এবার ভ্যাক্সিনের আওতায় আন্তর্জাতিক বন্দিরা। করোনা ঠেকাতে রাজ্য জুড়ে ভ্যাক্সিনেশন প্রক্রিয়া চালু হয়েছে। মঙ্গলবার বন্দিরাও পেলেন সেই টিকা।
বসিরহাট মহকুমা উপ সংশোধনাগারে মোট ২৬৫ জন বন্দি রয়েছেন। তার মধ্যে ১০৭ জন বাংলাদেশি বন্দি আছেন। পৃথিবীর সমস্ত দেশেই করোনা থাবা বসিয়েছে। বাদ যায়নি ভারতের পার্শ্ববর্তী দেশ বাংলাদেশ, মায়ানমারও। তাই এবার করোনা মহামারীর প্রতিরোধে দেশীয় বন্দিদের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বন্দিদের টিকাকরণের ব্যবস্থা করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। মঙ্গলবার দুপুরে বসিরহাট জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিক শিবা দেবনাথ, বসিরহাট উপ সংশোধনাগারের জেলার অমিত ভট্টাচার্যের উদ্যোগে জেলার বন্দিদের প্রথম ডোজের টিকাকরণ করা হল।
সংশোধনাগারের জেলার জানিয়েছেন, বসিরহাট উপ সংশোধনাগারে মোট ২৬৫ জন বন্দির মধ্যে ১০৭ জন বাংলাদেশি বন্দি রয়েছে। ভারতীয় বন্দিদের পাশাপাশি এদিন তাদেরকেও কোভিশিল্ড দেয় স্বাস্থ্যকর্মীরা। এই ভ্যাকসিন পেয়ে রীতিমতো খুশি বন্দিরা। জেলারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকেই। জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিক শিবা দেবনাথ জানিয়েছেন, বন্দি হলেও তারা মানুষ। তাদেরও অধিকার রয়েছে সাধারণ জীবনযাপনের। করোনা পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিন নেওয়া এখন মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। তাই এদিন বন্দিদের প্রাপ্যটুকু দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার স্বাস্থ্য আধিকারিক।