কলকাতা : অতীতের চিঠির স্মৃতিকে ফিরিয়ে দিতে অভিনব উদ্যেগ নিল উত্তর কলকাতার অরবিন্দ সেতু সর্বজনীন। পুরনো দিনের ডাকবাক্স আর ডাক টিকিট দিয়েই সাজিয়ে তোলা হল মন্ডপ। লাল ডাকবাক্স আর ডাক টিকিটের সম্ভারে যেন পুরনো দিনের স্মৃতিকে রোমন্থন করানোর চেষ্টা। নতুন প্রজন্মের অনেকেরই ধারনা নেই চিঠি চাপাটির মাধ্যমে যোগাযোগের। আজ ফেসবুক, হোয়াটস্যাপের ভার্চুয়াল দুনিয়ায় বিলুপ্ত ‘চিঠি-প্রেম’ কিংবা পত্র মিতালিও।
আরও পড়ুন: জমজমাট মাইকেল মধুসূদন পার্কের মহিলা পরিচালিত পুজো
এছাড়াও আরও একটা বিষয়, তা হল ডাক বিভাগের ঐতিহ্য। ভারতের ডাক বিভাগ বিশ্বের মধ্যে অন্যতম বড়। দেশের প্রতিটি প্রান্তেই ছড়িয়ে রয়েছে ডাক বিভাগের দফতর। নির্জন অরণ্য থেকে বরফ ঘেরা পাহাড়, সর্বত্রই ছড়িয়ে রয়েছে ভারতীয় ডাক বিভাগের লাল বাক্স। তাই স্বাধীনতার পূর্বে প্রতিষ্ঠিত ডাক বিভাগের ঐতিহ্যকে তুলে ধরতেই এই অভিনব উদ্যেগ বলে জানিয়েছেন ক্লাব কর্তারা। গোটা মন্ডপ সজ্জায় রয়েছেন রাজু সূত্রধর।
আরও পড়ুন: উমার আগমনীতে ঢাকের বোল… যেভাবে মিশে থাকে বাঙালির হর্ষ-বিষাদ
বিগত কয়েক বছর ধরেই মন্ডপসজ্জায় শহরের অন্যান্য পুজোগুলিকে টেক্কা দিয়ে আসছে উল্টোডাঙার অরবিন্দ সেতু সার্বজনীন। ৭০’র দশকে শুরু এই পুজো এবার পা রাখল ৪৫ বছরে। শিল্প-নৈপুন্যের সঙ্গে অভিনব সৃজনশীল চিন্তাধারার মিশেলে ‘চিঠি-রোমান্সের’ সেই ছোঁয়া শহরবাসীর মন কাড়বে বলেই আশাবাদী উদ্যোক্তারা।