Placeholder canvas
কলকাতা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |
K:T:V Clock

Placeholder canvas
চতুর্থ স্তম্ভ: লক্ষ্য হিন্দুরাষ্ট্র, দরকার হিন্দু বাহিনী
কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক Published By:  • | Edited By:
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ২২ জুন, ২০২২, ১০:৪৫:৫৬ পিএম
  • / ৫৭৭ বার খবরটি পড়া হয়েছে
  • • | Edited By:

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তেজস্বী যাদব এবং কর্নাটকের জেডি(এস) নেতা এইচ ডি কুমারস্বামী, এই তিন জনেই অগ্নিপথ নিয়ে তাঁদের প্রতিক্রিয়া দেওয়ার সময়ে বলেছেন, এটা আরএসএসের একটা চক্রান্ত৷ এর পেছনে অন্য উদ্দেশ্য আছে৷ অনেকে হেসেছেন৷ অনেকেই বলেছেন অগ্নিপথের সঙ্গে আরএসএসের সম্পর্কটা কোথায়? আসুন এই আলোচনাটাকে আর একটু বাড়ানো যাক৷ আরও কিছু তথ্য দিয়ে বোঝার চেষ্টা করা যাক৷ কারণ ওনারা যা বলেছেন, তা ১০০-র ওপরে ২০০ শতাংশ সত্যি। খুব সোজা করে বললে, আরএসএস – বিজেপি এক ফ্যাসিস্ট শক্তি৷ তাদের লক্ষ্য হিন্দু রাষ্ট্র৷ আর সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে হলে তাঁরাও জানেন, দরকার এক সুসজ্জিত বাহিনী। কেবল কিছু উদভ্রান্ত যুবক, হাতে ডান্ডা, বল জয় শ্রী রাম বল, বল। না বললেই থাপ্পড়, চড়, কিল ঘুষি, গণধোলাইয়ে কিছু মৃত্যু৷ নয়তো গৌরি লঙ্কেশ, দাভোলকার, পানসারে, কালবুর্গির মতো কয়েকটা গুপ্তহত্যা।

হাতে ভাগওয়া ঝান্ডা নিয়ে, হিন্দুরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য চাই এক সুসজ্জিত বাহিনী৷ উদাহরণ হিটলারের গেস্টাপো বাহিনী। রাতে ২০/২৫/৩০ জনের বাহিনী এসে নিঃশব্দে তুলে নিয়ে যাবে বিধর্মীদের, প্রতিবাদীদের৷ এলাকার প্রত্যেকে জানলার ফাঁক দিয়ে দেখবে, বিধর্মী, বিধর্মীদের আশ্রয়দাতা বা প্রতিবাদীদের হাল৷ দেখবে ওই গেস্টাপোদের, যারা হিংস্র, রুথলেশ, মায়া দয়াহীন। হ্যাঁ তেমন বাহিনী চাই৷ এমনটা আজ নয়, স্বাধীনতার বহু আগে থেকেই ভেবেছিল হিন্দু মহাসভা, আরএসএস। নেতাজির বাহিনীর সঙ্গে তুলনা করবেন না৷ আইএনএ লড়ছিল দেশের স্বাধীনতার জন্য, ইংরেজদের বিরুদ্ধে৷ হিন্দু মহাসভা, আরএসএসের বাহিনী তৈরিই হচ্ছিল ইংরেজদের বদান্যতায়। ডঃ বালকৃষ্ণ শিবরাম মুঞ্জে ১৯৩০ এর শেষের দিকে নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে গিয়েছিলেন ইটালি৷ তখন সেখানে মুসোলিনির রাজত্ব৷ উনি ঘুরে দেখেছিলেন ইটালির কয়েকটা মিলিটারি স্কুল৷ দেখার পর যাকে বলে ইমপ্রেসড হয়েছিলেন। আচ্ছা কে এই ডঃ বালকৃষ্ণ শিবরাম মুঞ্জে? ইনি সাভারকরের শিষ্য আর আরএসএস প্রতিষ্ঠাতা কেশভ বলিরাম হেডগাওয়ারের মেন্টর, গুরু। ১৯২৭ থেকে ১৯৩৭ পর্যন্ত ইনিই ছিলেন হিন্দু মহসভার রাষ্ট্রীয় সভাপতি৷ ১৯৩৭ এ সেই আসনে বসেন ভি নায়ক দামোদর সাভারকার৷ এর আগে বলেছিলাম ৮ অগস্ট, ১৯৪৭ একই প্লেনে চেপে দিল্লি গিয়েছিলেন সাভারকার, দুই গান্ধী হত্যাকারী নাথুরাম গডসে আর নারায়ণ আপ্তে। তাঁরা গিয়েছিলেন দিল্লিতে হিন্দু মহাসভার বিশেষ বৈঠকে৷ ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন এই ডঃ বি এস মুঞ্জে। যে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল ১৫ অগস্ট স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হবে না৷ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল ত্রিবর্ণ জাতীয় পতাকা তোলার কোনও প্রশ্নই নেই। চিহ্নিত করা হয়েছিল এক ৭২ বছরের বৃদ্ধকে৷ বলা হয়েছিল অ্যান্টি ন্যাশনাল, দেশ বিরোধী, দেশের শত্রু। গান্ধিজির অহিংসা, অহিংস আন্দোলনের বদলে হিন্দুরাষ্ট গঠনের জন্য হিন্দুবাহিনী চাই৷ এই স্লোগান, এই স্বপ্ন দেখেছিল সাভারকার৷ সেই স্বপ্নকে সাকার করার দায় নিয়েছিল এই ডঃ বি এস মুঞ্জে।

কারা সাহায্য করল? বা একটু উল্টোদিক থেকে দেখা যাক, কাদের কাছে তিনি সাহায্য চাইলেন? ব্রিটিশ আর্মি জেনারেলদের কাছে, ব্রিটিশ প্রশাসনের কাছে, দেশের তথাকথিত স্বাধীন রাজা রাজপুতদের কাছে। কেন দেবেন এরা সাহায্য? ইংরেজরা চায় হিন্দু মুসলমান দ্বন্দ্ব আরও আরও বাড়ুক৷ হিন্দু মহাসভা সেই দ্বন্দ্ব বাড়াবে৷ হিন্দু বাহিনী হলে আরও ভালো কেবল দ্বন্দ্ব নয় খুনোখুনি হবে। অন্যদিকে প্রিন্সলি স্টেট তখন গান্ধী বিরোধী৷ গান্ধিজি অবিলম্বে রাজা মহারাজাদেরকে তাদের ক্ষমতা দেশের আম জনতার হাতে তুলে দিতে বলেছেন৷ অনুরোধ করেছেন ওই প্রিন্সলি স্টেটের প্রিন্সদের৷ আপনারা দেশের মানুষের অছি, ট্রাস্টি হিসেবে কাজ করুন, প্রায় আঙ্গুল তুলে বলেছেন, ওই প্রিন্সলি স্টেটের আমলারা সাধারণ মানুষের স্বার্থবিরোধী৷ স্বাধীনতার মূল ধারণার বিরোধী। ইটালি থেকে ঘুরে এসেই ডঃ বি এস মুঞ্জে, ইংরেজদের কাছে, প্রিন্সলি স্টেটের কাছে আবেদন করলেন, চাইলেন এক হিন্দু সেনা বাহিনী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের জন্য সাহায্য৷ কোথায় হবে? নাগপুরের নাসিকে। হ্যাঁ শিবসেনা, আরএসএসের কেন্দ্র৷ যে নাসিকের থেকে ১৫/১৬ কিলোমিটার দূরে সাভারকারের বাসস্থান, সাভারকার আড্ডা, যে বাড়িতে গান্ধী হত্যার আগে বেশ কয়েকবার গিয়েছেন নাথুরাম গডসে, নারায়ণ আপ্তেরা৷ হত্যার কিছুদিন আগেও গিয়েছেন।

সেই নাসিকে হিন্দু সেনা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হবে৷ ডঃ মুঞ্জে বলেছিলেন, ইটালিতে মানুষজন বলে মুসোলিনি কিছুই ভোলে না, সব মনে রাখে৷ আমরাও যেন আমাদের প্রকৃত শত্রুদের না ভুলি। হিন্দু খতরে মে হ্যায়। কে টাকা দিল? ব্রিটিস ফিল্ড মার্সাল ফিলিপ ওয়ালহাউস চেটউড, ১৭ নভেম্বর ১৯৩৫ এ ডঃ মুঞ্জে কে লিখছেন, It gives me great pleasure to support your efforts in endeavouring to start a Public School near Nagpur, in the Central Provinces. I am quite certain that, from an Army point of view, we shall never get that constant supply of young men which is essential for the Army unless more and more Public Schools are started in India; and I can only hope that the one in which you are personally interested will set an example that will be followed all over the country. I have pleasure in enclosing a donation for Rs 100.

সেই পাবলিক স্কুল, যেখানে মিলিটারি ট্রেনিং দেওয়া হবে, তাকে কেবল সমর্থন জানানোই নয়, ব্রিটিশ ফিল্ড মার্সাল ১৯৩৫ এ ১০০ টাকাও দিচ্ছেন৷ এই ঘটনার ৬ বছরের মাথায়, আরেকজন দেশ থেকে ইংরেজদের কঠোর পাহারা এড়িয়ে চলে যাচ্ছেন, ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে, এক সেনাবাহিনী তৈরি করতে, ১৯৪১ এ নেতাজীর মহানিস্ক্রমণ। এদিকে কেবল ফিল্ড মার্সাল? এরপর ২৫০ টাকা এল ভাইসরয় লিনথিনগোর কাছ থেকে, উজাড় করে টাকা দিলেন প্রিন্সলি স্টেটের রাজা, আমলারা। ১৯৩৭-এ জুন ১২, ১৯৩৭-এ ৯০ জন ছাত্র নিয়ে সেই হিন্দু সেনা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র উদ্বোধন করতে এলেন গোয়ালিয়রের রাজা, বম্বে প্রভিন্স এর গভর্নর স্যর রজার লামলে। কলেজ প্রাঙ্গনের নাম হল রাম ভূমি, ছাত্ররা সবাই রামডান্ডি, মানে রামের ডান্ডা হাতে, হ্যাঁ সেই ১৯৩৫ এ, সেই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এখনও চলছে৷ যুক্ত আছেন রিটায়ার্ড সেনা অফিসাররা, প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে মোটো, ঘোষিত উদ্দ্যেশ্য কী? ওম আগ্রতঃ চতুরো ভেদঃ পৃষ্ঠাৎ সশ্রম ধনু, ইদম ব্রাহ্মিণ ইদাম ক্ষত্রম, শাপাদপি, শরাদপি। যে চতুর্বেদ অধ্যয়ন করেছে, যার পিঠে ধনু বাণ আছে, সেই ব্রাহ্মণ বা ক্ষত্রিয় হয় শাপ দিয়ে নাহলে শর দিয়ে শত্রুকে বধ করবে। এক্কেবারে পরিষ্কার তাই না?

সেই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এখনও চলছে৷ কেবল চলছে না, এখন তা আরএসএসের হাতে, ডঃ মুঞ্জের হাতে এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চলছিল, উনি এক লটারিও চালু করেছিলেন, যেখান থেকে এই কেন্দ্রে জন্য টাকা আসত। কিন্তু গান্ধী হত্যার পরে সাভারকার সমেত হিন্দু মহাসভার বহু নেতাকে গ্রেফতার করা হয়৷ ডঃ মুঞ্জের এই কেন্দ্রেও পুলিশ আসে এবং কিছুদিনের মধ্যেই মার্চ মাসে তিনি মারা যান। এর কিছু বছর পরে আরএসএস এই কেন্দ্র চালানোর দায় নেয়৷ তখন থেকে তারাই এর দায়িত্বে আছে। এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকজনকে মালেগাঁও বোমা বিস্ফোরণ মামলায় গ্রেফতার করা হয়৷ এখানে বসেই ওই বিস্ফোরণের পরিকল্পনা হয়েছিল, এমন কথা কয়েকজন অভিযুক্ত জানান।

বিজেপি সরকার আসার পরে মালেগাঁও বোমা বিস্ফোরণের মামলা ঠান্ডা ঘরে ঢুকে গিয়েছে৷ অভিযুক্তরা সবাই মুক্ত বা জামিনে। এই একটাই নয়, আরএসএস দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আরও কয়েকটা সেনা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালায়৷ প্রকাশ্যেই সে সব চলে৷ ইউপির শিখরপুর জেলায় রাজ্জু ভাইয়া সৈনিক বিদ্যা মন্দির ক’বছর আগেই ১৬০ জন ছাত্র নিয়ে শুরু হয়েছে। হ্যাঁ এগুলোই আগামী দিনের হিন্দু বাহিনীর উৎস, হিন্দু রাষ্ট্রের বাহিনী তৈরি হচ্ছে, প্রকাশ্যে হচ্ছে। দেশের কমিউনিস্ট পার্টি, যারা সশস্ত্র বিপ্লবের কথা বলে, হলপ করে বলতে পারি তাদের সাধারণ সম্পাদক পিস্তলের সেফটি ক্যাচ খোলার সরল নিয়মটিও জানেন না। ওদিকে বিভিন্ন জায়গায় আরএসএসের সরাসরি কোথাও সমমনভাবাপন্ন সংগঠনের সাহায্যে গড়ে উঠছে এরকম সৈনিক স্কুল, প্রশিক্ষণ দিতে আসছেন রিটায়ার্ড সৈন্য অফিসারেরা, হ্যাঁ এইখানেই বোঝানো হচ্ছে হিন্দুত্ব, হিন্দু রাষ্ট্র, হিন্দু খতরে মে হ্যায়৷ এখান থেকেই তারা যাবে অগ্নিপথে, হয় সেনায় থেকে যাবে, নাহলে বেরিয়ে আবার ফিরে আসবে এখানেই, তাদের লক্ষ্য কেবল বেতন পেনশন নয়, তাদের লক্ষ্য হিন্দু রাষ্ট্র, তাদের মন্ত্র শাপাদপি, শরাদপি৷ হয় শাপ দিয়ে নাহলে শর দিয়ে শত্রু মারব৷ কোন শত্রু? কেন? যারা লুঙ্গি পরে, যাদের দেখেই চেনা যায়, অন্তত নরেন্দ্র ভাই দামোদরদাস মোদি তো চিনতেই পারেন। প্রয়োজনে তিনিই চিনিয়ে দেবেন।

পুরনো খবরের আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০ ১১ ১২ ১৩
১৪ ১৫ ১৬ ১৭ ১৮১৯ ২০
২১ ২২ ২৩ ২৪ ২৫ ২৬ ২৭
২৮ ২৯ ৩০  
আর্কাইভ

এই মুহূর্তে

খাবারে বিষক্রিয়া, অসুস্থ ২০০ জন
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪
গণতন্ত্রের বৃহত্তম উৎসবে সামিল হল গুগল
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪
রবিবার পর্যন্ত চলবে তাপপ্রবাহ, সোমবার থেকে বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গে?
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪
কারার ওই লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কর রে লোপাট (পর্ব ৪৭)
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪
উত্তপ্ত শীতলকুচি, তৃণমূল কর্মীদের মারধরের অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪
রাজ-শিল্পার ১০০ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪
জলপাইগুড়িতে ভূতূড়ে EVM? ভোট দিলেন ৭৪ জন, কাউন্ট হলো ১২৮!
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪
জীবিত মানুষকে মৃত বলে ঘোষণা, ভোট না দিয়ে ফিরতে হল বৃদ্ধাকে
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪
ভোট নিয়ে সচেতনতার বার্তা বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪
রামনবমীর মিছিলে গন্ডগোল, হাইকোর্টের দ্বারস্থ হিন্দু পরিষদ
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪
৩ ঘণ্টায় কমিশনে জমা পড়েছে ১৫১টি অভিযোগ
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪
 মাথাভাঙায় বুথ বসানো নিয়ে ঝামেলা, রিপোর্ট চাইল কমিশন
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪
তৃণমূলের লেখা দেওয়ালে অশ্লীল শব্দ প্রয়োগের অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪
কোচবিহারের বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি, দিনহাটায় তৃণমূল ব্লক সভাপতি আক্রান্ত
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪
বিক্ষিপ্ত অশান্তির মধ্যে ভোট গ্রহণ শুরু হল
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪
© R.P. Techvision India Pvt Ltd, All rights reserved.   Privacy Policy
Developed By KolkataTV Team