এবারেও গড়াবে না মহিষাদলের রথের চাকা। গতবছরের পুনরাবৃত্তি না হয়ে এবার হয়তো প্রভু জগন্নাথদেব রথে চড়ে মাসির বাড়ি যাবেন, এমনটাই ভেবেছিলেন অনেকেই। হাজার হাজার ভক্ত রথের রশিতে টান দিয়ে প্রভুকে নিয়ে যাবেন মাসির বাড়ি গুন্ডিচা বাটিতে। আবার এক সপ্তাহ পর ভক্তদের রশির টানে তিনি ফিরবেন বাড়ি। কিন্তু নাহ! এবছরও আর রথে চড়ে মাসির বাড়ি যাওয়া হবে না জগন্নাথদেবের। এর মূল কারণ করোনা।
আরও পড়ুন তুরস্কে বাসে অগ্নিকান্ড, মৃত ১২ শরনার্থী
যেভাবে করোনার ভয়াল থাবা মানুষের স্বাভাবিক জনজীবন সর্বস্বান্ত করেছে তাতে ইতিমধ্যে গত বছরের পর এ বছরও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের প্রাচীন মহিষাদলের রথ। আর তাই রথযাত্রায় মন খারাপ রথপ্রেমী সাধারণ মানুষের।
আরও পড়ুন জ্বালানী আগুন, কাঠের উনুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদে মহিলারা
প্রায় ২৪৫ বছরের প্রাচীন জেলার মহিষাদল রাজবাড়ি প্রাচীন রথযাত্রা। মহিষাদলের প্রাচীন ইতিহাস ঘাঁটলে জানা যায়, রাজা আনন্দলাল উপাধ্যায়ের সহধর্মিণী ধর্মপ্রাণ রানী জানকি দেবী প্রথম মহিষাদলের রথের সূচনা করেছিলেন।যার পর বেশ কয়েকবার সংস্কার করা হয়েছে। প্রথমে এই রথ ছিল সতেরো চূড়ার। কিন্তু যা আজ ঠেকেছে তেরো চূড়াতে। মহিষাদলে রথের অন্যতম ব্যতিক্রমী বিষয় হলো এখানকার রথে জগন্নাথ দেবের সঙ্গে যান রাজবাড়ীর কূলদেবতা শ্রী মদনগোপাল জিঊ।
আরও পড়ুন আরও বিস্তৃত ‘ভুয়োকাণ্ডে’র জাল, গোপনে ছাপছে নকল আধার কার্ড
প্রতিবছর রথের দিন এই রথ টানতে হাজার হাজার দর্শনার্থী ভিড় জমাতেন। ভিড় জমতো রথের মেলাতেও। মহিষাদলের রথতলা ও ছোলাবাড়ি প্রাঙ্গণে কয়েকশো দোকান নিয়ে গমগম করতো প্রায় একমাসের এই রথের মেলা। কাঁঠাল পট্টির কাঁঠালের গন্ধে ম-ম করতও গোটা এলাকা। কিন্তু সবকিছুই কেমন যেন ফিকে হয়ে এসেছে।
মহিষাদলের রথ
আরও পড়ুন সমস্যা মিটিয়ে বন্ধ জুটমিলে কাজ শুরু, খুশি শ্রমিকরা
গতবছরও করোনার কারণে বন্ধ ছিল রথযাত্রা। যার পুনরাবৃত্তি এবছরও। কিন্তু এবারে রাজবাড়ির পালকি চড়ে প্রভু যাবেন মাসির বাড়ি। মানা হবে প্রাচীন রীতিনীতি। রবিবার বিকেলে অন্যান্য বছরের মতোই লেদ উৎসবের দিন রথের ওপর চড়ানো হয় রাজবাড়ির কলস। সামাজিক দুরত্ব মেনেই চলে পুজো পাঠও।তবুও রথ উৎসব পালিত না হওয়ার কারনে মন খারাপ ভক্তদের।
আরও পড়ুন মেলেনি কন্যাশ্রীর টাকা, সেলাইয়ের কাজ করে পড়াশোনা চালাচ্ছে কাটোয়ার বিউটি