজ ও মানবতাবোধ দিয়ে। রাষ্ট্রকে হতেই হবে সংবিধানপ্রণেতা ভীমরাও আম্বেদকরের স্বপ্নের মতো— যেখানে ‘ন্যায়, স্বাধীনতা, সাম্য ও ভ্রাতৃত্ব’ শুধুমাত্র ক’টা শব্দ নয়, এক বাস্তবতা।

পুরনো খবরের আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০
১১ ১২ ১৩ ১৪১৫ ১৬ ১৭
১৮ ১৯ ২০ ২১ ২২ ২৩ ২৪
২৫ ২৬ ২৭ ২৮ ২৯ ৩০ ৩১
আর্কাইভ

এই মুহূর্তে

বন্দি বিনিময়, পূর্ণম ফিরলেন দেশে, রাজস্থানে আটক পাক রেঞ্জার্সকে মুক্তি দিল ভারত
বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০২৫
টেকনিশিয়ানদের বয়কট , অনির্বাণের মিউজিক ভিডিওর শুটিং বন্ধ
বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০২৫
পাকিস্তানি পতাকা বিক্রি, অ্যামাজন, ফ্লিপকার্ট সহ আরও ৪ অনলাইন সংস্থাকে নোটিশ কেন্দ্রের
বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫
ইউনুসের লস্কর যোগ? ভারত-পাক যুদ্ধ নিয়ে বিরাট দাবি হাসিনা পুত্র জয়ের
বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫
‘অপারেশন সিঁন্দুর’, রাষ্ট্রপতিকে যাবতীয় আপডেট দিলেন ভারতের তিন বাহিনীর প্রধান
বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫
পূর্ণমের পাশে ছিলাম, নবান্ন থেকে জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫
ঘনাচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত, কলকাতায় বৃষ্টির সঙ্গে বইবে ঝোড়ো হাওয়া, নামবে কি পারদ?
বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫
পরের সপ্তাহে উত্তরবঙ্গ সফরে মুখ্যমন্ত্রী
বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫
১১টি শপিং মল তৈরির কাজ শুরু হয়েছে, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫
ফের সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গেল ডিএ মামলা
বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫
ভক্তদের ইচ্ছে পূরণ করতেই পর্দায় জুটি বাঁধছেন রাশমিকা-বিজয়!
বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫
কর্নেল কুরেশি নিয়ে কু-মন্তব্য বিজেপি মন্ত্রীর, এফআইআরের নির্দেশ হাইকোর্টের   
বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫
মুর্শিদাবাদে পুলিশের জালে জাল আধার চক্রের তিন পান্ডা
বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫
চাকরিহারা গ্রুপ C ও D-র জন্য মাসিক বিশেষ অনুদান
বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫
নিউটাউনে আন্তর্জাতিক পার্ক তৈরি ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫
© R.P. Techvision India Pvt Ltd, All rights reserved.
Developed By KolkataTV Team