কলকাতা শনিবার, ০৩ জুন ২০২৩ |
K:T:V Clock
চতুর্থ স্তম্ভ: নেতাজি, নেতাজি
সম্পাদক Published By:  • | Edited By:
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০২২, ১০:৩০:০১ পিএম
  • / ২৮১ বার খবরটি পড়া হয়েছে
  • • | Edited By:

পুঁজিবাদী অর্থনীতি আর সমাজের সবথেকে বড় বৈশিষ্ট হল, যা বেচে পয়সা আসে তাই বিক্রি করা। নীতি, নৈতিকতা, সত্য, মিথ্যে, আদর্শ, মতবাদ, ছাইপাশ যা খুশি হোক, বেচে পয়সা আসছে কি? তাহলে বেচো, আসছে না? ফেলে দাও। অর্থাৎ মন, শরীর, জল, হাওয়া, বন, জঙ্গল, প্রয়োজনীয় বা অপ্রয়োজনীয় যা কিছু বেচে দেবার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল পুঁজির উদ্ভবের সঙ্গে সঙ্গে, পুঁজি অর্থনীতি যত বেড়েছে, যত ছড়িয়েছে তত বেশী বেড়েছে এই সব কিছু বেচে লাভ করার, মুনাফা কামানোর প্রবণতা। ১ কিলো মায়া, ৩ কিলো দুঃখ, ৬ কিলো ভালোবাসা? বিক্রি করা গেলে বেচে দাও। দেশ বেচে দাও, দেশের মানুষ বেচে দাও, স্বাধীনতা দিবস আসছে, প্লাস্টিকের তেরঙ্গা তৈরি করো, বেচে দাও মুনাফা হবে, গণতন্ত্র দিবসে তেরঙ্গা পতাকার চেন, দারুণ বিক্রি হবে, বেচে দাও। চাই কি ভগত সিং এর, ক্ষুদিরামের ছবিওলা ব্যাজ, বেচে দাও। সেরকম বিক্রির তালিকায় রবীন্দ্রনাথ আছেন, ২৫ এ বৈশাখ আর ২২ এ শ্রাবণ। বছরের অন্যদিকে রবীন্দ্রনাথ দাড়িওলা আলখাল্লা পরা বুড়ো এমন মানুষ, আছেন বিবেকানন্দ, মাটির মূর্তি থেকে ব্যাজ, জন্মদিনে ভাল বিক্রি হয়।

সেই বিক্রি হবার তালিকার শীর্ষে আছেন নেতাজি সুভাষ বসু, ওনাদের চেয়ে ঢের ঢের বেশি, কারণ তাঁর জীবন রোমাঞ্চকর, এক বিপ্লবীর জীবন, তাঁর মৃত্যু রহস্যে ঘেরা। অতএব তা নিয়ে ব্যবসা জমবে ভালো। রোজ তাকে বাঁচিয়ে তোলও, কখনও শৈলমারিতে। কখনও অযোধ্যায়, কখনও আশ্রমের এক সাধু, কখনও গুমনামি এক বাবা যিনি লুকিয়ে আছেন মানুষের সামনেও আসেন না, তাঁকে নিয়ে বই লেখো, অজানা তথ্যের নামে ভুরি ভুরি মিথ্যে লিখে যাও, আজগুবি তথ্য মানুষ গেলে ভালো, কনস্পিরেসি থিওরির বাজার বরাবরই আছে, তাকে নিয়ে সিনেমায় সেই আজগুবি তথ্য তুলে ধরো, তারপর ধর্মতলায় তাঁর স্ট্যাচুর তলায় সেলফি তুলে পোস্ট করো, লাইক পড়বে, সিনেমার টিকিট বিক্রি হবে। সিনেমা শেষ, এবার অন্য কোনও সিনেমা, ধর্মতলায় ওনার স্ট্যাচুর তলায় সেলফির আর দরকার নেই, প্রয়োজন মিটে গেছে।

একেই বলে বাজার অর্থনীতি যেখানে নারীমাংস আর নেতাজী বেঁচে আছেন, একই সঙ্গে বিক্রি হয়। এ পর্যন্ত তো জানাই আছে, আমাদের দেশে নয় সারা পৃথিবী জুড়েই পুঁজির এ চরিত্র, ক্রমশঃ সবাই জেনে ফেলেছে। সমস্যাটা অন্য জায়গায়, কেবল টাকা নয়, কেবল পূঁজির মুনাফার জন্যই নয়, রাজনৈতিক মুনাফার জন্যও, ক্ষমতায় টিঁকে থাকার জন্যও, বিরোধী রাজনীতিকে পরাস্ত করার জন্যও, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুকে ব্যবহার করা হচ্ছে, তিনি বেঁচে থাকলে যে বিশ্বাসঘাতকেরা গর্তে লুকিয়ে থাকত, যারা একটা কথাও বলতে পারতো না, তারা নেতাজীর নামে এক ভয়ঙ্কর রাজনীতি করে যাচ্ছেন, অশিক্ষা আর কুশিক্ষা নিয়ে আমার দেশের মানুষ সেই প্রচারের শিকার, আজ তা নিয়েই দু চারটে কথা।

আরও পড়ুন: চতুর্থ স্তম্ভ: বিকাশের গপ্পো……

এতবড় এক সম্পদ, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু, তার মালিকানা নিয়ে বিরাট লড়াই, কে সহি মালিক, তাই নিয়ে কাজিয়া। স্বাধীনতার পরে দেশে তিন ধারার রাজনীতি চলছিল, বহুবার বলেছি, আবারও বলি। সদ্য স্বাধীনতা পাওয়া দেশের, স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা কংগ্রেস ছিল প্রথম এবং সবথেকে শক্তিশালী ধারা, দ্বিতীয় ছিল কমিউনিস্টরা, যারা ইয়ে আজাদী ঝুটা হ্যায় বলার পরে ফিরে এলেন জাতীয় রাজনীতিতে, কেন সে আজাদী ঝুটা নয়? এই আজাদীর গুরুত্ব কোথায়? সেসব আলোচনা আর মিমাংসা কি তাঁরা করলেন? না করেন নি, বলেন নি ঐ শ্লোগানে কোথায় ভুল ছিল, তাও বলেন নি, কেবল কমিউনিস্ট পার্টির ওপর থেকে ব্যান তুলে নেওয়া হল, তাঁরা ফিরে এলেন, অমিমাংসিতই রয়ে গ্যালো যবতীয় প্রশ্ন। সেই কারণেই তাঁদের দেখা যায় নি ১৫ আগস্ট তেরঙ্গা ওড়াতে, ২৬ শে জানুয়ারি গণতন্ত্র দিবস পালন করতে, অর্থাৎ সব প্রশ্নই এক কৌশলের আড়ালে রয়ে গ্যালো।

অন্যদিকে আর এস এস জনসংঘ, তারাও এই সংবিধানকে মানেন নি, জাতীয় পতাকাকে মানেন নি, তাদের কাছে এই স্বাধীনতার কোনও মূল্যই ছিল না, তাঁরা স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণও করেন নি, অতএব গান্ধী হত্যায় অংশ নিয়েছেন, নাগপুরে সদর কার্যালয়ে পতাকা তোলেন নি।

এ তো গ্যালো স্বাধীনতার প্রশ্ন, কিন্তু নেতাজি? লালকেল্লায় যখন ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মির বিচার চলছে, তখন জহর লাল নেহেরু সামলা পরে, আই এন এর যুদ্ধাপরাধীদের হয়ে সওয়াল করেছেন, তাদের লড়াইকে স্বাধীনতার আন্দোলন বলেছেন। কিন্তু এই পর্যন্তই, নেহেরু যে দৃষ্টিকোণ থেকে সুভাষকে দেখতেন, কংগ্রেসের অন্য নেতারা তো সেই চোখে দেখতেন না, কংগ্রেস দলেও এ নিয়ে কোনও আলোচনা বা তার মীমাংসা হয় নি, কিন্তু নেতাজির বিরোধিতাও হয় নি, তার কারণ নেতাজির জনপ্রিয়তা। নেতাজি তৈরি করেছিলেন নেহেরু ব্রিগেড, গান্ধী ব্রিগেড। স্বাধীন ভারতবর্ষে দেশের সৈন্যবাহিনীতে কোনও সুভাষ ব্রিগেড তো হয় নি, মানে সেখানেও ছিল অবহেলা। যদিও সারা দেশের প্রত্যেক প্রান্তে, নেতাজির নামে রাস্তা হয়েছে, মূর্তি বসেছে, কংগ্রেসী নেতারা সেসব মূর্তিতে মালা দিয়েছেন, কেউ দাবি তোলেন নি যে আমাদের কারেন্সিতে সুভাষ বসুর মুখ রাখা হোক, গান্ধীও থাকুক, সুভাষও থাকুক। না হয় নি।

আরও পড়ুন: চতুর্থ স্তম্ভ : ৮০ আর ২০-র লড়াই

কমিউনিস্টরা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নেতাজিকে কুইসিলিং, বিশ্বাসঘাতক বলেছেন, তাঁর দেশপ্রেমকে অস্বীকার করেছেন, এটাও ইতিহাস, বহু পরে জ্যোতি বসু বলেছিলেন, আমাদের মুল্যায়ন ভুল ছিল, কিন্তু কোনও পার্টি কংগ্রেসে প্রস্তাব এনে সেই ভুল স্বীকার বা সংশোধন তো করা হয় নি, এটাও ইতিহাস। আর এস এস জনসংঘের সঙ্গে নেতাজীর আদর্শগত ফারাক এতটাই ছিল যে, তারা কোনওদিন নেতাজি নিয়ে কথাই বলেন নি, সবচেয়ে বড় কথা হল, সেদিনের আর এস এস জনসংঘ নেতারা ইতিহাস জানতেন, নেতাজীর অবস্থান জানতেন, তাঁরা জানতেন নেতাজীর রাজনৈতিক, সামাজিক চিন্তা ভাবনা, এক ১০০ % অসাম্প্রদায়িক মানুষকে নিয়ে নাচানাচি করার কোনও কারণ তাদের ছিল না, করেনও নি।

তারপর বহু বছর পার হয়ে গেছে, মাঝে নেতাজির ১০০ বছর মানে জন্মশতবার্ষিকী ঢাক ঢোল পিটিয়ে পালন করা হয়েছে, আর প্রায় সেই সময় থেকেই নেতাজী যে এক সম্পদ, তাঁকে ভাঙিয়েও যে রাজনীতি করা যায়, এটা সবাই বুঝতে পেরেছেন, কাজেই প্রায় ঐ সময় থেকেই এক কদর্য খেলা শুরু হয়েছে, যে খেলার নাটের গুরু আর এস এস – বিজেপি। নেতাজি মৃত, কাজেই নেতাজী নয়, তাদের রাজনীতি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে, কমিউনিস্টদের বিরুদ্ধে, এবং আজকের আর এস এস – বিজেপি নেতাদের কাছে আছে হোয়াটস অ্যাপ ইউনিভার্সিটি, যেখানে অনর্গল মিথ্যে বলা যায়, এমন মিথ্যে যা মানুষের কাছে ছড়িয়ে যাবে, নিরক্ষরতা আর অশিক্ষা তো আছেই, তাকেই সম্বল করে তারা মাঠে নেমেছেন। নেতাজি কী বলেছেন, নেতাজি কী করেছেন? নেতাজির সেই অজস্র লেখা, নেতাজির সেই বীরত্বের, দেশপ্রেমের ইতিহাস কজনই বা পড়েছেন? সেই সুযোগটাই নিয়েছে আর এস এস – বিজেপি, কংগ্রেস নেতাজি বিরোধী ছিল, জহরলাল নেহেরু প্রধানমন্ত্রী হবার জন্য নেতাজিকে রাশিয়ায় জেলে পুরে রেখেছিলেন, নেতাজি এ দেশে এসেছিলেন, কিন্তু তাঁকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে ফাঁসি দেবার ভয় দেখিয়ে লুকিয়ে থাকতে বাধ্য করেছিল কংগ্রেস নেতৃত্ব, গান্ধিজী নেতাজিকে দেশ থেকে চলে যেতে বাধ্য করেছিলেন, জহরলাল আর কংগ্রেস মিলে আই এন এর বিরাট সম্পদ লুঠ করেছিল, নেতাজি দেশে ফিরে এসে আর এস এস নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন, নেতাজিকে জার্মানিতে পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল সাভারকরের, এইসব মিথ্যে, ডাহা মিথ্যে আর আজগুবি তথ্যে ভরে গেছে স্যোশাল মিডিয়া, অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত এমন কি উচ্চশিক্ষিত মানুষজন এসব কথা বলেন, বলে চলেছেন, আর পেছনে বসে পাকা মাথার কিছু মানুষজন এই প্রচারের কনটেন্ট তৈরি করে চলেছেন, কিন্ত কেন?

আজগুবি তথ্যের প্রবক্তাদের লক্ষ্য নেতাজীর আদর্শকে ছড়িয়ে দেওয়া নয়, লক্ষ্য নেতাজির চিন্তাকে বাস্তবায়িত করা নয়, লক্ষ্য নেতাজিকে সামনে রেখে কংগ্রেসকে দূর্বল করা, আর কিচ্ছু নয়, সেটার জন্যই গুমনামী বাবার থিওরি আনাহচ্ছে, সিনেমাতে নেতাজিকে গান্ধী, নেহেরুর বিরুদ্ধে দাঁড় করানো হচ্ছে, কিন্তু একবারও বলা হচ্ছে না যে সেই নেতাজিই, যখন গান্ধিজী ভারত ছাড় আন্দোলন করছেন, তখন বিদেশ থেকে তাঁকে পূর্ণ সমর্থন করছেন, বলা হচ্ছে না যে সেই নেতাজিই যখন সৈন্যবাহিনী তৈরি করছেন, তখন তার নাম দিচ্ছেন ওই গান্ধিজীর নামে, নেহেরুর নামে। কারা করছেন এসব? আর এস এস – বিজেপি যারা আজকের দিনে দেশের সংখ্যালঘুদের জেনোসাইডের কথা বলছেন? যারা দেশের রাজনীতিকে, কেবল এবং কেবলমাত্র হিন্দু মুসলমান ন্যারেটিভে নিয়ে যাবার চেষ্টা করছেন? আসুন কয়েকটা তথ্য দেওয়া যাক।

আরও পড়ুন: চতুর্থ স্তম্ভ: মহামৃত্যুঞ্জয় যজ্ঞ

ঠিক এই মূহুর্তে বিজেপির সাংসদ সংখ্যা ৩০৩, যার মধ্যে একজনও মুসলমান নন, ঠিক এই মুহুর্তের তথ্য বলছে ইউ পি বিধানসভায় বিজেপির একজনও সংখ্যালঘু বিধায়ক কেবল নেই তা নয়, ২০১৭ র নির্বাচনে তাঁরা একজন সখ্যালঘুকেও দলের প্রার্থী করেন নি, এবারেও করবেন না। আর অন্য দিকে আসুন, সুভাষ চন্দ্র বোসের জীবনের তিনটে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের কথা মনে করা যাক, প্রথমটা ছিল ১৬ জানুয়ারি, যেদিন তিনি কলকাতা ছেড়ে, গোমো হয়ে পেশওয়ার, কাবুল হয়ে মস্কোতে গিয়ে, সেখান থেকে বার্লিনে গিয়েছিলেন, সেই মহানিষ্ক্রমণের দিনে তাঁর মূল সহযোগী ছিলেন মিঁঞা আকবর শাহ, যিনি পেশওয়ার থেকে নেতাজির সঙ্গে ছিলেন, তাঁর এই মহানিষ্ক্রমণ পরিকল্পনার কথা তিনজন পুরোটা জানতেন, একজন হলেন নেতাজির দাদা শরৎ চন্দ্র বসু, ভাইপো শিশির অন্যজন মিঁঞাআকবর শাহ, যিনি কলকাতায় এসে নেতাজির সঙ্গে দেখা করেছিলেন, শিশির বসুকে নিয়ে গিয়ে ওয়াছেল মোল্লা থেকে, নেতাজির জন্য পাঠান সুট তৈরি করিয়েছিলেন, কারণ এই মহানিষ্ক্রমণের প্রথম পর্বে নেতাজি হয়েছিলেন মহম্মদ জিয়াউদ্দিন, এক পাঠান ইনসিওরেন্স এজেন্ট।

এরপরের আর এক যাত্রা, যে যাত্রা ছিল অকুল দরিয়ায়, সাবমেরিনে করে জার্মানি থেকে টোকিও, জাপানে যাবার। চারিদিকে ব্রিটিশ পাহারা, আমেরিকান, ব্রিটিশ গোয়েন্দাদের তীক্ষ্ণ নজর, সেদিন সেই যাত্রার সঙ্গী কে ছিলেন? ৭ ফেব্রুয়ারির সেই বিপদসঙ্কুল যাত্রায় নেতাজির সঙ্গী ছিলেন আবিদ হাসান, তিনি আরও ১০ জনের মধ্যে থেকে আবিদ হাসানকে বেছে নিয়েছিলেন, আবার একজন মুসলমান, নেতাজির কাছে ছিল ভরসার মানুষ। এরপরের যাত্রা কোন দিকে ছিল জানা নেই, কোথায় সেই যাত্রা শেষ হয়েছিল, তাও জানা নেই, ১৭ আগস্ট সায়গন থেকে  তিনি রওনা দেবেন, সঙ্গে একজনই যেতে পারে, তখনও সঙ্গে আছেন এস এ আইয়ার, আছেন আবিদ হাসান আর হাবিবুর রহমান, নেতাজী হাবিবুর রহমানকে বেছে নিলেন, ১৮ই আগস্ট তিনি রওনা দিলেন তাইহোকু থেকে, জানা গ্যালো, বিমান রানওয়ে ছাড়ার পরেই আছড়ে পরে রানওয়ের শেষপ্রান্তে, তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাবার পরে, তিনি মারা গেছেন। এই ঘটনা নিয়ে হাজারো বিতর্ক আছে, অনেক প্রশ্নও আছে, বিশ্বযুদ্ধ তখন সবে শেষ হয়েছে, জাপান সারেন্ডার করছে, এক ক্যাওটিক সময়, সব কাগজ, সব প্রমাণ নেই, তাই এই মৃত্যুকে ঘিরে অনেক প্রশ্নও আছে,

যা নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই যে সেই বীর তাঁর তিন যাত্রা, তিন মহানিষ্ক্রমণের সময় নিজেই সঙ্গী বেছে নিয়েছিলেন, তিনজনই ছিলেন মুসলমান, যাদের আর এস এস – বিজেপি এদেশের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক বলেই মনে করে, আসুন প্রত্যেক মোদী ভক্ত আর ধর্মান্ধদের কাছে এই তথ্য তুলে ধরি, দেশের সর্বোচ্চ বীরের শিরোপা যার মাথায়, সেই নেতাজী ছিলেন আদন্ত্য এক অসাম্প্রদায়িক মানুষ।

আরও পড়ুনচতুর্থ স্তম্ভ : সার্কাসের জোকার

পুরনো খবরের আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০
১১ ১২ ১৩ ১৪ ১৫ ১৬ ১৭
১৮ ১৯ ২০ ২১ ২২ ২৩ ২৪
২৫ ২৬ ২৭ ২৮ ২৯ ৩০  
আর্কাইভ

এই মুহূর্তে

Coromandel Express Accident | করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার কবলে মঙ্গলকোটের ২ রাজমিস্ত্রি, খোঁজ নেই একজনের
শনিবার, ৩ জুন, ২০২৩
Coromandel Express Accident | করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃত বেড়ে ২৩৩, ঘটনাস্থলে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব
শনিবার, ৩ জুন, ২০২৩
Daily Bengali Horoscopes | Ajker Rashifal | আজকের রাশিফল | ২ জুন, ২০২৩
শনিবার, ৩ জুন, ২০২৩
Roger Binny | wrestler protest| খেলাধুলাকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখা উচিত, মন্তব্য রজার বিনির
শনিবার, ৩ জুন, ২০২৩
Naveen Patnaik | Coromandel Express | সকালেই ঘটনাস্থলে যাচ্ছি, করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ নবীন পট্টনায়কের
শনিবার, ৩ জুন, ২০২৩
Coromandel Express Derailed | হতাহতের সংখ্যা নিয়ে রাতভর বিভ্রান্তি
শুক্রবার, ২ জুন, ২০২৩
Coromandel Express | Mamata Banerjee | দুর্ঘটনাস্থলে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ২৫টি অ্যাম্বুল্যান্স, ১২ জন চিকিৎসক, ঘোষণা মমতার
শুক্রবার, ২ জুন, ২০২৩
Coromandel Express Derailed | ট্রেন দুর্ঘটনায় ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে
শুক্রবার, ২ জুন, ২০২৩
Coromandel Express| Narendra Modi | করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির
শুক্রবার, ২ জুন, ২০২৩
Coromandel Express Accident Compensation | ট্রেন দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণের ঘোষণা রেলমন্ত্রীর
শুক্রবার, ২ জুন, ২০২৩
Aajke | ধনখড়ের পথেই বাংলার রাজ্যপাল
শুক্রবার, ২ জুন, ২০২৩
Fourth Pillar | নেতাজিকে অপমান দেশের মানুষ মেনে নেবেন?
শুক্রবার, ২ জুন, ২০২৩
Train Derailed | শুধু করমণ্ডল এক্সপ্রেস নয়, বেলাইন হয়েছে বেঙ্গালুরু-হাওড়া এক্সপ্রেসও
শুক্রবার, ২ জুন, ২০২৩
Train Accident | Bengaluru Howrah Express | শুধু করমণ্ডল এক্সপ্রেস নয়, বেলাইন হয়েছে বেঙ্গালুরু-হাওড়া এক্সপ্রেসও
শুক্রবার, ২ জুন, ২০২৩
Miyazaki Special Mango | এক কেজি আমের দাম আড়াই লক্ষ টাকা, ভিড় দুবরাজপুরে
শুক্রবার, ২ জুন, ২০২৩
© R.P. Techvision India Pvt Ltd, All rights reserved.
Developed By KolkataTV Team